আল্লাহ্র পথে সংগ্রাম বা জিহাদও ঈমানের অন্যতম অংশ। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেছেন,
وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ
তোমরা সংগ্রাম (জিহাদ) কর আল্লাহর জন্য, যে রকম সগ্রাম করা উচিত।[১]
আরেক জায়গায় বলা হয়েছে,
يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ
তারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে এবং কোনো তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে তারা পরওয়া করে না।[২]
সূরা আত তাওবায় বলা হয়েছে,
قَاتِلُوا الَّذِينَ يَلُونَكُم مِّنَ الْكُفَّارِ وَلْيَجِدُوا فِيكُمْ غِلْظَةً
‘যেসব কাফির তোমাদের সাথে লাগতে আসে তোমরা তাদের সাথে লড়াই করো, তারা যেন বুঝতে পারে তোমাদের মধ্যে কঠোরতা আছে।”[৩]
আরেক জায়গায় বলা হয়েছে,
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ حَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى الْقِتَالِ
হে নবী! আপনি ঈমানদারদেরকে লড়াইয়ের জন্য উৎসাহিত করুন।[৪]
সহীহ্ আল বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল,
أي الأعمال أفضل قال الإيمان بالله ورسوله فقيل ثم ماذا قال الجهاد في سبيل الله قيل ثم ماذا قال حج مبرور
‘কোন আমলটি উত্তম? তিনি বললেন- আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস। জিজ্ঞেস করা হলো। তারপর কোনটি? বললেন- আল্লাহর পথে সংগ্রাম (জিহাদ)। আবার জিজ্ঞেস করা হলো। তারপর কোনটি? বললেন- মাবরুর হাজ্জ।[৫]
সহীহ্ আল বুখারীতে আবদুল্লাহ্ ইবনু আবী আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন
لا تتمنوا لقاء العدو وسلوا الله العافية فإذا لقيتموهم فاصبروا واعلموا أن الجنة تحت ظلال السيوف
‘তোমরা শত্রুর সাথে সাক্ষাতের জন্য উদগ্রীব হয়ো না। আর আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা চাইতে থাকে। যখন তোমরা তাদের মুখোমুখি হয়ে যাবে তখন ধৈর্যধারণ করবে। জেনে রেখো- জান্নাত তরবারীর ছায়াতলে।[৬]
[২]. সূরা আল মায়িদা, আয়াত : ৫৪।
[৩]. সূরা আত তাওবা, আয়াত : ১২৩।
[৪]. সূরা আল আনফাল, আয়াত : ৬৫।
[৫]. সহীহ আল বুখারী, ঈমান অধ্যায়; সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়।
[৬]. সহীহ আল বুখারী।