প্রশ্ন-৮০ : যে ব্যক্তি বলে যে, ‘‘এই দেশ (সাউদী আরব) দীনের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং দাঈদের ক্ষেত্রকে সংকীর্ণ করে’’ তাদের প্রতি আপনার উপদেশ কী?

উত্তর : সাউদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা থেকেই দীন এবং দীনদার লোকদেরকে সাহায্য করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ নীতির উপর অটল রয়েছে। সর্বত্র মুসলিমদের সাহায্যার্থে ধন-সম্পদ ব্যায় করে। মাসজিদ এবং ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে। দাঈদেরকে প্রেরণ করে। বই পুস্তক মুদ্রণ করে বিশেষত কুরআনুল কারীম মুদ্রণ করে। ‘ইলমী সেন্টার ও শারঈ কলেজ প্রতিষ্ঠা করে। শারী‘আত অনুযায়ী বিচার ফায়ছলা করে। প্রত্যেক দেশে সৎকাজের আদেশ প্রদান করে এবং অসৎ কাজ থেকে বারণ করার স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপনা  গ্রহণ করেছে। উল্লেখিত প্রত্যেকটি বিষয়ই দীন এবং দীনদার লোকদেরকে সাহায্য করার স্পষ্ট দলীল/প্রমাণ। তবে উল্লেখিত এই খিদমাতগুলোই মুনাফিক ও অনিষ্টকর লোকদের মাথা ব্যাথার মূল কারণ। আল্লাহ তার দীনকে সাহায্য করেন যদিও মুশরিক ও বিরুদ্ধবাদীরা অপছন্দ করুক না কেন?[1]

আমরা বলব না যে এই দেশ সর্বদিক থেকে পরিপূর্ণ এর কোন ত্রুটি নাই। প্রত্যেকেরই ভুল-ত্রুটি রয়েছে। আমরা আল্লাহর নিকট দু‘আ করি তিনি যেন এ রাষ্ট্রকে ভুল-ত্রুটি সংশোধন করতে সাহায্য করেন। আমীন।

যে ব্যক্তি প্রশ্নোক্ত কথা বলে সে যদি নিজের প্রতি লক্ষ্য করে তাহলে তার মাঝেই অনেক সমালোচনা করা ও অন্যের দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধান করা থেকে বিরত রাখত। ইনশাআল্লাহ। আমরা হক বর্ণনা করি, আমাদের উপর কারো পক্ষ থেকে কোন চাপ নাই। আল-হামদুলিল্লাহ।


[1]. আমাদের উপর আল্লাহর নিয়ামত রাজীর উদাহরণ হলো: অন্যান্য দেশের ন্যায় সাঊদী ‘আরবে কোন কবরপূজা নাই এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করা হয় না।

এই রাষ্ট্র সারা দেশেই দাওয়াহ ওয়াল ইরশাদ চালু রেখেছে। মাসজিদ সমূহে চালু রয়েছে তাহফীযুল কুরআন বা কুরআন মুখস্থ করার বিভিন্ন কোর্স। এই নিয়ামত সমূহকে অস্বীকার করে গোলযোগ করা উচিত হবে না।

তারা বলে ‘‘এই দেশ দাঈদের পথকে সংকীর্ণ করে’’ এর উত্তর হলো, জ্বী, এই দেশ ভ্রান্ত ও সালাফে সালেহীনের মানহাজ বিরোধী লোকদের পথ সংকীর্ণ করে। আল্লাহ তা‘আলা শাসকদেরকে আমাদের পক্ষ থেকে এবং ইসলামের পক্ষ থেকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। ভ্রান্ত পথের দাঈদের পথকে সংকীর্ণ করা শাসকদের উপর ওয়াজিব। যদি তারা এই ওয়াজিব দায়িত্ব পালন না করে তাহলে বিরোধী মানহাজের সংমিশ্রণে ‘আকীদা বিনষ্ট হয়ে যেত। ঐ দাঈরা হলো সুফীবাদ, রাফিযী মতবাদ, তাবলীগী মতবাদ, ইখওয়ানুল মুসলিমীন মতবাদ, রাজনীতি ও তাকফীরী মতবাদ ইত্যাদির প্রতি আহবায়ক। যদি তাদেরকে ক্ষমা করা হয় তাহলে দেশের অবস্থা কি হবে? আমরা আল্লাহর নিকট শান্তি ও মুক্তি কামনা করি।

তারা প্রতিবেশি বিভিন্ন দেশে শারঈ নিয়মহীন বাক স্বাধীনতার দ্বারা  যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে তারা এখানে ও কী তা করতে চায়?