৬২৪০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২৪০-[৪৫] মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। যখন তাঁর মৃত্যুর সময় কাছাকাছি হয়ে আসলো, তখন তিনি (উপস্থিত লোকেদের উদ্দেশে) বললেন, এ চারজনের কাছ হতে (কুরআন, সুন্নাহ অথবা হালাল হারাম সম্পৰ্কীয়) ইলম অর্জন কর। তারা হলেন, ’উওয়াইমির- যার কুনিয়াত আবূ দারদা, সালমান ফারিসী, ইবনু মাস্’উদ ও ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম। এই ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম প্রথমে ছিলেন ইয়াহূদী, পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম সম্পর্কে তিনি বলেছেন, তিনি জান্নাতে দশজনের দশম লোক। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ لَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ قَالَ: الْتَمِسُوا الْعِلْمَ عِنْدَ أَرْبَعَةٍ: عِنْدَ عُوَيْمِرٍ أَبِي الدَّرْدَاءِ وَعِنْدَ سَلْمَانَ وَعِنْدَ ابْنِ مَسْعُودٍ وَعِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ الَّذِي كَانَ يَهُودِيّا فَأسلم فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّهُ عَاشِرُ عَشَرَةٍ فِي الْجَنَّةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

اسنادہ صحیح ، رواہ الترمذی (3804 وقال : حسن صحیح) ۔
(صَحِيح)

وعن معاذ بن جبل لما حضره الموت قال: التمسوا العلم عند اربعة: عند عويمر ابي الدرداء وعند سلمان وعند ابن مسعود وعند عبد الله بن سلام الذي كان يهوديا فاسلم فاني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «انه عاشر عشرة في الجنة» . رواه الترمذي اسنادہ صحیح ، رواہ الترمذی (3804 وقال : حسن صحیح) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: (الْتَمِسُوا الْعِلْمَ) অর্থাৎ- “ইলম সন্ধান কর। ‘ইলম থেকে উদ্দেশ্য কিতাব ও সুন্নাহর ‘ইলম। অথবা হালাল-হারামের জ্ঞান এটাই বেশি সঠিক যেমনটি নবী (সা.) -এর বর্ণনা থেকে পাওয়া যায়।
(عند اربعة رهط) ছোট দল, (الرهط) বলা হয় দশের কম সংখ্যক পুরুষের দলকে। তাতে কোন মহিলা থাকে না।
(الَّذِي كَانَ يَهُودِيّا فَأسلم) এটা পার্থক্যকরণের গুণস্বরূপ। ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এটা ‘আবদুল্লাহর (صِفَةٌ مُمَيِّزَةٌ) তথা বিশেষ গুণসূচক নয়। এটা এজন্য যে, যাতে তার নামের সাথে অন্য কারো নাম মিশে না যায়। তবে জ্ঞান অনুসন্ধানের উপদেশে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। কারণ তিনি দুই কিতাব তথা কুরআন ও তাওরাতের উভয়ের উপর ঈমান এনেছেন ও ‘আমল করেছেন।
(عَاشِرُ عَشَرَةٍ فِي الْجَنَّةِ) অর্থাৎ- আশারায়ে মুবাশশিরার ন্যায়। যেমন আবূ ইউসুফ ও আবূ হানীফাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) আশারায়ে মুবাশশিরার মধ্যকার নন। যেমনটি মীরাক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এটা আবার ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ)-এরও মত।
সাইয়্যিদ জামালুদ্দীন (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এর অর্থ এটাও হতে পারে যে, পরে নয়টি সাহাবী (রাঃ) এর দল জান্নাতে প্রবেশ করে।
কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এতে এ বিষয়টি ধরা যায় যে, তিনি কোন কোন আশারায়ে মুবাশশারার অগ্রগামী। এ সম্ভাবনার বাইরে নয় যে, হয়তো তিনি আশারায়ে মুবাশশারাহ্ ছাড়া যারা ইসলাম কবুল করেছে অথবা ইয়াহূদীদের মধ্য থেকে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে দশম। এভাবে আশারায় মুবাশশারার পরে উনিশজন সাহাবী জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত হন। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৮১৬, মিশকাতুল মাসাবীহ - মুম্বাই ছাপা, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৭৭)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)