৯৩ সূরাঃ আদ-দুহা | Ad-Dhuha | سورة الضحى - আয়াতঃ ১১
৯৩:১১ وَ اَمَّا بِنِعۡمَۃِ رَبِّکَ فَحَدِّثۡ ﴿۱۱﴾
و اما بنعمۃ ربک فحدث ۱۱

আর তোমার রবের অনুগ্রহ তুমি বর্ণনা কর। আল-বায়ান

আর তুমি তোমার রব-এর নি‘মাতকে (তোমার কথা, কাজকর্ম ও আচরণের মাধ্যমে) প্রকাশ করতে থাক। তাইসিরুল

তুমি তোমার রবের অনুগ্রহের কথা ব্যক্ত করতে থাকো। মুজিবুর রহমান

But as for the favor of your Lord, report [it]. Sahih International

১১. আর আপনি আপনার রবের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দিন।(১)

(১) তৃতীয় নির্দেশ হচ্ছে, মানুষের সামনে আল্লাহর নেয়ামতসমূহ বৰ্ণনা করুন, স্মরণ করুন। নিয়ামত শব্দটি ব্যাপক অৰ্থবোধক। এর অর্থ দুনিয়ার নিয়ামতও হতে পারে আবার এমন-সব নিয়ামতও হতে পারে যা আল্লাহ তা'আলা আখেরাতে দান করবেন। [সা’দী] এ নিয়ামত প্ৰকাশ করার পদ্ধতি বিভিন্ন হতে পারে। সামগ্রিকভাবে সমস্ত নিয়ামত প্রকাশের পদ্ধতি হলো আল্লাহ্‌র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, স্বীকৃতি দেয়া যে, আমি যেসব নিয়ামত লাভ করেছি সবই আল্লাহর মেহেরবানী ও অনুগ্রহের ফল। নবুওয়াতের এবং অহীর নিয়ামত প্রকাশ করা যেতে পারে দ্বীনের প্রচার ও প্রসার করার মাধ্যমে। এ-ছাড়া, একজন অন্যজনের প্রতি যে অনুগ্রহ করে, তার শোকর আদায় করাও আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক পন্থা। হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি অপরের অনুগ্রহের শোকর আদায় করে না, সে আল্লাহ তা’আলারও শোকর আদায় করে না। [আবু দাউদ: ৪৮১১, তিরমিযী: ১৯৫৫, মুসনাদে আহমাদ: ২/৫৮] [কুরতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

১১। আর তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা ব্যক্ত কর।[1]

[1] অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা তোমার উপর যা অনুগ্রহ করেছেন। যেমন, তিনি তোমাকে হিদায়াত, রিসালত ও নবুঅত দান করেছেন, এতীম হওয়া সত্ত্বেও তিনি তোমার তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা করেছেন, তোমাকে অল্পে তুষ্ট করেছেন ও অভাবমুক্ত করেছেন প্রভৃতি। এই সমস্ত অনুগ্রহসমূহের কথা কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়ার সাথে বয়ান কর। এ থেকে জানা যায় যে, আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহের কথা চর্চা এবং প্রকাশ করাকে তিনি পছন্দ করেন। কিন্তু তা অহংকার ও গর্বের সাথে নয়। বরং আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া এবং তাঁর এহসানিতে ডুবে থেকে এবং আল্লাহর কুদরত ও শক্তিকে এই ভয় করে তা ব্যক্ত করতে হবে যে, তিনি যেন আমাদেরকে ঐ সকল নিয়ামত হতে বঞ্চিত না করে দেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান