৫৩ সূরাঃ আন-নাজম | An-Najm | سورة النجم - আয়াতঃ ৬
৫৩:৬ ذُوۡ مِرَّۃٍ ؕ فَاسۡتَوٰی ۙ﴿۶﴾
ذو مرۃ فاستوی ۙ۶

প্রজ্ঞার অধিকারী*। অতঃপর সে স্থির হয়েছিল, আল-বায়ান

প্রজ্ঞার অধিকারী (জিবরাঈল) সে নিজ আকৃতিতে স্থির হয়ে ছিল, তাইসিরুল

প্রজ্ঞা সম্পন্ন; সে নিজ আকৃতিতে স্থির হয়েছিল, মুজিবুর রহমান

One of soundness. And he rose to [his] true form Sahih International

* জিবরীল।

৬. সৌন্দর্যপূর্ণ সত্তা(১)। অতঃপর তিনি স্থির হয়েছিলেন(২),

(১) এর দ্বারা বোঝা যায় যে, ফেরেশতাগণ অত্যন্ত সুন্দর। তারা যেমন সুন্দর তাদের চরিত্ৰও তেমনি। তাই তারা কোন খারাপ সুরত গ্রহণ করেন না। বাহ্যিক ও অভ্যন্তরিন সার্বিকভাবে তারা সুন্দর। কোন কোন মুফাসসির مرة শব্দটির অর্থ করেছেন, শক্তিশালী হওয়া। জিবরাঈলের অধিক শক্তি বর্ণনা করার জন্যে এটাও তারই বিশেষণ। এতে করে এই ধারণার অবকাশ থাকে না, ওহী নিয়ে আগমনকারী ফেরেশতার কাজে কোন শয়তান প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আবার কোন কোন মুফাসসির এর অর্থ করেছেন, প্রজ্ঞাসম্পন্ন, বিবেকবান। আবার কেউ কেউ অর্থ করেছেন, শারিরীক ও মানসিক সুস্থতা। এসবগুলোই মূলত: ফেরেশতাদের গুণ। [দেখুন: কুরতুবী]

(২) এর অর্থ সোজা হয়ে গেলেন। এর দ্বারা উদ্দেশ্য যদি জিবরীল আলাইহিস সালাম হয়, তখন অর্থ হবে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিবরীলকে যখন প্রথম দেখেন, তখন তিনি আকাশ থেকে নিচে অবতরণ করছিলেন। অবতরণের পর তিনি উর্ধ্ব দিগন্তে সোজা হয়ে বসে যান। রাসূলকে দেখা দেওয়ার পর পুনরায় তিনি তার জায়গায় ফিরে যান। অথবা সোজা হয়ে যাওয়ার অর্থ জিবরীল তার সৃষ্ট সঠিক রূপে দাঁড়িয়ে গেলেন। যে প্রকৃত রূপে আল্লাহ্ তাকে সৃষ্টি করেছেন তিনি সে প্রকৃত রূপে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সামনে উপস্থিত হলেন। আর যদি এখানে সোজা হয়ে যাওয়া দ্বারা কুরআন উদ্দেশ্য নেয়া হয় তখন আয়াতের অর্থ হবে, তারপর কুরআন রাসূলের অন্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল। আর যদি এখানে সোজা হওয়া দ্বারা আল্লাহকেই উদ্দেশ্য নেয়া হয়ে থাকে তখন এর অর্থ হবে, আল্লাহ তা'আলা তাঁর আরশের উপর উঠলেন। এ সব তাফসীর সবগুলিই সালফে সালেহীন থেকে বর্ণিত আছে এবং সবগুলিই উদ্দেশ্য হওয়া সম্ভব। [কুরতুবী; ইবন কাসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৬) প্রজ্ঞাসম্পন্ন,[1] সে (জিবরীল নিজ আকৃতিতে) স্থির হয়েছিল,

[1] এর দ্বিতীয় অর্থঃ বলবান। এ থেকে ফিরিশতা জিবরীল (আঃ)-কে বুঝানো হয়েছে; যিনি প্রচন্ড দৈহিক শক্তির অধিকারী। এই ফিরিশতাই নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট অহী নিয়ে এসেছেন এবং তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান