পরিচ্ছেদঃ ১০/১৪১. সিজদা্য় কনুই বিছিয়ে না দেয়া।
وَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ سَجَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَوَضَعَ يَدَيْهِ غَيْرَ مُفْتَرِشٍ وَلاَ قَابِضِهِمَا.
আবূ হুমাইদ (রাযি.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদা্ করেছেন এবং তাঁর দু’হাত রেখেছেন, কিন্তু বিছিয়েও দেননি আর তা গুটিয়েও দেননি।
৮২২. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সিজদায় (অঙ্গ প্রত্যঙ্গের) সামঞ্জস্য রক্ষা কর এবং তোমাদের মধ্যে কেউ যেন দু’ হাত বিছিয়ে না দেয়, যেমন কুকুর বিছিয়ে দেয়। (২৪১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৮৪)
بَاب لاَ يَفْتَرِشُ ذِرَاعَيْهِ فِي السُّجُودِ
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ اعْتَدِلُوا فِي السُّجُودِ وَلاَ يَبْسُطْ أَحَدُكُمْ ذِرَاعَيْهِ انْبِسَاطَ الْكَلْبِ.
Narrated Anas bin Malik:
The Prophet (ﷺ) said, "Be straight in the prostrations and none of you should put his forearms on the ground (in the prostration) like a dog."
পরিচ্ছেদঃ ৫৩২. সিজদায় কনুই বিছিয়ে না দেওয়া। আবূ হুমাইদ (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) সিজদা করেছেন এবং তাঁর দু’হাত রেখেছেন, কিন্তু বিছিয়েও দেননি আবার তা গুটিয়েও রাখেন নি।
৭৮৪। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সিজদায় (অঙ্গ প্রত্যঙ্গের) সামঞ্জস্য রক্ষা কর এবং তোমাদের মধ্যে কেউ যেন দু’হাত বিছিয়ে না দেয় যেমন কুকুর বিছিয়ে দেয়।
باب لاَ يَفْتَرِشُ ذِرَاعَيْهِ فِي السُّجُودِ وَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ سَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَضَعَ يَدَيْهِ غَيْرَ مُفْتَرِشٍ وَلاَ قَابِضِهِمَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اعْتَدِلُوا فِي السُّجُودِ، وَلاَ يَبْسُطْ أَحَدُكُمْ ذِرَاعَيْهِ انْبِسَاطَ الْكَلْبِ ".
Narrated Anas bin Malik:
The Prophet (s) said, "Be straight in the prostrations and none of you should put his forearms on the ground (in the prostration) like a dog."
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. সিজদার অঙ্গসমূহ ঠিকভাবে রাখা এবং দুই হাতের তালু মাটিতে রাখা, দুই কনুই পাঁজর থেকে ও পেট উরু থেকে পৃথক রাখা
৯৮৫। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সিজদার সময় অঙ্গসমূহ সঠিক রাখবে-কুকুরের মত দুই হাত বিছিয়ে দিবে না।
باب الاِعْتِدَالِ فِي السُّجُودِ وَوَضْعِ الْكَفَّيْنِ عَلَى الأَرْضِ وَرَفْعِ الْمِرْفَقَيْنِ عَنِ الْجَنْبَيْنِ وَرَفْعِ الْبَطْنِ عَنِ الْفَخِذَيْنِ فِي السُّجُودِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اعْتَدِلُوا فِي السُّجُودِ وَلاَ يَبْسُطْ أَحَدُكُمْ ذِرَاعَيْهِ انْبِسَاطَ الْكَلْبِ " .
Anas reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Observe moderation in prostration, and let none of you stretch out his forearms (on the ground) like a dog.
পরিচ্ছেদঃ ১২৪. সশব্দে বিসমিলল্লাহ না বলা প্রসঙ্গে
৭৮৩। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শুরু করতেন তাকবীরে তাহরীমার দ্বারা আর কিরাত শুরু করতেন আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল ’আলামীন দ্বারা। তিনি রুকু’তে স্বীয় মাথা উঁচুও করতেন না আবার নীচুও করতেন না বরং পিঠের সাথে সমান্তরাল করে রাখতেন। তিনি রুকু’ হতে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পূর্বে সিজদায় যেতেন না এবং এক সিজদার পর সোজা হয়ে বসার পূর্বে দ্বিতীয় সিজদা্ করতেন না। তিনি প্রত্যেক দু’ রাক’আত সালাত শেষে ’আত্তাহিয়্যাতু’ (তাশাহুদ) পড়তেন। অতঃপর বসার সময় বাম পা বিছিয়ে দিয়ে ডান পা খাড়া করে রাখতেন। তিনি শয়তানের ন্যায় (দুই গোড়ালীর উপর পাছা রেখে) বসতে এবং চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় (মাটিতে দু’ হাত বিছিয়ে) সিজদা্ করতে নিষেধ করতেন। তিনি সালামের দ্বারা সালাত সমাপ্ত করতেন। [1]
সহীহ : মুসলিম।
باب مَنْ لَمْ يَرَ الْجَهْرَ بِـ { بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ }
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ الصَّلَاةَ بِالتَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةَ بِـ ( الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ) وَكَانَ إِذَا رَكَعَ لَمْ يُشْخِصْ رَأْسَهُ وَلَمْ يُصَوِّبْهُ وَلَكِنْ بَيْنَ ذَلِكَ وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَائِمًا وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا وَكَانَ يَقُولُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ " التَّحِيَّاتُ " . وَكَانَ إِذَا جَلَسَ يَفْرِشُ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَيَنْصِبُ رِجْلَهُ الْيُمْنَى وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عَقِبِ الشَّيْطَانِ وَعَنْ فِرْشَةِ السَّبُعِ وَكَانَ يَخْتِمُ الصَّلَاةَ بِالتَّسْلِيمِ .
- صحيح : م
‘A’ishah said:
The Messenger of Allah(ﷺ) began prayer with the takbir (Allah is most great) and with reciting “Praise be to Allah, the Lord of the Universe”. And when he bowed, he neither raised up nor lowered down his head, but kept it between the two (conditions). And when he raised his head after bowing, he did not prostrate himself until he stood up straight; and when he raised his head after prostration, he did not prostrate (the second time) until he sat down properly; and he recited al-tahiyyat after every pair of rak’ahs; and when he sat, he spread out his left foot and raised his right. He forbade to sit like the sitting of the devil, and to spread out to hands (on the ground in prostration) like animals. He used to finish prayer with uttering the salutation.
পরিচ্ছেদঃ ৯৩. সঠিকভাবে সিজদা করা
২৭৫। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন সিজদা করে তখন সে যেন সঠিকভাবে সিজদা করে এবং কুকুরের মত যমিনে যেন হাত বিছিয়ে না দেয়। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৮৯১)।
এ অনুচ্ছেদে আবদুর রহমান ইবনু শিবল, বারাআ, আনাস, আবৃ হুমাইদ ও আয়িশাহ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ জাবিরের হাদীসটি হাসান সহীহ। আলিমগণ সঠিকভাবে সিজদা করার (এবং দুই সিজদার মাঝখানে বিরতি দেয়ার) প্রতি জোর দিয়েছেন এবং হিংস্র জন্তুর মত হাত মাটিতে বিছিয়ে দেয়াকে মাকরূহ বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الاِعْتِدَالِ فِي السُّجُودِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا سَجَدَ أَحَدُكُمْ فَلْيَعْتَدِلْ وَلاَ يَفْتَرِشْ ذِرَاعَيْهِ افْتِرَاشَ الْكَلْبِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِبْلٍ وَأَنَسٍ وَالْبَرَاءِ وَأَبِي حُمَيْدٍ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَخْتَارُونَ الاِعْتِدَالَ فِي السُّجُودِ وَيَكْرَهُونَ الاِفْتِرَاشَ كَافْتِرَاشِ السَّبُعِ .
Jabir narrated that :
the Prophet said: "When one of you prostrates, then let him be balanced, and let him not lay his forearms down like the lying of the dog."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩. সঠিকভাবে সিজদা করা
২৭৬। কাতাদা (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সঠিকভাবে সিজদা কর। তোমাদের কেউ যেন নামাযের মধ্যে কুকুরের মত যমিনে হাত বিছিয়ে না দেয়। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৮৯২), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الاِعْتِدَالِ فِي السُّجُودِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اعْتَدِلُوا فِي السُّجُودِ وَلاَ يَبْسُطَنَّ أَحَدُكُمْ ذِرَاعَيْهِ فِي الصَّلاَةِ بَسْطَ الْكَلْبِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Anas narrated that :
Allah's Messenger said: "Be balanced in the prostration, and let one of you not spread his forearms (on the ground) in the Salat like the spreading of the dog."
পরিচ্ছেদঃ সিজদায় মধ্যমপন্থা অবলম্বন।
২৭৫. হান্নাদ (রহঃ) .... জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন তোমাদের কেউ যখন সিজাদ করবে তখন সে যেন মধ্যপন্থা অবলম্বন করে এবং কুকুরের মত কনুই পর্যন্ত হাত যেন বিছিয়ে না রাখে। - ইবনু মাজাহ ৮৯১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৭৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবদুর রাহমান ইবনু শিবল, বারা, আনাস, আবূ হুমায়দ, আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসটি হাসান ও সহীহ। আলিমগণ এই হাদিস অনুসারে আমল করেছেন। সিজদার মাঝে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা পছন্দনীয় বলে এবং হিংস্র জন্তুর মত কনুই পর্যন্ত হাত বিছিয়ে রাখা মাকরুহ বলে মত প্রকাশ করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الاِعْتِدَالِ فِي السُّجُودِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا سَجَدَ أَحَدُكُمْ فَلْيَعْتَدِلْ وَلاَ يَفْتَرِشْ ذِرَاعَيْهِ افْتِرَاشَ الْكَلْبِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِبْلٍ وَأَنَسٍ وَالْبَرَاءِ وَأَبِي حُمَيْدٍ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَخْتَارُونَ الاِعْتِدَالَ فِي السُّجُودِ وَيَكْرَهُونَ الاِفْتِرَاشَ كَافْتِرَاشِ السَّبُعِ .
Jabir narrated that :
the Prophet said: "When one of you prostrates, then let him be balanced, and let him not lay his forearms down like the lying of the dog."
পরিচ্ছেদঃ সিজদায় মধ্যমপন্থা অবলম্বন।
২৭৬. মাহামূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ...... কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন আমি আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছি যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন তোমরা সিজাদায় মধ্যমপন্থা অবলম্বন করবে। তোমাদের কেউ যেন কুকুরের মত কনুই পর্যন্ত হাত বিছিয়ে না থাকে। - ইবনু মাজাহ ৮৯২, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৭৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদিসটি হাসান ও সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الاِعْتِدَالِ فِي السُّجُودِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اعْتَدِلُوا فِي السُّجُودِ وَلاَ يَبْسُطَنَّ أَحَدُكُمْ ذِرَاعَيْهِ فِي الصَّلاَةِ بَسْطَ الْكَلْبِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Anas narrated that :
Allah's Messenger said: "Be balanced in the prostration, and let one of you not spread his forearms (on the ground) in the Salat like the spreading of the dog."
পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৭৯১-[২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীর ও ক্বিরাআত (কিরআত) ’’আলহামদু লিল্লা-হি রব্বিল ’আ-লামীন’’ দ্বারা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শুরু করতেন। তিনি যখন রুকূ’ করতেন মাথা খুব উপরেও করতেন না, আবার বেশী নীচুও করতেন না, মাঝামাঝি রাখতেন। রুকূ’ হতে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে না দাঁড়িয়ে সাজদায় যেতেন না। আবার সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) হতে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে না বসে দ্বিতীয় সাজদায় যেতেন না। প্রত্যেক দু’ রাক্’আতের পরই বসে আত্তাহিয়্যাতু পড়তেন। বসার সময় তিনি তাঁর বাম পা বিছিয়ে দিতেন। ডান পা খাড়া রাখতেন। শায়ত্বনের (শয়তানের) মতো কুকুর বসা বসতে নিষেধ করতেন। সাজদায় পশুর মতো মাটিতে দু’ হাত বিছিয়ে দিতেও নিষেধ করতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করতেন সালামের মাধ্যমে। (মুসলিম)[1]
بَابُ صِفَةِ الصَّلَوةِ
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَفْتِحُ الصَّلَاةَ بِالتَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةِ بِ (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ)
وَكَانَ إِذَا رَكَعَ لَمْ يُشْخِصْ رَأْسَهُ وَلَمْ يُصَوِّبْهُ وَلَكِنْ بَيْنَ ذَلِكَ وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَائِمًا وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السَّجْدَةِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ جَالِسًا وَكَانَ يَقُولُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ التَّحِيَّةَ وَكَانَ يَفْرِشُ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَيَنْصِبُ رِجْلَهُ الْيُمْنَى وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عُقْبَةِ الشَّيْطَانِ وَيَنْهَى أَنْ يَفْتَرِشَ الرَّجُلُ ذِرَاعَيْهِ افْتِرَاشَ السَّبُعِ وَكَانَ يخْتم الصَّلَاة بِالتَّسْلِيمِ. رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: ক্বিরাআত (কিরআত) শুরু করবে সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ দ্বারা। তারপর অন্য সূরাহ্ পড়বে। প্রত্যেক কাজ শুরু করার দু‘আ হলো বিসমিল্লা-হ পড়া সেটা পড়া যাবে। বিসমিল্লা-হ ক্বিরাআতের অন্তর্ভুক্ত নয়। এটা প্রমাণিত হয় যে, বিসমিল্লা-হ সূরাহ্ আল ফাতিহার অংশ নয়। তাই সালাতে স্বজোরে বিসমিল্লা-হ পরিত্যাগ করা শার‘ঈ বিধান।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ‘তে মাথা বেশী উঁচু করতেন না এবং বেশী নিচুও করতেন না। বরং উঁচু ও নিচু এর মাঝামাঝি সোজা রাখতেন যাতে পিঠ ও গর্দান সোজা সমান্তরাল রাখতে
তোমরা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করো যেমনটি তোমরা আমাকে সালাত আদায় করতে দেখছো। এ আদেশসূচক ক্রিয়া দ্বারা ওয়াজিব সাব্যস্ত হবে। দলীল পেশ করা হবে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি দিয়ে।
শায়ত্বনের (শয়তানের) ন্যায় বসাঃ শায়ত্বনের (শয়তানের) বসা দু’ ধরনের হতে পারেঃ (১) উভয় পা খাড়া করে কটিদেশকে পায়ের গোড়ালির উপর রেখে বসা, (২) নিতম্ব জমিনের উপর রেখে দু’ হাঁটু খাড়া করে দু’ হাত জমিনের উপর রেখে কুকুরের মতো বসা।
সালাতে বসার নিয়মঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাতে বসার সাধারণ নিয়ম ছিল। উভয় বৈঠকের মধ্যে বাম পা বিছিয়ে তার পাতার উপর বসতেন এবং ডান পায়ের আঙ্গুলগুলো ক্বিবলামুখী রেখে পায়ের মুড়ি উপরের দিকে খাড়া করে রাখতেন। ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) বলেন, প্রথম বৈঠকে এরূপ বসবে। কিন্তু যখন সালাত দু’ তিন বা চার রাক্‘আত বিশিষ্ট হয় তখন শেষ বৈঠকে এরূপ বসা সুন্নাত নয়।
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম দিয়ে সালাত শেষ করতেন। তাই বুঝা গেল, সালাত থেকে বের হওয়ার একমাত্র পদ্ধতি হলো সালাম দিয়ে বের হওয়া।
পরিচ্ছেদঃ ১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - সিজদা্ ও তার মর্যাদা
৮৮৮-[২] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) ঠিক মত করবে। তোমাদের কেউ যেন সাজদায় কুকুরের মতো জমিনে হাত বিছিয়ে না দেয়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْسُّجُوْدِ وَفَضْلِه
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اعْتَدِلُوا فِي السُّجُودِ وَلَا يَبْسُطْ أَحَدُكُمْ ذِرَاعَيْهِ انْبِسَاطَ الْكَلْبِ»
ব্যাখ্যা: (اِعْتَدِلُوْا فِي السُّجُوْدِ) দু’ হাতের তালু জমিনের উপর রাখার ধীরস্থিরতা অবলম্বন করো।
আর দু’হাতের দু’ কনুই উঁচু রাখবে জমিন ও শরীরের দু’ পার্শ্ব থেকে। পেট রান থেকে এমনভাবে দূরে থাকবে পর্দা না থাকলে যেন বগলের ভিতরটা দেখা যাবে। এটাই হচ্ছে বিনয় প্রকাশের নমুনা এবং কপাল ও নাককে জমিনের উপর রাখার চূড়ান্ত রূপ আর সালাতে অলসতা দূর করার অন্যতম মাধ্যম।
ইবনু দাক্বীক্ব বলেছেনঃ ধীরস্থির দ্বারা উদ্দেশ্য হলো শারী‘আতের নিয়ম অনুসারে সাজদার ধরণটা বর্ণনা করা আর রুকূ‘র বিষয়টি উদ্দেশিত ইন্দ্রিয়যোগ্য অনুভূতি যা সাজদায় নয়, বরং এখানে হলো পিঠ ও ঘাড়কে সোজা রাখা আর উদ্দেশ্য হলো শরীরের নীচের অংশকে উপরে রাখা এবং উপরের অংশকে নীচে রাখা (মাথা নীচে যাচ্ছে আর পিঠ পা উপরে থাকছে)।
আর হাদীসে নিষেধাজ্ঞা বিষয়টি হলো (কুকুরের মতো হাত বিছিয়ে সিজদা্ করবে না) সালাতে অলসতা ও গুরুত্ব কম দেয়া।
আবূ দাঊদ তাঁর ‘মারাসীল’-এ ইয়াযীদ ইবনু আবী হানী হতে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’জন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়রত মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন এবং বললেন, তোমরা যখন সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করবে। তোমরা তোমাদের শরীরের গোশ্ত (গোশত/গোস্ত/গোসত) তথা পেটকে জমিনের সাথে মিশাবে/মিলিত করবে।
(وَلَا يَبْسُطْ أَحَدُكُمْ ذِرَاعَيْهِ) কুকুরের মতো যেন মাটিতে হাত বিছিয়ে না দেয় কুকুরের হাত বিছানো হলো কনুই সহকারে দু’হাতের তালু মাটিতে রাখা।
অনুরূপ হাদীস এসেছে আহমাদ ও তিরমিযীতে এবং ইবনু খুযায়মাহ্ জাবির (রাঃ) হতে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত।
এটা তোমাদের কেউ সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করলে ধীরস্থিরভাবে যেন করে আর কুকুরের মতো যেন হাত মাটিতে না বিছায়।
ইবনু হাজার বলেন, সাজদায় এ অবস্থাটা তথা কুকুরের মতো হাত বিছানো জঘন্য অবস্থা। বিশেষ করে এটা বিনয় নম্রতার বিপরীত তবে যে লম্বা সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করে হাতের তালুর উপর ভর করাটা কষ্টকর হয় তাহলে হাতের কনুই হাঁটুর উপর রাখবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সংবাদ অনুযায়ী।
পরিচ্ছেদঃ ১৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সিজদা্ ও তার মর্যাদা
৯০২-[১৬] ’আবদুর রহমান ইবনু শিবল (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাজদায় কাকের মতো ঠোঁকর মারতে, হিংস্র প্রাণীর মতো জমিনে হাত বিছিয়ে দিতে ও উটের মতো মসজিদের মধ্যে নিজের জন্য স্থান নির্দিষ্ট করে নিতে নিষেধ করেছেন। (আবূ দাঊদ, নাসায়ী ও দারিমী)[1]
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِبْلٍ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَن نَقْرَةِ الْغُرَابِ وَافْتِرَاشِ السَّبُعِ وَأَنْ يُوَطِّنَ الرَّجُلُ الْمَكَانَ فِي الْمَسْجِدِ كَمَا يُوَطِّنُ الْبَعِيرُ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ والدارمي
ব্যাখ্যা: (نُقْرَةِ الْغُرَابِ) ‘‘কাকের ন্যায় ঠোকর মারা’’ তথা ধীরস্থিরতাকে পরিহার করা, সাজদাকে এমনভাবে হালকা করা এতটুকু সময় নিয়ে কাক যেমন খাবারের উদ্দেশে তার ঠোঁটকে মাটিতে মারে।
খাত্ত্বাবী বলেনঃ ব্যক্তি সাজদায় ধীরস্থিরতা অবলম্বন করে না তার কপালকে মাটিতে এমনভাবে রাখে বা এমনভাবে মাটিকে স্পর্শ করে যেন পাখির ঠোঁকরের মতো।
(اِفْتِرَاشِ السَّبُعِ) ‘‘হিংস্র জন্তুর ন্যায় হাতের বাহু মাটিতে বিছানো’’। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেনঃ সাজদাতে হাতের বাহুকে বিছাতে এবং জমিন থেকে বাহুকে উঁচু না করা যেমনিভাবে হিংস্র প্রাণী কুকুর, বাঘ ইত্যাদি বাহু বিছিয়ে দিয়ে বসে।
ইবনু হাজার আল আসক্বালানী বলেনঃ এভাবে নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো এভাবে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় শুধুমাত্র লোক দেখানো, শুনানো ও প্রসিদ্ধতার জন্য হয়ে থাকে (সত্যিকার সালাত আদায় হয় না)।
পরিচ্ছেদঃ ৭৫. (সিজদায় হাত) বিছিয়ে দেয়া ও কাকের ন্যায় ঠোকর মারা নিষেধ
১৩৫৮. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা ধীর-স্থিরতার সাথে রুকূ’ করো এবং তোমাদের কেউ যেন (সিজদা সময়) তার (কনুই পর্যন্ত) দু’হাত কুকুরের মতো বিছিয়ে না দেয়।”[1]
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৮২২; সহীহ মুসলিম ৪৯৩; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮৫৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৯২৬ এ।
بَاب النَّهْيِ عَنْ الِافْتِرَاشِ وَنَقْرَةِ الْغُرَابِ
أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ وَسَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ قَالَا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَدِلُوا فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَلَا يَبْسُطْ أَحَدُكُمْ ذِرَاعَيْهِ بِسَاطَ الْكَلْبِ