৪২ সূরাঃ আশ-শূরা | Ash-Shura | سورة الشورى - আয়াত নং - ৩৭ - মাক্কী
আর যারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্যকলাপ থেকে বেঁচে থাকে এবং যখন রাগান্বিত হয় তখন তারা ক্ষমা করে দেয়। আল-বায়ান
যারা বড় বড় পাপ এবং অশ্লীল কার্যকলাপ হতে বেঁচে চলে এবং রাগান্বিত হয়েও ক্ষমা করে। তাইসিরুল
যারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কাজ হতে বেঁচে থাকে এবং ক্রোধাবিষ্ট হয়েও ক্ষমা করে দেয় – মুজিবুর রহমান
And those who avoid the major sins and immoralities, and when they are angry, they forgive, Sahih International
৩৭. আর যারা কবীরা গোনাহ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে এবং যখন রাগান্বিত হয় তখন তারা ক্ষমা করে দেয়।(১)
(১) এটা খাঁটি মুমিনদের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ। তারা ক্রোধের সময় নিজেদেরকে হারিয়ে ফেলে না, বরং তখনও ক্ষমা ও অনুকম্পা তাদের মধ্যে প্ৰবল থাকে। ফলে ক্ষমা করে দেয়। তারা রুক্ষ ও ক্রুদ্ধ স্বভাবের হয় না, বরং নাম স্বভাব ও ধীর মেজাজের মানুষ হয়। তাদের স্বভাব প্রতিশোধ পরায়ণ হয় না। তারা আল্লাহর বান্দাদের সাথে ক্ষমার আচরণ করে এবং কোন কারণে ক্রোধান্বিত হলেও তা হজম করে। এটি মানুষের সর্বোত্তম গুণাবলীর অন্তর্ভুক্ত। কুরআন মজীদ একে অত্যন্ত প্রশংসার যোগ্য বলে ঘোষণা করেছে। [আলে ইমরান: ১৩৪] এবং একে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাফল্যের বড় বড় কারণসমূহের মধ্যে গণ্য করা হয়েছে। [আলে ইমরান: ১৫৯] অনুরুপভাবে হাদীসে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বৰ্ণনা করেছেনঃ “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যক্তিগত কারণে কখনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। তবে আল্লাহর কোন হুরমত বা মর্যাদার অবমাননা করা হলে তিনি শাস্তি বিধান করতেন।” [বুখারী: ৩৫৬০, মুসলিম: ২৩২৭]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৭) এবং যারা মহাপাপ ও অশ্লীল কাজ হতে দূরে থাকে এবং ক্রোধান্বিত হলে ক্ষমা করে দেয়।[1]
[1] অর্থাৎ, মানুষকে ক্ষমা করে দেওয়া হল তাদের প্রকৃতি ও স্বভাবের অংশ; প্রতিশোধ গ্রহণ করা নয়। যেমন, রসূল (সাঃ)-এর সম্পর্কে এসেছে যে, (مَا انْتَقَمَ لِنَفْسِهِ قَطُّ إِلاَّ أَنْ تُنْتَهَكَ حُرُمَاتُ اللهِ) ‘‘তিনি নিজের জন্য কোন দিন প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। তবে আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করা হলে, তার ব্যাপার হত ভিন্ন। (অর্থাৎ, এই ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর নিমিত্তে তার প্রতিশোধ নিতেন)।’’ (বুখারীঃ আদব অধ্যায়)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান