পরিচ্ছেদঃ ১৭: সূর্য গ্রহণকালীন সালাত কিরাআতের পরিমাণ
১৪৯৩. মুহাম্মাদ ইবনু সালামাহ (রহ.) ..... ‘আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ লাগল, তখন রসূলুল্লাহ (সা.) দু' রাক'আত সালাত আদায় করলেন। অন্যান্য মানুষও তার সঙ্গে ছিল। তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে তাতে সূরা বাক্বারার পরিমাণ কিরা’আত পড়লেন। তিনি বলেন, তারপর দীর্ঘক্ষণ রুকূ করলেন, এরপর মাথা উঠিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন কিন্তু তা আগের দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর দীর্ঘক্ষণ রুকূ করলেন আর তা আগের রুকূ থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল, তারপর সাজদাহ করলেন। পরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন কিন্তু তা পূর্ববর্তী দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। এরপর দীর্ঘক্ষণ রুকূ করলেন, আর তা আগের রুকূ থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল, তারপর মাথা উঠিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন আর তা পূর্ববর্তী দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। পুনরায় লম্বা রুকূ করলেন, আর তা আগের রুকূ থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর সাজদাহ্ করলেন, আর এভাবে সালাত শেষ করলেন। ইত্যবসরে সূর্য আলোকিত হয়ে গেল। তিনি বললেন, চন্দ্র-সূর্য আল্লাহর নিদর্শনসমূহের দু'টি নিদর্শন, কারো জন্ম-মৃত্যুর কারণে তাদের গ্রহণ হয় না। অতএব, তোমরা যখন তা দেখবে তখন আল্লাহর স্মরণ করবে। তারা (সাহাবীগণ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা দেখলাম যে, আপনি আপনার এ স্থানে কোন কিছু ধরতে চাইলেন। তারপর আপনাকে দেখলাম যে, আপনি পিছু হটে গেলেন। তিনি বললেন, আমি জান্নাত দেখলাম অথবা আমাকে তা দেখানো হলো। আমি তা থেকে একটি আঙ্গুরের ছড়া নিতে চাইলাম। যদি আমি তা নিতাম তাহলে অবশ্যই তোমরা তা থেকে পৃথিবী বিদ্যমান থাকা অবধি খেতে পারতে, আর আমি জাহান্নামও দেখলাম। আমি আজ যে দৃশ্য দেখেছি তা আর কখনো দেখিনি। আর আমি তার অধিকাংশ অধিবাসী মহিলাদেরকে দেখেছি। তারা বলল, (এরূপ) কেন? হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, তাদের নাশোকরীর কারণে। বলা হলো, তারা কি আল্লাহর নাশোকরী করে? তিনি বললেন, তারা স্বামীর নাশোকরী করে, তারা দয়ার নাশোকরী করে। যদি তুমি তাদের কারো প্রতি সুদীর্ঘকাল দয়া করে থাক, এরপর যদি তোমার কাছে অমনোপূত সামান্য কোন কিছুও দেখতে পায়, তা হলে বলবে, আমি তোমার কাছে মনোপূত কোন কিছু কখনও দেখিনি।
باب قَدْرِ الْقِرَاءَةِ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قال: حَدَّثَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، قال: حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قال: خَسَفَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ مَعَهُ، فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلًا قَرَأَ نَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ، قَالَ: ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا، ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ، ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ قَامَ قِيَامًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ، ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ، ثُمَّ سَجَدَ، ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ، فَقَالَ: إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَا يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ . (حديث موقوف) (حديث مرفوع) قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْنَاكَ تَنَاوَلْتَ شَيْئًا فِي مَقَامِكَ هَذَا ثُمَّ رَأَيْنَاكَ تَكَعْكَعْتَ، قَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ الْجَنَّةَ أَوْ أُرِيتُ الْجَنَّةَ فَتَنَاوَلْتُ مِنْهَا عُنْقُودًا وَلَوْ أَخَذْتُهُ لَأَكَلْتُمْ مِنْهُ مَا بَقِيَتِ الدُّنْيَا، وَرَأَيْتُ النَّارَ فَلَمْ أَرَكَ الْيَوْمِ مَنْظَرًا قَطُّ وَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا النِّسَاءَ ، قَالُوا: لِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ؟ قَالَ: بِكُفْرِهِنَّ ، قِيلَ: يَكْفُرْنَ بِاللَّهِ، قَالَ: يَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ وَيَكْفُرْنَ الْإِحْسَانَ، لَوْ أَحْسَنْتَ إِلَى إِحْدَاهُنَّ الدَّهْرَ ثُمَّ رَأَتْ مِنْكَ شَيْئًا، قَالَتْ: مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَطُّ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/الإیمان ۲۱ (۲۹) مختصراً، ال صلاة ۵۱ (۴۳۱) مختصراً، الأذان ۹۱ (۷۴۸) مختصراً، الکسوف ۹ (۱۰۵۲)، بدء الخلق ۴ (۳۲۰۲) مختصراً، النکاح ۸۸ (۵۱۹۷)، صحیح مسلم/الکسوف ۳ (۹۰۷)، سنن ابی داود/الصلاة ۲۶۳ (۱۱۸۹)، (تحفة الأشراف: ۵۹۷۷)، موطا امام مالک/الکسوف ۱ (۲)، مسند احمد ۱/۲۹۸، ۳۵۸، سنن الدارمی/الصلاة ۱۸۷ (۱۵۶۹) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1494 - صحيح
Length of recitation for the eclipse prayer
It was narrated that 'Abdullah bin Abbas said: There was an eclipse of the sun and the Messenger of Allah (ﷺ) prayed and the people with him. He stood for long time reciting something like Surah Al-Baqarah, then he raised (his head) and stood for a long time, then he raised (his head) and stood for a long time which was shorter than the first time. Then he bowed for a long time, which was shorter than the first time, then he prostrated. Then he got up and stood for a long time, which was shorter than the first time, then he bowed for a long time, which was shorter than the first time, then he raised (his head) and stood for a long time, which was shorter than the first time. Then he bowed for a long time, which was shorter than the first time, then he prostrated, then he finished (his prayer) and the sun had been clear. He said: 'The sun and the moon are two of the signs of Allah (SWT) and they do not become eclipsed for the death or birth of anyone. If you see that then remember Allah (SWT) the Mighty and Sublime.' They said: 'O Messenger of Allah (ﷺ), we saw you stretching out your hand when you were standing, then we saw you moving backward. He said: 'I saw Paradise-or it was shown to me- and I reached out to a take a bunch of its fruits. If I ha taken it you would have eaten from it for as long as this world lasts. And I saw Hell and I have never seen anything like it, and I saw that most of its inhabitants are women.' They said: Why, O Messenger of Allah (ﷺ)? He said: 'Because of their ingratitude.' It was said: 'Are they ungrateful to Allah?' He said: 'They are ungrateful to their husbands and they are ungrateful for kind treatment. If you are kind to one of them for a lifetime, then she sees (one) bad thing from you, she will say: I have never seen anything good from you.'