দুনিয়ার নশ্বরতা সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বলেছেন,
فَهَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا السَّاعَةَ أَن تَأْتِيَهُم بَغْتَةً ۖ فَقَدْ جَاءَ أَشْرَاطُهَا
এরা কি শুধু কিয়ামতের অপেক্ষায় রয়েছে যে, সহসা তা তাদের উপর এসে পড়বে? তার নিদর্শন তো এসেই পড়েছে।[১]
আনাস ইবনু মালিক এবং সাহল ইবনু সা'দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,
بعثت أنا والساعة كهاتين وأشار بأصبعيه السبابة الوسطى
‘আমি এবং কিয়ামত এরূপ দূরত্বে, একথা বলে তিনি তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুল দুটো একত্রিত করে দেখালেন।”[২]
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) আর বলেছেন,
نِعْمَتَانِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنْ النَّاسِ الصِّحَّةُ وَالْفَرَاغُ
‘আল্লাহ্ প্রদত্ত দুটো নিয়ামাত অধিকাংশ মানুষকেই বিভ্রান্ত করে ছাড়ে। একটি সুস্বাস্থ্য বা সুস্থতা অপরটি অবকাশ।[৩]
আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা.) বলেছেন,
إنَّ الدُّنيا حلوةٌ خَضِرة، وإنَّ الله مُستخلفكم فيها، فينظر كيف تعملُون؟ فاتقوا الدُّنيا، واتَّقُوا النِّساء؛ فإنَّ أوَّل فِتنة بني إسرائيل كانت في النِّساء
নিঃসন্দেহে দুনিয়া খুবই আকর্ষণীয় ও সবুজ শ্যামল। আল্লাহ্ তোমাদেরকে প্রতিনিধি বানিয়ে এখানে পাঠিয়েছেন। তিনি দেখতে চান তোমরা কী করো। কাজেই তোমরা দুনিয়া এবং নারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকো। বানী ইসরাঈলের বিপর্যয় শুরুই হয়েছিলো নারী দিয়ে।[৪]
[২]. সহীহ আল বুখারী; সহীহ মুসলিম।
[৩]. সহীহ্ আল বুখারী; জামি আত তিরমিযী; নাসাঈ, ইবনু মাজাহ।
[৪]. সহীহ মুসলিম।