৪৩ সূরাঃ আয-যুখরুফ | Az-Zukhruf | سورة الزخرف - আয়াতঃ ৫৩
৪৩:৫৩ فَلَوۡ لَاۤ اُلۡقِیَ عَلَیۡهِ اَسۡوِرَۃٌ مِّنۡ ذَهَبٍ اَوۡ جَآءَ مَعَهُ الۡمَلٰٓئِكَۃُ مُقۡتَرِنِیۡنَ ﴿۵۳﴾
فلو لا القی علیه اسورۃ من ذهب او جآء معه الملٓئكۃ مقترنین ﴿۵۳﴾

‘তবে তাকে কেন স্বর্ণবলয় প্রদান করা হল না অথবা দলবদ্ধভাবে ফেরেশতাগণ তার সাথে কেন আসল না?’ আল-বায়ান

(সে যদি আল্লাহর রসূলই হয়ে থাকে) তাহলে তাঁকে কেন স্বর্ণ কঙ্কন দেয়া হল না? অথবা সারিবদ্ধভাবে ফেরেশতারা কেন তার সাথে আসল না? তাইসিরুল

মূসাকে কেন দেয়া হল না স্বর্ণ বলয়, অথবা তার সাথে কেন এলো না মালাইকা/ফেরেশতা দলবদ্ধভাবে? মুজিবুর রহমান

Then why have there not been placed upon him bracelets of gold or come with him the angels in conjunction?" Sahih International

৫৩. তবে তাকে (মুসা) কেন দেয়া হল না স্বৰ্ণ-বলয় অথবা তার সংগে কেন আসল না ফেরেশতাগণ দলবদ্ধভাবে?

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৩) সে নবী হলে তাকে স্বর্ণের বালা দেওয়া হল না কেন[1] অথবা তার সঙ্গে দলবদ্ধভাবে ফিরিশতাগণ এল না কেন?’ [2]

[1] সে যুগে মিসর ও পারস্যের বাদশাহরা (জনসাধারণের উপর) পৃথক মর্যাদা ও বিশেষ সম্মানকে বিকশিত করার জন্য সোনার বালা পরিধান করত। অনুরূপ গোত্রের সর্দারদের হাতেও সোনার বালা এবং গলায় সোনার হার ও চেন পরিয়ে দেওয়া হত। আর এগুলোকে তাদের সর্দারির নিদর্শন মনে করা হত। এই জন্যই ফিরআউন মূসা (আঃ) সম্পর্কে বলল যে, যদি তাঁর কোন মর্যাদা ও পৃথক কোন বৈশিষ্ট্য থাকত, তবে তাঁর হাতে সোনার বালা থাকা উচিত ছিল।

[2] যাঁরা এ কথার সত্যায়ন করতেন যে, এ (মূসা) হলেন আল্লাহর রসূল। অথবা বাদশাহদের মত তাঁর মান-মর্যাদাকে প্রকাশ করার জন্য তাঁর সাথে থাকতেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান