৪৩ সূরাঃ আয-যুখরুফ | Az-Zukhruf | سورة الزخرف - আয়াতঃ ৪৯
৪৩:৪৯ وَ قَالُوۡا یٰۤاَیُّهَ السّٰحِرُ ادۡعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِنۡدَكَ ۚ اِنَّنَا لَمُهۡتَدُوۡنَ ﴿۴۹﴾
و قالوا یایه السحر ادع لنا ربك بما عهد عندك اننا لمهتدون ﴿۴۹﴾

আর তারা বলল, ‘হে যাদুকর, তোমার রবের কাছে তুমি আমাদের জন্য তাই প্রার্থনা কর, যার ওয়াদা তিনি তোমার সাথে করেছেন। নিশ্চয় আমরা হিদায়াতের পথে আসব।’ আল-বায়ান

(শাস্তিতে আক্রান্ত হয়ে) তারা বলেছিল- ওহে যাদুকর! তুমি আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালকের কাছে তা চাও যার ও‘য়াদা তিনি তোমার কাছে করেছেন। আমরা অবশ্যই সৎপথে চলব। তাইসিরুল

তারা বলেছিলঃ হে যাদুকর! তোমার রবের নিকট তুমি আমাদের জন্য তা প্রার্থনা কর যা তিনি তোমার সাথে অংগীকার করেছেন; তাহলে আমরা অবশ্যই সৎ পথ অবলম্বন করব। মুজিবুর রহমান

And they said [to Moses], "O magician, invoke for us your Lord by what He has promised you. Indeed, we will be guided." Sahih International

৪৯. আর তারা বলেছিল, হে জাদুকর! তোমার রবের কাছে তুমি আমাদের জন্য তা প্রার্থনা কর যা তিনি তোমার সাথে অঙ্গীকার করেছেন, নিশ্চয়ই আমরা সৎপথ অবলম্বন করব।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৯) ওরা বলেছিল, ‘হে যাদুকর![1] তোমার প্রতিপালক[2] তোমার প্রতি যে অঙ্গীকার করেছেন[3] তুমি তাঁর নিকট আমাদের জন্য তা প্রার্থনা কর; (অঙ্গীকার পূর্ণ করলে) আমরা অবশ্যই সৎপথ অবলম্বন করব।’ [4]

[1] বলা হয় যে, সে যুগে যাদু কোন নিন্দনীয় জিনিস ছিল না। বড় জ্ঞানীদেরকে সম্মানার্থে ‘যাদুকর’ বলে সম্বোধন করা হত। এ ছাড়া সমস্ত মু’জিযা এবং নিদর্শনের ব্যাপারে তাদের ধারণা ছিল যে, এ সব হল মূসা (আঃ)-এর যাদুর ভেলকি। তাই তারা তাঁকে ‘যাদুকর’ বলে সম্বোধন করল।

[2] ‘‘তোমার প্রতিপালক’’ এ কথা তারা তাদের শিরকীয় ধারণার ভিত্তিতে বলেছিল। কারণ, মুশরিকদের বিভিন্ন প্রতিপালক ও উপাস্য হত। অর্থাৎ, ওহে মূসা! তোমার প্রতিপালক দ্বারা এ কাজ করিয়ে নাও!

[3] অর্থাৎ, আমরা ঈমান আনলে আযাব প্রত্যাহার করার অঙ্গীকার।

[4] যদি এ আযাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, তবে আমরা তোমাকে সত্য রসূল বলে মেনে নেব এবং তোমার প্রতিপালকেরই ইবাদত করব। কিন্তু প্রত্যেকবার তারা নিজেদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করত। যেমন, পরের আয়াতে এসেছে এবং সূরা আ’রাফেও এ কথা উল্লিখিত হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান