(ফেরেশতাদেরকে বলা হবে) ‘একত্র কর যালিম ও তাদের সঙ্গী-সাথীদেরকে এবং যাদের ইবাদাত তারা করত তাদেরকে। আল-বায়ান
(হুকুম দেয়া হবে) ‘একত্র কর যালিমদেরকে আর তাদের সঙ্গীদেরকে এবং তাদেরকেও, যাদের তারা ‘ইবাদাত করত তাইসিরুল
(মালাইকাকে বলা হবে) একত্রিত কর যালিম ও তাদের সহচরদেরকে এবং তাদেরকে যাদের ইবাদাত করত, মুজিবুর রহমান
[The angels will be ordered], "Gather those who committed wrong, their kinds, and what they used to worship Sahih International
২২. (ফেরেশতাদেরকে বলা হবে,) একত্র কর যালিম(১) ও তাদের সহচরদেরকে(২) এবং তাদেরকে, যাদের ইবাদাত করত তারা—
(১) আল্লামা শানকীতী বলেন, যালেম বলে এখানে কাফেরদেরকে বোঝানো হয়েছে। কারণ, পরবর্তী অংশ “আর যাদের ইবাদাত করত তারা আল্লাহর পরিবর্তে” থেকে এটাই সুস্পষ্ট। কুরআনের বিভিন্ন স্থানে যুলুম বলে শির্ক উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। [আদওয়াউল বায়ান]
(২) ইবনে আব্বাস বলেন, এখানে أزواج বলে অনুরূপ ও সমমতের লোক বোঝানো হয়েছে। কাতাদাহ বলেন, এর দ্বারা তাদের মত অন্যান্য কাফের বোঝানো হয়েছে। [তাবারী]
তাফসীরে জাকারিয়া(২২) (ফিরিশতাদেরকে বলা হবে,) একত্র কর অত্যাচারীদেরকে,[1] ওদের সহচরদেরকে[2] এবং তাদেরকে যাদের ওরা উপাসনা করত;[3]
[1] অর্থাৎ, যারা কুফর, শিরক এবং নাফরমানী করেছে। এটা হবে আল্লাহর আদেশ।
[2] এর অর্থ কুফর, শিরক এবং রসূলগণকে অস্বীকারকারীদের সহচর ও সাথিগণ থেকে উদ্দেশ্য অনেকের নিকট জ্বিন ও শয়তানগণ। আবার অনেকে বলেন যে, ঐ সকল স্ত্রীগণ যারা কুফর ও শিরক করাতে তাদের সাথী হয়েছিল।
[3] ما (যাদের) শব্দটি ব্যাপকার্থে ব্যবহার করে সকল উপাস্যকে বুঝানো হয়েছে। সে উপাস্য মূর্তি হোক বা আল্লাহর কোন নেক বান্দা, সকলকে লজ্জিত করার জন্য একত্রিত করা হবে। নেক ব্যক্তিদের তো আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবেন, তবে অন্য উপাস্যগুলিকে তাদের সাথেই জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, যাতে তারা দেখতে পায় যে, এরা কারো উপকার বা অপকার করতে অক্ষম।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান