তৃতীয় শতাব্দীতে বাইবেলের পাণ্ডুলিপিগুলোতে পরিবর্তন ও বিকৃতির প্রবলতা বিষয়ে তৃতীয় শতকের প্রসিদ্ধ ধর্মগুরু ওরিগন (মৃ ২৫৪ খ্রি.)-এর বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। সর্বপ্রথম যারা প্রচলিত ইঞ্জিলগুলোর উল্লেখ করেছিলেন ওরিগন (origen) তাদের অন্যতম। তিনি মথির ইঞ্জিলের এক ব্যাখ্যা রচনা করেন, যা মথির টীকা (Commentary on Mattew) নামে ইংরেজিত অনূদিত। এ গ্রন্থে তিনি লেখেছেন:
“The differences among the manuscripts have become great, either through the negligence of some copyist or through the perverse audacity of others; they either neglect ot check over what they have transcribed, or, in the process of checking, the make additions or deletions as the please.”
‘‘পাণ্ডুলিপিগুলোর মধ্যে বৈপরীত্য খুবই ব্যাপক হয়ে গিয়েছে। এর কারণ কতিপয় অনুলিপিকারের অবহেলা অথবা অন্য অনেকের বিপথগামী ধৃষ্টতা। কী জিনিস তারা লেখছে বা প্রতিলিপি করছে তা তারা যাচাই করতে অবহেলা করেছে, অথবা তা যাচাই-এর নামে তারা যা ইচ্ছা সংযোজন বা বিয়োজন করেছে।’’[1]
খ্রিষ্টান ধর্মগুরুদের দাবি অনুসারে ইঞ্জিলগুলো প্রথম শতকের শেষভাগে বা দ্বিতীয় শতকের শুরুতে লেখা। আর এক শতাব্দী পার না হতেই এগুলোর মধ্যে বিকৃতির অনুপ্রবেশ ছিল এত ব্যাপক। এ সকল ইঞ্জিলের লেখকরা পবিত্র আত্মার প্রেরণা প্রাপ্ত ছিলেন কিনা তা জানা না গেলেও এগুলোর অনুলিপিকাররা যে পবিত্র আত্মার সহায়তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ছিলেন তা প্রাচীন ধর্মগুরুরা অকপটে স্বীকার করেন। কারো অবহেলা আর কারো ইচ্ছাকৃত ধৃষ্টতার মাধ্যমে গ্রন্থগুলো বিকৃত হয়েছে।