৪৩ সূরাঃ আয-যুখরুফ | Az-Zukhruf | سورة الزخرف - আয়াতঃ ৩৫
৪৩:৩৫ وَ زُخۡرُفًا ؕ وَ اِنۡ كُلُّ ذٰلِكَ لَمَّا مَتَاعُ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ؕ وَ الۡاٰخِرَۃُ عِنۡدَ رَبِّكَ لِلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۳۵﴾
و زخرفا و ان كل ذلك لما متاع الحیوۃ الدنیا و الاخرۃ عند ربك للمتقین ﴿۳۵﴾

আর তাদের জন্য স্বর্ণনির্মিত এর সব কয়টিই দুনিয়ার জীবনের ভোগ-সামগ্রী। আর আখিরাত তো তোমার রবের কাছে মুত্তাকীদের জন্য । আল-বায়ান

আর স্বর্ণ নির্মিতও দিতাম। এগুলো সবই তো পার্থিব জীবনের ভোগ্য সামগ্রী মাত্র। আর আখিরাত তোমার প্রতিপালকের কাছে তাদেরই জন্য যারা (আল্লাহকে) ভয় করে। তাইসিরুল

এবং স্বর্ণের নির্মিতও। আর এই সবইতো শুধু পার্থিব জীবনের ভোগ সম্ভার। মুত্তাকীদের জন্য তোমার রবের নিকট রয়েছে আখিরাতের কল্যাণ। মুজিবুর রহমান

And gold ornament. But all that is not but the enjoyment of worldly life. And the Hereafter with your Lord is for the righteous. Sahih International

৩৫. আর (অনুরূপ দিতাম) স্বর্ণ নির্মিতও(১); এবং এ সবই তো শুধু দুনিয়ার জীবনের ভোগ-সম্ভার। আর আখিরাত আপনার রবের নিকট মুত্তাকীদের জন্যই।

(১) কাফিররা বলেছিল, মক্কা ও তায়েফের কোন বড় ধনাঢ্য ব্যক্তিকে নবী করা হল না কেন? ৩৩ থেকে ৩৫ নং আয়াতসমূহে এর দ্বিতীয় জওয়াব দেয়া হয়েছে। এর সারমর্ম এই যে, নিঃসন্দেহে নবুওয়তের জন্যে কিছু যোগ্যতা ও শর্ত থাকা জরুরী। কিন্তু ধন-দৌলতের প্রাচুর্যের ভিত্তিতে কাউকে নবুওয়ত দেয়া যায় না। কেননা, ধন-দৌলত আমার দৃষ্টিতে এত নিকৃষ্ট ও হেয় যে, সব মানুষের কাফের হয়ে যাওয়ার আশংকা না থাকলে আমি সব কাফেরের উপর স্বর্ণ-রৌপ্যের বৃষ্টি বর্ষণ করতাম। এই সম্পদ তো এমন সব মানুষের কাছেও আছে যাদের ঘৃণ্য কাজ-কর্মের পংকিলতায় গোটা সমাজ পূতিগন্ধময় হয়ে যায়। অথচ একেই তোমরা মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড বানিয়ে রেখেছে। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘দুনিয়া আল্লাহর কাছে যদি মশার এক পাখার সমানও মর্যাদা রাখত, তবে আল্লাহ কোন কাফেরকে দুনিয়া থেকে এক ঢোক পানিও দিতেন না। [তিরমিযী: ২৩২০]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৩৫) এবং স্বর্ণালংকার।[1] কিন্তু এ সব তো পার্থিব জীবনের ভোগসম্ভার। আর সাবধানীদের জন্য তোমার প্রতিপালকের নিকট রয়েছে পরকাল। [2]

[1] অর্থাৎ, কিছু জিনিস রূপার ও কিছু জিনিস সোনার। কেননা, রকমারি হলে আরো বেশী সুন্দর দেখায়। উদ্দেশ্য হল, দুনিয়ার ধন-মাল আমার দৃষ্টিতে এত তুচ্ছ যে, যদি উল্লিখিত আশঙ্কা না থাকত, তবে আল্লাহর সকল অস্বীকারকারীকে প্রচুর ধন-দৌলত দেওয়া হত। কিন্তু এতে বিপদ এই ছিল যে, সকল মানুষ দুনিয়ার পূজারী হয়ে যেত। দুনিয়া যে অতি তুচ্ছ তা এই হাদীস দ্বারাও পরিষ্কার হয়ে যায়। বলা হয়েছে, ‘‘যদি আল্লাহর কাছে দুনিয়ার মূল্য একটি মশার ডানার সমানও হত, তবে মহান আল্লাহ কোন কাফেরকে এই দুনিয়া থেকে এক আঁচলা পানিও পান করতে দিতেন না।’’ (তিরমিযী, ইবনে মাজাহঃ যুহ্দ অধ্যায়)

[2] যারা শিরক ও অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকে এবং আল্লাহর আনুগত্য করে, তাদের জন্য হল আখেরাত এবং জান্নাতের এমন সব নিয়ামত, যা ধ্বংসশীল ও শেষ হওয়ার নয়।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান