উট (الإبل) : (১) ‘ক্বাছওয়া’ (الْقَصْوَاءُ)। যাতে সওয়ার হয়ে তিনি মক্কা বিজয়ের সফরে গমন করেন এবং হজ্জের সময় আরাফাতের ময়দানে ভাষণ দেন (বুখারী হা/৪৪০০; তিরমিযী হা/৩৭৮৬)। (২) ‘আযবা’ (الْعَضْبَاءُ) ও (৩) ‘জাদ‘আ’(الْجَدْعَاءُ) নামে তাঁর আরও দু’টি উষ্ট্রী ছিল। ‘আযবা’ ছিল অত্যন্ত দ্রুতগামী। যাকে কেউ হারাতে পারত না । একবার জনৈক বেদুঈন সওয়ারী আযবা-কে অতিক্রম করে গেলে রাসূল (ছাঃ) সাথীদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘দুনিয়াতে আল্লাহর নীতি এটাই যে, কাউকে উঁচু করলে তাকে নীচুও করে থাকেন’ (বুখারী হা/৬৫০১)। বিদায় হজ্জে ঈদুল আযহার দিন এর পিঠে বসে তিনি কংকর মারেন। অতঃপর ভাষণ দেন।[1] জাদ‘আ (الْجَدْعَاءُ) হিজরতের সময় আবুবকর (রাঃ) তাঁকে প্রদান করেন (বুখারী হা/৪০৯৩)। আইয়ামে তাশরীক্বের সময় এর পিঠে সওয়ার হয়ে তিনি ভাষণ দেন।[2] (৪) আরেকটি অত্যন্ত দ্রুতগামী উট ছিল। যাকে কেউ অতিক্রম করতে পারত না। যা তিনি বদরের যুদ্ধে নিহত আবু জাহলের গণীমত হিসাবে পেয়েছিলেন। যার নাকে রূপার নোলক ছিল। এটাকে তিনি হোদায়বিয়ার দিন নহর করেন মুশরিকদের ক্রুদ্ধ করার জন্য’।[3]
ঘোড়া (الخيل) : তাঁর ঘোড়া ছিল ৭টি। (১) ‘সাক্ব’ (السَّكْبُ)। যার রং ছিল কালো ও কপালচিতা। (২) ‘মুরতাজিয’ (الْمُرْتَجِزُ) (৩) ‘লুহাইফ’ (اللُّحَيْفُ) (৪) ‘লেযায’ (اللِّزَازُ) (৫) ‘যারিব’ (الظَّرِبُ) (৬) ‘সাবহাহ’ (السَّبْحَةُ) এবং (৭) ‘ওয়ার্দ’ (الْوَرْدُ)। ঘোড়ার পালানের নাম ছিল ‘দাজ’ (الدَّاجُ)। অনেকে বলেছেন তাঁর ঘোড়া ছিল ১৫টি। তবে এতে মতভেদ আছে।
খচ্চর (البغال) : তাঁর খচ্চর ছিল ৩টি। (১) ‘দুলদুল’ (دُلْدُلُ)। যা ছিল সাদা-কালো ডোরা কাটা। যা মিসর রাজ মুক্বাউক্বিস হাদিয়া পাঠিয়েছিলেন। (২) ‘ফায্যাহ’ (فَضَّةٌ)। যা ছিল সাদা। যা রোম সম্রাটের পক্ষে মা‘আন (مَعَان)-এর গবর্ণর ফারওয়া আল-জুযামী ইসলাম কবুলের পর তাঁকে হাদিয়া পাঠিয়েছিলেন। (৩) আরেকটি ডোরা কাটা খচ্চর ছিল, যা আয়লার অধিপতি হাদিয়া পাঠিয়েছিলেন। বলা হয়ে থাকে যে, নাজাশীও তাঁর জন্য একটি খচ্চর পাঠিয়েছিলেন, যাতে তিনি সওয়ার হতেন।
গাধা (الحمير) : তাঁর গাধা ছিল ২টি। (১) ইয়া‘ফূর (يَعْفُورٌ) বা ‘উফায়ের (عُفَيْرٌ)। যা ছিল সাদা-কালো ডোরা কাটা। মিসর রাজ মুক্বাউক্বিস তাঁকে হাদিয়া পাঠিয়েছিলেন। (২) অন্যটি ফারওয়া আল-জুযামী হাদিয়া পাঠিয়েছিলেন। বলা হয়েছে যে, সা‘দ বিন উবাদাহ (রাঃ) তাঁকে আরেকটি গাধা হাদিয়া দিয়েছিলেন। যাতে তিনি সওয়ার হতেন।
[2]. বায়হাক্বী ৫/১৫২, হা/৯৪৬৪; আবুদাঊদ হা/১৯৫২ ‘মানাসিক’ অধ্যায় ৭১ অনুচ্ছেদ; আলবানী, সনদ ছহীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ হা/১৯৫২-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।
[3]. বায়হাক্বী হা/৯৬৭৪; তিরমিযী হা/ ৮১৫; আবুদাঊদ হা/১৭৪৯; ইবনু মাজাহ হা/৩০৭৬; যাদুল মা‘আদ ১/১২৯-৩০।