পরিচ্ছেদঃ ১১) ক্বিয়ামুল্লায়ল (রাতে নফল নামায পড়া) করার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
৬৩৩. (সহীহ লি গাইরিহী মাওকূফ) ত্বারেক্ব বিন শিহাব থেকে বর্ণিত। তিনি একদা সালমান (রাঃ) এর নিকট রাত কাটালেন। উদ্দেশ্য তিনি কিরূপ ইবাদত করেন তা দেখবেন। তিনি বলেনঃ তিনি রাতের শেষাংশে উঠে নামায পড়লেন। তিনি (ত্বারেক্ব) তাঁর সম্পর্কে যেরূপ ধারণা করছিলেন তা যেন তিনি দেখতে পেলেন না। তাই বিষয়টি তাঁর নিকট উত্থাপন করলেন। সালমান (রাঃ) বললেনঃ
’’তোমরা এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের যথাযথভাবে হেফাযত কর। কেননা এগুলো এ পাপ সমূহের কাফ্ফরা স্বরূপ, যতক্ষণ পর্যন্ত এমন পাপে লিপ্ত না হও যা তোমাদেরকে হত্যা করে ফেলে (অর্থাৎ কাবীরা গুনাহে লিপ্ত না হও)।
এশা নামায আদায় করার পর মানুষ তিনটি স্তরে বিভক্ত হয়ে যায়ঃ তাদের মধ্যে এমন লোক আছে যার কাজ তার ক্ষতি করে উপকারে আসে না। কেউ আছে যার কাজ তার উপকার করে ক্ষতি করে না। আবার কেউ এমন আছে যার কাজ তার উপকারও করে না ক্ষতিও করে না। একজন লোক রাতের অন্ধকারকে গণীমত মনে করে এবং মানুষের অসতর্কতাকে কাজে লাগিয়ে অন্যায় কাজ করার জন্য ঘোড়া ছুটায়। এ কাজ তার ক্ষতি করবে কোন উপকার বয়ে আনবে না। আরেক জন লোক রাতের অন্ধকারকে গণীমত মনে করে এবং মানুষের অসতর্কতাকে কাজে লাগিয়ে উঠে নামায আদায় করে। তার এ কাজ উপকারে আসবে কোন ক্ষতি করবে না। আর যার কাজ কোন উপকারে আসবে না ক্ষতিও করবে না সে হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে নামায পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। তার এ কাজ উপকারে আসবে না ক্ষতিও করবে না। সাবধান! খুব দ্রুত চলবে না।[1] মধ্যপন্থা অবলম্বন করবে এবং যে আমল করবে তা নিয়মিত আদায় করবে।’’
(ত্বাবরানী [কাবীর গ্রন্থে] হাদীছটি মাওকূফ সূত্রে বর্ণনা করেছেন ৬/২১৭, অনেকে তা মারফূ’ সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
الترغيب في قيام الليل
(صحيح لغيره موقوف) وَعَنْ طَارِقِ بن شِهَابٍ، أَنَّهُ بَاتَ عِنْدَ سَلْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لَيَنْظُرَ مَا اجْتِهادُهُ، قَالَ: فَقَامَ يُصَلِّي مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ، فَكَأَنَّهُ لَمْ يَرَ الَّذِي كَانَ يَظُنُّ، فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ سَلْمَانُ:"حَافِظُوا عَلَى هَذِهِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ، فَإِنَّهُنَّ كَفَّارَاتٌ لِهَذِهِ الْجِرَاحَاتِ مَا لَمْ تُصَبُ الْمَقْتَلَةُ، فَإِذَا صَلَّى النَّاسُ الْعِشَاءَ صَدَرُوا عَلَى ثَلاثِ مَنَازِلَ: مِنْهُمْ مَنْ عَلَيْهِ وَلا لَهُ، وَمِنْهُمْ مَنْ لَهُ وَلا عَلَيْهِ، وَمِنْهُمْ مَنْ لا لَهُ وَلا عَلَيْهِ، فَرَجُلٌ اغْتَنَمَ ظُلْمَةَ اللَّيْلِ فِي غَفْلَةِ النَّاسِ، فَرَكِبَ فَرَسُهُ فِي الْمَعَاصِي، فَذَلِكَ عَلَيْهِ وَلا لَهُ، وَمَنْ لَهُ وَلا عَلَيْهِ فَرَجُلٌ اغْتَنَمَ ظُلْمَةَ اللَّيْلِ وَغَفْلَةَ النَّاسِ، فَقَامَ يُصَلِّي فَذَلِكَ لَهُ وَلا عَلَيْهِ، وَمَنْ لا لَهُ وَلا عَلَيْهِ فَرَجُلٌ صَلَّى ثُمَّ نَامَ، فَذَلِكَ لا لَهُ وَلا عليه، إياك والحقحقة وعليك بالقصد وداومه. رواه الطبراني في الكبير موقوفا