পরিচ্ছেদঃ সাধারণ মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দেওয়া অসৎ কাজে নিষেধ করা মুস্তাহাব, তবে শাসকদের এমন করতে গেলে যদি জীবনের উপর ঝুঁকি আসে, তাহলে তা করা মুস্তাহাব নয়
৩০১. নু‘মান বিন বাশীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “আল্লাহর সীমা লঙ্ঘনকারী ও আল্লাহর সীমা পালনকারী, সৎকাজের আদেশ দানকারী, অসৎ কাজে বাঁধা দানকারীর দৃষ্টান্ত হলো ঐ লোকদের মতো যারা সমুদ্রে কোন জলযানে নিজেদের জায়গার জন্য লটারী করে। তাদের কিছু লোকের জলযানের শেষ প্রান্তে সুবিধাজনক জায়গা থেকে দূরে জায়গা পায়। আর কিছু লোক জলযানের উপরিভাগে জায়গা পায়। জলযানের শেষভাগের লোকেরা যখন পানি আনতে চায়তো, তখন তারা উপরে আরোহী লোকদের কষ্ট দিতো। তখন তাদের একজন বললো: “আমরা তো সুবিধাজনক জায়গার অধিক নিকটবর্তী তবে পানি থেকে অধিক দূরবর্তী, কাজেই আমরা জলযানের এক পার্শ্ব ফেঁড়ে পানি পান করবো, যখন আমাদের পূরণ হবে, তখন আবার ঠিক করে দিবো! তখন তাদের মধ্যে নির্বোধ লোকেরা বললো: “ঠিক আছে, তাই করো।” ফলে সে কুড়াল নিলো এবং জলযানের এক পার্শ্বে আঘাত করলো। এসময় একজন জ্ঞানী লোক তাকে বললো: “তুমি কী করছো?” সে বললো: “আমরা তোমাদের চেয়ে সুবিধাজনক জায়গার অধিক নিকটবর্তী, কিন্তু পানি থেকে দূরবর্তী। কাজেই আমরা জলযানের এক পার্শ্ব ভেঙ্গে ফেলবো অতঃপর যখন আমাদের প্রয়োজন পূরণ হবে, তখন আবার ঠিক করে দিবো!” তখন তিনি বললেন: “তুমি এরকম করো না। কারণ তুমি যদি এরকম করো, তবে তুমিও ধ্বংস হবে, সাথে আমরাও ধ্বংস হবো।”[1]
ذِكْرُ مَا يُسْتَحَبُّ لِلْمَرْءِ اسْتِعْمَالُ الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ لِعَوَامِّ النَّاسِ دُونَ الْأُمَرَاءِ الَّذِينَ لَا يَأْمَنُ عَلَى نَفْسِهِ مِنْهُمْ إِنْ فعل ذلك
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ عَنْ مُطَرِّفٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (مَثَلُ الْمُدَاهِنِ فِي حُدُودِ الله والآمر بها والناهي عنها كَمَثَلِ قوم اسْتَهَمُوا سَفِينَةً مِنْ سُفُنِ الْبَحْرِ فَصَارَ بَعْضُهُمْ فِي مُؤَخَّرِ السَّفِينَةِ وَأَبْعَدِهِمْ مِنَ الْمِرْفَقِ وَبَعْضُهُمْ فِي أَعْلَى السَّفِينَةِ فَكَانُوا إِذَا أَرَادُوا الْمَاءَ وهم في آخره السَّفِينَةِ آذَوْا رِحَالَهُمْ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: نَحْنُ أَقْرَبُ مِنَ الْمِرْفَقِ وَأَبْعَدُ مِنَ الْمَاءِ نَخْرِقَ دَفَّةَ السَّفِينَةِ وَنَسْتَقِي فَإِذَا اسْتَغْنَيْنَا عَنْهُ سَدَدْنَاهُ فَقَالَ السُّفَهَاءُ مِنْهُمُ: افْعَلُوا قَالَ: فَأَخَذَ الْفَأْسَ فَضَرَبَ عَرَضَ السَّفِينَةِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ رُشَيْدٌ: مَا تَصْنَعُ؟ قَالَ: نَحْنُ أَقْرَبُ مِنَ الْمِرْفَقِ وَأَبْعَدُ مِنَ الْمَاءِ نَكْسِرُ دَفَّ السَّفِينَةِ فَنَسْتَقِي فَإِذَا اسْتَغْنَيْنَا عَنْهُ سَدَدْنَاهُ فَقَالَ: لَا تَفْعَلْ فَإِنَّكَ إذاً تهلك ونهلك)
الراوي : النُّعْمَان بْن بَشِيرٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 301 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৬৯।)