৬২৫৬

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২৫৬-[৬১] খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমার ও ’আম্মার ইবনু ইয়াসির-এর মাঝে বাক-বিতণ্ডা হলো। এতে আমি তাকে শক্ত কথা বললাম। তখন ’আম্মার গিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগে করলেন। এমন সময় খালিদও নবী (সা.) -এর কাছে এসে আম্মারএর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন খালিদ (রাঃ) তাঁকে শক্ত কথা বলতে লাগলেন এবং তাঁর কঠোরতা আরো বাড়তে লাগল। তখন নবী (সা.) চুপ করে ছিলেন। কোন কথা বলছিলেন না। তখন এ অবস্থায় দেখে ’আম্মার কেঁদে ফেললেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি খালিদ-এর আচরণ দেখছেন না। এবার নবী (সা.) মস্তক উঠিয়ে বললেন, যে লোক ’আম্মার-এর সাথে শত্রুতা রাখবে, আল্লাহও তার সাথে শত্রুতা রাখবেন এবং যে ব্যক্তি ’আম্মার-এর সাথে বিদ্বেষভাব পোষণ করবে, আল্লাহও তার প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন। খালিদ (রাঃ) বলেন, তখনই আমি সেখান হতে বের হয়ে পড়লাম এবং যে কোনভাবে ’আম্মার-কে সন্তুষ্ট করা অপেক্ষা কোন কিছুই আমার কাছে প্রিয়তর ছিল না। অতঃপর আমি এমনভাবে তার সাথে মিলিত হলাম যাতে তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যান। পরিশেষে তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেলেন।

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ قَالَ: كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ كَلَامٌ فَأَغْلَظْتُ لَهُ فِي الْقَوْلِ فَانْطَلَقَ عَمَّارٌ يَشْكُونِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَ خَالِدٌ وَهُوَ يشكوه إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَجَعَلَ يُغْلِظُ لَهُ وَلَا يَزِيدُهُ إِلَّا غِلْظَةً وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَاكِتٌ لَا يَتَكَلَّمُ فَبَكَى عَمَّارٌ وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا تَرَاهُ؟ فَرَفَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَسَهُ وَقَالَ: «مَنْ عَادَى عَمَّارًا عَادَاهُ اللَّهُ وَمَنْ أَبْغَضَ عَمَّارًا أَبْغَضَهُ اللَّهُ» . قَالَ خَالِدٌ: فَخَرَجْتُ فَمَا كَانَ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَيَّ من رضى عمار فَلَقِيته بِمَا رَضِي فَرضِي

اسنادہ حسن ، رواہ احمد (4 / 89 ح 16938) [و الحاکم (3 / 390 ۔ 391) و صححہ و للسند علۃ ذکرھا الذھبی و لکنھا غیر قادحۃ] ۔
(صَحِيح)

وعن خالد بن الوليد قال: كان بيني وبين عمار بن ياسر كلام فاغلظت له في القول فانطلق عمار يشكوني الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فجاء خالد وهو يشكوه الى النبي صلى الله عليه وسلم قال: فجعل يغلظ له ولا يزيده الا غلظة والنبي صلى الله عليه وسلم ساكت لا يتكلم فبكى عمار وقال: يا رسول الله الا تراه؟ فرفع النبي صلى الله عليه وسلم راسه وقال: «من عادى عمارا عاداه الله ومن ابغض عمارا ابغضه الله» . قال خالد: فخرجت فما كان شيء احب الي من رضى عمار فلقيته بما رضي فرضي اسنادہ حسن ، رواہ احمد (4 / 89 ح 16938) [و الحاکم (3 / 390 ۔ 391) و صححہ و للسند علۃ ذکرھا الذھبی و لکنھا غیر قادحۃ] ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: মীরাক বলেন, (قَالَ خَالِدٌ: فَخَرَجْتُ) এ বাক্যটি আমাদের সরদার খালিদ (রাঃ)-এর তরফ থেকে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তখন এটা (إلتفات) এর ভিত্তিতে। অতঃপর খালিদ-এর কঠোরতা স্বীয় ধৈর্যের কমতি, অধিক রাগ ও নবী (সা.)-এর চুপ থাকার কারণে আম্মার কেঁদে ফেলেন।
(مَنْ عَادَى عَمَّارً) যে ব্যক্তি ‘আম্মার-এর সাথে শত্রুতা করে অর্থাৎ তাঁর কথার সাথে। (وَمَنْ أَبْغَضَ عَمَّارً) যে ব্যক্তি ‘আম্মার-এর সাথে বিদ্বেষ রাখে অর্থাৎ অন্তর থেকে বিদ্বেষ পোষণ করে। (فَخَرَجْتُ) বাহিরে বের হলাম। অর্থাৎ ‘আম্মার-কে সম্পূর্ণভাবে রাজি-খুশি করার জন্য নবী (সা.) -এর নিকট থেকে বের হলাম।
(مَا كَانَ شَيْءٌ أَحَبَّ) অর্থাৎ আমার এটা ইচ্ছা ছিল যে, আমি এমন কাজ করব যাতে আম্মার আমার প্রতি খুশি হয়ে যায়। তাহলে আমার ও আম্মার-এ মাঝে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে যাবে। (মিশকাতুল মাসাবীহ - মুম্বাই ছাপা, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৮৩)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)