আমলনামা বিষয়ক আয়াতসমূহ ১৩ টি
৫৪ আল-কামার
৫৪:৫২ وَ کُلُّ شَیۡءٍ فَعَلُوۡهُ فِی الزُّبُرِ ﴿۵۲﴾

আর তারা যা করেছে, সব কিছুই ‘আমলনামায়’ রয়েছে। আল-বায়ান

তারা যা কিছু করেছে তা আছে ‘আমালনামায়, তাইসিরুল

তাদের সমস্ত কার্যকলাপ আছে ‘আমলনামায়, মুজিবুর রহমান

And everything they did is in written records. Sahih International

৫২. আর তারা যা করেছে সবকিছুই আছে আমলনামায়।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫২) তারা যা কিছু করেছে, তার প্রত্যেকটাই আমল-নামায় (লিপিবদ্ধ) আছে। [1]

[1] বা দ্বিতীয় অর্থ হল, ‘লওহে মাহ্ফূযে’ লিপিবদ্ধ আছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৫৪ আল-কামার
৫৪:৫৩ وَ کُلُّ صَغِیۡرٍ وَّ کَبِیۡرٍ مُّسۡتَطَرٌ ﴿۵۳﴾

আর ছোট বড় সব কিছুই লিখিত আছে। আল-বায়ান

ছোট আর বড় সবই আছে লিপিবদ্ধ। তাইসিরুল

আছে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ সব কিছুই লিপিবদ্ধ; মুজিবুর রহমান

And every small and great [thing] is inscribed. Sahih International

৫৩. আর ছোট বড় সব কিছুই লিখিত আছে।(১)

(১) হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “হে আয়েশা! যে সমস্ত ছোটখাট গোনাহকে তুচ্ছ মনে কর তা থেকেও বেঁচে থাক, কেননা আল্লাহর পক্ষ থেকে এগুলোরও অন্বেষণকারী রয়েছে।” [ইবনে মাজাহঃ ৪২৪৩, মুসনাদে আহমাদ: ৫/৩৩১]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৩) আছে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ সবকিছুই লিপিবদ্ধ; [1]

[1] অর্থাৎ, সৃষ্টির সমস্ত আমল এবং কথা ও কাজ লিপিবদ্ধ আছে। তাতে তা ছোট হোক বা বড়, তুচ্ছ হোক অথবা সুউচ্চ। দুর্ভাগ্যজনদের আলোচনার পর এবারে সৌভাগ্যবানদের আলোচনা করা হচ্ছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৬৯ আল-হাক্কাহ
৬৯:১৯ فَاَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَهٗ بِیَمِیۡنِهٖ ۙ فَیَقُوۡلُ هَآؤُمُ اقۡرَءُوۡا کِتٰبِیَهۡ ﴿ۚ۱۹﴾

তখন যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে সে বলবে, ‘নাও, আমার আমলনামা পড়ে দেখ’। আল-বায়ান

তখন যাকে তার ‘আমালনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে সে বলবে, ‘এই যে আমার ‘আমালানামা পড়ে দেখ, তাইসিরুল

তখন যাকে তার ‘আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে সে বলবেঃ নাও, আমার ‘আমলনামা পাঠ করে দেখ। মুজিবুর রহমান

So as for he who is given his record in his right hand, he will say, "Here, read my record! Sahih International

১৯. তখন যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে, সে বলবে, লও, আমার আমলনামা পড়ে দেখ(১);

(১) هَاؤُم শব্দের এক অর্থ, আসা অন্য অর্থ, লও। উদ্দেশ্য এই যে, আমলনামা ডানহাতে পাওয়ার সাথে সাথেই তারা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠবে এবং নিজের বন্ধু-বান্ধবদের তা দেখাবে। সে আহলাদে আটখানা হয়ে আশেপাশের লোকজনকে বলবে, লও আমার আমলনামা পাঠ করে দেখ। কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে যে, “সে আনন্দচিত্তে আপনজনদের কাছে ফিরে যাবে” [সূরা আল-ইনশিকাক: ৯]

তাফসীরে জাকারিয়া

(১৯) সুতরাং যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেওয়া হবে[1] সে বলবে, ‘এই নাও, আমার আমলনামা পড়ে দেখ; [2]

[1] যা তার সৌভাগ্য, মুক্তি ও সাফল্যের দলীল হবে।

[2] অর্থাৎ, সে অত্যধিক খুশী হয়ে সকলকে বলবে যে, ‘নাও পড়। আমার আমলনামা তো আমি পেয়ে গেছি।’ কারণ সে জেনে যাবে যে, এতে কেবল পুণ্যসমূহই থাকবে। কিছু পাপ থাকলেও আল্লাহ হয়তো তা ক্ষমা করে দেবেন অথবা সে পাপগুলোকে পুণ্যে পরিবর্তন করে দেবেন। যেমন, মহান আল্লাহ ঈমানদারদের সাথে দয়া ও অনুগ্রহের এমনতর বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করবেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৬৯ আল-হাক্কাহ
৬৯:২০ اِنِّیۡ ظَنَنۡتُ اَنِّیۡ مُلٰقٍ حِسَابِیَهۡ ﴿ۚ۲۰﴾

‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, আমি আমার হিসাবের সম্মুখীন হব’। আল-বায়ান

আমি জানতাম যে, আমাকে আমার হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে।’ তাইসিরুল

আমি জানতাম যে, আমাকে হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে। মুজিবুর রহমান

Indeed, I was certain that I would be meeting my account." Sahih International

২০. আমি দৃঢ়বিশ্বাস করতাম যে, আমাকে আমার হিসেবের সম্মুখীন হতে হবে।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(২০) আমার পূর্ণ বিশ্বাস ছিল যে, আমাকে আমার হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে।’ [1]

[1] অর্থাৎ, আখেরাতের হিসাব-কিতাবের প্রতি আমার পূর্ণ বিশ্বাস ছিল।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৪ আল-ইনশিকাক
৮৪:৭ فَاَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَهٗ بِیَمِیۡنِهٖ ۙ﴿۷﴾

অতঃপর যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে; আল-বায়ান

অতঃপর যার ‘আমালনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে। তাইসিরুল

অতঃপর যাকে ডান হাতে তার কর্মলিপি প্রদত্ত হবে – মুজিবুর রহমান

Then as for he who is given his record in his right hand, Sahih International

৭. অতঃপর যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

৭। সুতরাং যাকে তার ডান হাতে নিজ আমলনামা (কর্মলিপি) দেওয়া হবে,

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৪ আল-ইনশিকাক
৮৪:৮ فَسَوۡفَ یُحَاسَبُ حِسَابًا یَّسِیۡرًا ۙ﴿۸﴾

অত্যন্ত সহজভাবেই তার হিসাব-নিকাশ করা হবে। আল-বায়ান

তার হিসাব সহজভাবেই নেয়া হবে। তাইসিরুল

তার হিসাব-নিকাশতো সহজভাবে গৃহীত হবে, মুজিবুর রহমান

He will be judged with an easy account Sahih International

৮. তার হিসেব-নিকেশ সহজেই নেয়া হবে।(১)

(১) এতে মুমিনদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে যে, তাদের আমলনামা ডান হাতে আসবে। এবং তাদের সহজ হিসাব নিয়ে জান্নাতের সুসংবাদ দান করা হবে। তারা তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে হৃষ্টচিত্তে ফিরে যাবে। তার হিসেব নেয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি করা হবে না। তাকে জিজ্ঞেস করা হবে না, ওমুক ওমুক কাজ তুমি কেন করেছিলে? ঐসব কাজ করার ব্যাপারে তোমার কাছে কি কি ওযর আছে? নেকীর সাথে সাথে গোনাহও তার আমলনামায় অবশ্যি লেখা থাকবে। কিন্তু গোনাহের তুলনায় নেকীর পরিমাণ বেশী হবার কারণে তার অপরাধগুলো উপেক্ষা করা হবে এবং সেগুলো মাফ করে দেয়া হবে। কুরআন মজিদে অসৎকর্মশীল লোকদের কঠিন হিসেবা-নিকেশের জন্য “সু-উল হিসাব” (খারাপভাবে হিসেব নেয়া) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। [সূরা আর-রা'দ ১৮]

সৎ লোকদের সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ “এরা এমন লোক যাদের সৎকাজগুলো আমি গ্ৰহণ করে নেবো এবং অসৎকাজগুলো মাফ করে দেবো।” [সূরা আল-আহকাফঃ ১৬] আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, কেয়ামতের দিন যার হিসাব নেয়া হবে, সে আযাব থেকে রক্ষা পাবে না। এ কথা শুনে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা প্রশ্ন করলেন, কুরআনে কি (فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا) বলা হয়নি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এই আয়াতে যাকে সহজ হিসাব বলা হয়েছে, সেটা প্রকৃতপক্ষে পরিপূর্ণ হিসাব নয়; বরং কেবল আল্লাহ রাব্বুল আলমীনের সামনে পেশ করা। যে ব্যক্তির কাছ থেকে তার কাজকর্মের পুরোপুরি হিসাব নেয়া হবে, সে আযাব থেকে কিছুতেই রক্ষা পাবে না। [বুখারী: ৪৯৩৯, মুসলিম: ২৮৭৬l

তাফসীরে জাকারিয়া

৮। তার হিসাব নেওয়া হবে সহজভাবে। [1]

[1] সহজ হিসাব এই যে, মুমিনের আমল-নামা পেশ করা হবে। তার ভুল-ত্রুটিও সামনে উপস্থিত করা হবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা নিজের রহমত এবং অনুগ্রহে তাদেরকে মার্জনা করে দেবেন। আয়েশা (রাঃ)  বলেন যে, রসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘‘যার হিসাব নেওয়া হবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুন, আল্লাহ তাআলা কি এ কথা বলেননি যে, যার ডান হাতে আমল-নামা দেওয়া হবে তার হিসাব সহজ হবে?’’ (মা আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহার উদ্দেশ্য ছিল যে, এই আয়াত অনুপাতে হিসাব তো মু’মিনদেরও হবে কিন্তু সে ধ্বংসগ্রস্ত হবে না।) তিনি (সাঃ) স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বললেন যে, ‘‘পেশ করা হবে মাত্র।’’ (অর্থাৎ, মুমিনের সাথে হিসাবের ব্যাপার হবে না বরং নামমাত্র পেশ করা হবে।) মু’মিনদেরকে আল্লাহর সম্মুখে পেশ করা হবে। কিন্তু যাকে জেরা করা হবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে। (সহীহ বুখারী, তাফসীর সূরা ইনশিক্বাক পরিচ্ছেদ)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৪ আল-ইনশিকাক
৮৪:৯ وَّ یَنۡقَلِبُ اِلٰۤی اَهۡلِهٖ مَسۡرُوۡرًا ؕ﴿۹﴾

আর সে তার পরিবার-পরিজনের কাছে আনন্দিত হয়ে ফিরে যাবে। আল-বায়ান

সে তার স্বজনদের কাছে সানন্দে ফিরে যাবে। তাইসিরুল

এবং সে তার স্বজনদের নিকট প্রফুল্ল চিত্তে ফিরে যাবে। মুজিবুর রহমান

And return to his people in happiness. Sahih International

৯. এবং সে তার স্বজনদের কাছে(১) প্ৰফুল্লচিত্তে ফিরে যাবে;

(১) কোনো কোনো মুফাস্‌সির বলেন, নিজের লোকজন বলতে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও সাথী-সহযোগীদের কথা বুঝানো হয়েছে। তাদেরকেও একইভাবে মাফ করে দেয়া হয়ে থাকবে। কাতাদাহ বলেন, এখানে পরিবার বলে জান্নাতে তার যে পরিবার থাকবে তাদের বোঝানো হয়েছে। [কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

৯। এবং সে তার স্বজনদের নিকট প্রফুল্লচিত্তে ফিরে যাবে।[1]

[1] স্বজন বলতে তার পরিবারের মধ্যে থেকে যারা জান্নাতী হবে তারা অথবা এ হতে উদ্দেশ্য হল, সেই সমস্ত বেহেশ্তী হুর ও গিলমান, যা জান্নাতীগণ লাভ করবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৪ আল-ইনশিকাক
৮৪:১০ وَ اَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَهٗ وَرَآءَ ظَهۡرِهٖ ﴿ۙ۱۰﴾

আর যাকে তার আমলনামা পিঠের পেছনে দেয়া হবে, আল-বায়ান

আর যাকে তার ‘আমালনামা তার পিঠের পিছন দিক থেকে দেয়া হবে, তাইসিরুল

এবং যাকে তার কর্মলিপি তার পৃষ্ঠের পশ্চাদ্ভাগে দেয়া হবে – মুজিবুর রহমান

But as for he who is given his record behind his back, Sahih International

১০. আর যাকে তার আমলনামা তার পিঠের পিছনদিক থেকে দেয়া হবে,

-

তাফসীরে জাকারিয়া

১০। পক্ষান্তরে যাকে তার আমলনামা তার পিঠের পিছন দিক থেকে দেওয়া হবে,

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৪ আল-ইনশিকাক
৮৪:১১ فَسَوۡفَ یَدۡعُوۡا ثُبُوۡرًا ﴿ۙ۱۱﴾

অতঃপর সে ধ্বংস আহবান করতে থাকবে। আল-বায়ান

সে মৃত্যুকে ডাকবে, তাইসিরুল

ফলে অচিরেই সে মৃত্যুকে আহবান করবে, মুজিবুর রহমান

He will cry out for destruction Sahih International

১১. সে অবশ্যই তার ধ্বংস ডাকবে;

-

তাফসীরে জাকারিয়া

১১। অচিরেই সে মৃত্যুকে আহবান করবে। [1]

[1] ثبور অর্থ হল ধ্বংস ও ক্ষতি। অর্থাৎ, সে চিল্লাবে ও চিৎকার করবে, ‘আমি মরে গেলাম, ধ্বংস হয়ে গেলাম’ বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৪ আল-ইনশিকাক
৮৪:১২ وَّ یَصۡلٰی سَعِیۡرًا ﴿ؕ۱۲﴾

আর সে জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে। আল-বায়ান

এবং জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে। তাইসিরুল

এবং জ্বলন্ত আগুনে সে প্রবেশ করবে। মুজিবুর রহমান

And [enter to] burn in a Blaze. Sahih International

১২. এবং জ্বলন্ত আগুনে দগ্ধ হবে;

-

তাফসীরে জাকারিয়া

১২। এবং সে জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৪ আল-ইনশিকাক
৮৪:১৩ اِنَّهٗ کَانَ فِیۡۤ اَهۡلِهٖ مَسۡرُوۡرًا ﴿ؕ۱۳﴾

নিশ্চয় সে তার পরিবার-পরিজনদের মধ্যে আনন্দে ছিল। আল-বায়ান

সে তার পরিবার-পরিজনের মাঝে আনন্দে মগ্ন ছিল, তাইসিরুল

সে তার স্বজনদের মধ্যেতো সহর্ষে ছিল, মুজিবুর রহমান

Indeed, he had [once] been among his people in happiness; Sahih International

১৩. নিশ্চয় সে তার স্বজনদের মধ্যে আনন্দে ছিল,

-

তাফসীরে জাকারিয়া

১৩। কেননা, সে তার স্বজনদের মধ্যে আনন্দে মত্ত ছিল।[1]

[1] অর্থাৎ, দুনিয়ায় নিজের প্রবৃত্তির চাহিদা মিটাতে মগ্ন এবং আপন পরিবারের মাঝে বড় আনন্দিত ছিল।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৪ আল-ইনশিকাক
৮৪:১৪ اِنَّهٗ ظَنَّ اَنۡ لَّنۡ یَّحُوۡرَ ﴿ۚۛ۱۴﴾

নিশ্চয় সে মনে করত যে, সে কখনো ফিরে যাবে না। আল-বায়ান

সে ভাবত যে, সে কক্ষনো (আল্লাহর কাছে) ফিরে যাবে না। তাইসিরুল

যেহেতু সে ভাবতো যে, সে কখনই প্রত্যাবর্তিত হবেনা। মুজিবুর রহমান

Indeed, he had thought he would never return [to Allah]. Sahih International

১৪. সে তো ভাবত যে, সে কখনই ফিরে যাবে না(১);

(১) অর্থাৎ যার আমলনামা তার পিঠের দিক থেকে বাম হাতে আসবে, সে মরে মাটি হয়ে যাওয়ার আকাঙ্খা করবে, যাতে আযাব থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু সেখানে তা সম্ভবপর হবে না। তাকে জাহান্নামে দাখিল করা হবে। এর এক কারণ এই বলা হয়েছে যে, সে দুনিয়াতে তার পরিবার-পরিজনের মধ্যে আখেরাতের প্রতি উদাসীন হয়ে আনন্দ উল্লাসে দিন যাপন করত। সে তার রবের কাছে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে বিশ্বাসী ছিল না। হিসাব-নিকাশের জন্য পুনরুত্থিত হবে না। কারণ সে পুনরুত্থানে ও আখেরাতে মিথ্যারোপ করত। [ফাতহুল কাদীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

১৪। যেহেতু সে ভাবতো যে, সে কখনই প্রত্যাবর্তিত হবে না।[1]

[1] এটা ছিল তার আনন্দিত হওয়ার কারণ। অর্থাৎ, আখেরাতের প্রতি তার বিশ্বাসই ছিল না। حور শব্দের অর্থ হল ফিরে যাওয়া। যেমন, নবী (সাঃ) এ দু’আ করতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযু বিকা মিনাল হাওরি বা’দাল কাওর।’ (সহীহ মুসলিম হজ্জ্ব অধ্যায়, তিরিমিযী, ইবনে মাজাহ) মুসলিম শরীফে ‘বা’দাল কাওন’ শব্দ এসেছে। উদ্দেশ্য হল যে, এ সকল কথা হতে আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যাতে আমি ঈমানের পর কুফরী, আনুগত্যের পর অবাধ্যতা অথবা ভালর পর মন্দের দিকে ফিরে না যাই।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৪ আল-ইনশিকাক
৮৪:১৫ بَلٰۤی ۚۛ اِنَّ رَبَّهٗ کَانَ بِهٖ بَصِیۡرًا ﴿ؕ۱۵﴾

হ্যাঁ, নিশ্চয় তার রব তার প্রতি সম্যক দৃষ্টি দানকারী। আল-বায়ান

অবশ্যই ফিরে যাবে, তার প্রতিপালক তার প্রতি দৃষ্টি রাখছেন। তাইসিরুল

হ্যাঁ,(অবশ্যই প্রত্যাবর্তিত হবে) নিশ্চয়ই তার রাব্ব তার উপর সবিশেষ দৃষ্টি রাখেন। মুজিবুর রহমান

But yes! Indeed, his Lord was ever of him, Seeing. Sahih International

১৫. হ্যাঁ,(১) নিশ্চয় তার রব তার উপর সম্যক দৃষ্টি দানকারী।

(১) অর্থাৎ সে যা মনে করেছে তা ঠিক নয়। সে অবশ্যই তার রবের কাছে ফিরে যাবে। অবশ্যই সে পুনরুথিত হবে। [ফাতহুল কাদীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

১৫। অবশ্যই (সে প্রত্যাবর্তিত হবে)।[1] নিশ্চয়ই তার প্রতিপালক তার উপর সবিশেষ দৃষ্টি রাখেন। [2]

[1] একটা অর্থ এটাও হতে পারে যে, এটা কি করে সম্ভব হতে পারে যে, সে ফিরে আসবে না এবং পুনর্বার জীবিত হবে না? অথবা ‘অবশ্যই’, ‘কেন নয়’, সে অবশ্যই আল্লাহর নিকট ফিরে আসবে।

[2] অর্থাৎ, তার আমল আল্লাহর নিকট কোন রকমের গুপ্ত ছিল না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে