আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ
“হে ঈমানদারগণ! নিজে বাঁচো এবং অধীনস্থদের বাঁচাও সেই আগুন থেকে যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর।[১]
সূরা আন নূরে বলা হয়েছে,
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ
‘হে নবী! আপনি মুমিন মহিলাদের বলে দিন তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে।[২]
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,
ان الله عزوجل يغار وان المؤمن يغار وغيرة الله أن يأتي المؤمن ما حرم عزو جل عليه
আল্লাহ্রও আত্মসম্মানবোধ আছে এবং মুমিনেরও আত্মসম্মানবোধ রয়েছে। আল্লাহর আত্মসম্মানে তখনই বাধে যখন একজন মুমিন এমন কাজে লিপ্ত হয় যা তিনি হারাম করেছেন।[৩]
উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আরেক হাদীসে বলা হয়েছে,
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان عندها وفي البيت مخنث فقال لعبد الله بن أبي أمية أخي أم سلمة يا عبد الله ان فتح الله لكم الطائف غدا فانى أدلك على ابنة غيلان فانها تقبل بأربع وتدبر بثمان فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يدخلن هؤلاء عليكم.
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বাড়িতে থাকা অবস্থায় একদিন এক নপুংসক (হিজড়া) বাড়িতে এসেছিল (নপুংসক বিধায় সে অন্দর মহলেও প্রবেশ করতো)। সে উম্মু সালামার (রাঃ) ভাই আবদুল্লাহকে বললো, আগামীকাল যদি তায়েফ বিজয় হয় তাহলে তুমি গায়লানের কন্যাকে আয়ত্তে নেবে। তার এমন ফিগার যে পেটে চারটি ভাঁজ পড়ে। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) পরিবারকে বলে দিলেন, তোমরা আর কখনও তাকে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করতে দেবে না।”[৪]
আবু সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,
الْغَيْرَةَ مِنَ الإِيمَانِ وَاِنَّ الْمِذَاءُ مِنَ النِّفَاقِ
‘আত্মসম্মানবোধ সৃষ্টি হয় ঈমান থেকে আর লৌকিকতা সৃষ্টি হয় মুনাফিকী থেকে।[৫]
[২]. সূরা আন নূর, আয়াত : ৩১।
[৩]. সহীহ্ আল বুখারী; সহীহ মুসলিম।
[৪]. সহীহ আল বুখারী; সহীহ মুসলিম।
[৫]. বাইহাকী।