(১) আনাস বিন মালেক (২) হিন্দ ও তার ভাই (৩) আসমা বিন হারেছাহ আসলামী (৪) রাবী‘আহ বিন কা‘ব আসলামী (৫) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ। ইনি রাসূল (ছাঃ)-এর জুতা ও মিসওয়াক বহন করতেন। যখনই তিনি উঠতেন জুতা পরিয়ে দিতেন এবং যখনই তিনি বসতেন জুতা জোড়া খুলে নিজ হাতে নিয়ে নিতেন। (৬) ওক্ববাহ বিন ‘আমের আল-জুহানী। সফরকালে তাঁর খচ্চর চালনা করতেন। (৭) বেলাল বিন রাবাহ, মুওয়াযযিন (৮) সা‘দ। দু’জনেই ছিলেন আবুবকর ছিদ্দীক-এর মুক্তদাস। (৯) বাদশাহ নাজাশীর ভাতিজা যূ-মিখমার। যাকে রাসূল (ছাঃ)-এর খিদমতের জন্য ৭ম হিজরীতে বাদশাহ পাঠিয়েছিলেন। (১০) বুকায়ের বিন সারাহ লায়ছী (১১) আবু যার গিফারী (১২) আসলা‘ বিন শারীক আ‘রাজী। সওয়ারী পালন করতেন। (১৩) মুহাজির। উম্মে সালামাহ (রাঃ)-এর মুক্তদাস। (১৪) আবুস সাজা‘ (أبو السجع) রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুম (টীকা-পূর্বোক্ত)।
(১৫) এছাড়া একটি ইহূদী বালক তাঁর খাদেম ছিল। যে তাঁর ওযূর পানি ও জুতা এগিয়ে দিত। হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসূল (ছাঃ) তাকে দেখতে যান। তার আসন্ন মৃত্যু বুঝতে পেরে তিনি তাকে ইসলাম কবুলের দাওয়াত দেন। সে তার পিতার দিকে তাকালে পিতা তাকে বললেন, أَطِعْ أَبَا الْقَاسِمِ ‘তুমি আবুল ক্বাসেমের আনুগত্য কর’। তখন ছেলেটি কালেমা শাহাদাত পড়ে ইসলাম কবুল করল। অতঃপর মারা গেল। তখন রাসূল (ছাঃ) বেরিয়ে আসার সময় বললেন, الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِى أَنْقَذَهُ بِى مِنَ النَّارِ ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমার মাধ্যমে ছেলেটিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিলেন’।[1]