আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বলেছেন
إِنَّ الَّذِينَ يُحِبُّونَ أَن تَشِيعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِينَ آمَنُوا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ
যারা চায় ঈমানদার লোকদের মধ্যে বেহায়াপনা-অশ্লীলতা বিস্তার লাভ করুক, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে কঠিন শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।[১]
সূরা আন নূরেরই অন্য আয়াতে বলা হয়েছে,
إِنَّ الَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ لُعِنُوا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
যারা পবিত্র চরিত্রের সাদাসিদা মুসলিম মহিলাদের অপবাদ দেয়, দুনিয়া ও আখিরাতে তারা অভিশপ্ত, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।[২]
সহীহ মুসলিমে আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, নবী করীম (সা.) বলেছেন,
المُسْلِمُ أخُو المُسْلِمِ، لا يَظْلِمُهُ ولا يَخْذُلُهُ، ولا يَحْقِرُهُ التَّقْوَى هاهُنا ويُشِيرُ إلى صَدْرِهِ ثَلاثَ مَرَّاتٍ بحَسْبِ امْرِئٍ مِنَ الشَّرِّ أنْ يَحْقِرَ أخاهُ المُسْلِمَ، كُلُّ المُسْلِمِ علَى المُسْلِمِ حَرامٌ، دَمُهُ، ومالُهُ، وعِرْضُهُ
‘এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে তার উপর যুলম করবে না, তাকে লাঞ্ছিত করবে না এবং হেয় করবে না। তাকওয়া এখানে’- একথা বলে তিনি তিনবার বুকের দিকে ইঙ্গিত করলেন। একজন মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য এটিই যথেষ্ট যে, সে তার ভাইকে হেয় করে। প্রতিটি মুসলমানের উপর আরেক মুসলমানের জান, মাল ও সম্মান (ক্ষতি করা) হারাম।[৩]
সহীহ আল বুখারীতে আবু যার (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,
لا يرمي رجل رجلاً بالفسوق ولا يرميه بالكفر إلا ارتدَّت عليه إن لم يكن صاحبه كذلك
‘কেউ যেন কাউকে ফাসিক বা কাফির না বলে। যাকে ফাসিক বা কাফির বলা হলো সে যদি সেরূপ না হয় তাহলে সেই কথা বক্তার উপরই পতিত হয়।[৪]
[২]. সূরা আন নূর, আয়াত : ২৩।
ইমাম বাইহাকী বলেন- পবিত্র চরিত্রের মহিলাদের অপবাদ দেয়া বলতে ব্যভিচারের অপবাদের কথা বুঝানো হয়েছে। এটি বড়ো মারাত্মক অপরাধ। রাসূলুল্লাহ (সা.) কবীরা গুনাহ্ হিসেবে যেসব অপরাধকে চিহ্নিত করেছেন। সেগুলোর মধ্যে পবিত্র চরিত্রের মহিলাদের বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়াও একটি। যারা এরূপ অপরাধে লিপ্ত হবে তারা ফাসিক, তাদের সাক্ষ্য কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। সেই সাথে তাদের উপর হাদ (শরীআহ্ নির্দিষ্ট শাস্তি)ও কার্যকর করা হবে।
[৩]. সহীহ মুসলিম (হাদীস-৬৩০৯)।
[৪]. সহীহ্ আল বুখারী।