৬২৩৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২৩৭-[৪২] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন সা’দ ইবনু মু’আয (রাঃ)-এর জানাযাহ্ উঠানো হলো, তখন মুনাফিকরা তিরস্কারের ভঙ্গিতে উক্তি করল, কতই হালকা তার লাশ। তাদের এই মন্তব্য ছিল বানূ কুরায়যার ব্যাপারে তাঁর ফায়সালার কারনে। অতঃপর নবী (সা.) -এর কাছে এ কথাটা পৌছলে তিনি বললেন, প্রকৃত বিষয় হলো মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) তার লাশ বহন করছিলেন। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: لَمَّا حُمِلَتْ جِنَازَةُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ قَالَ الْمُنَافِقُونَ: مَا أَخَفَّ جِنَازَتَهُ وَذَلِكَ لِحُكْمِهِ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّ الْمَلَائِكَة كَانَت تحمله» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

صحیح ، رواہ الترمذی (3849 وقال : حسن صحیح) و اصلہ فی صحیح مسلم (2467) ۔
(صَحِيح)

وعن انس قال: لما حملت جنازة سعد بن معاذ قال المنافقون: ما اخف جنازته وذلك لحكمه في بني قريظة فبلغ ذلك النبي صلى الله عليه وسلم فقال: «ان الملاىكة كانت تحمله» . رواه الترمذي صحیح ، رواہ الترمذی (3849 وقال : حسن صحیح) و اصلہ فی صحیح مسلم (2467) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: (لَمَّا حُمِلَتْ جِنَازَةُ سَعْدِ) অর্থাৎ যখন মানুষেরা তার জানাযাকে বহন করছিল তখন তাঁকে হালকা পেয়েছিল। (مَاأخَفَّ) এখানে (مَا) আশ্চর্যের অর্থে ব্যবহার হয়েছে। বানূ কুরায়যাহ্ ‘হালকা’ তাকে তুচ্ছ ও হেয়জ্ঞান করার জন্য বলেছিল। কারণ তিনি তাদের ব্যাপারে ফায়সালা দিয়েছিলেন যে, বানূ কুরায়যাহ্’র যোদ্ধাদের হত্যা করতে হবে ও তাদের সন্তানদের বন্দি করতে হবে। সে কারণে মুনাফিকরা তার ফয়সালাকে যুলমবশত বা শত্রুতাবশত বলে আখ্যা দেয়। অথচ রাসূল (সা.) তার সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাদ (রাঃ)-এর জানাযাহ্ হালকা সম্পর্কে মুনাফিকদের মন্তব্য যখন রাসূল (সা.) শুনলেন, তখন তিনি বললেন যে, তার জানাযাকে মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) বহন করছে, তাই মানুষের নিকটে হালকা হয়েছে।
ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, মুনাফিকরা তাদের মন্দ মন্তব্যের মাধ্যমে তাকে অপমান ও হেয়জ্ঞান করতে চেয়েছে। ফলে রাসূল (সা.) তার জবাবে বলেন যে, তার বড় শান ও মর্যাদার ব্যাপারটি হালকা হওয়ার ঘটনার সাথে যুক্ত। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৮৬১)
বানু কুরায়যাহ মদীনার নিকটের ইয়াহুদী ছিল। নবী (সা.)-এর সাথে তাদের সন্ধি ছিল। হিজরী সালের ৫ম বছরে যখন খন্দক যুদ্ধ সংঘটিত হয় তখন বানূ কুরায়যাহ্ রাসূল (সা.) -এর সন্ধি-চুক্তিকে ভঙ্গ করে কাফিরদের সাথে যোগ দেয়। যখন মুশরিকরা মক্কায় ফিরে গেল তখন নবী (সা.) বানূ কুরায়যাহ্-কে পনের দিন ঘেরাও করে রাখলেন। তারা সঙ্কীর্ণতায় পড়ে প্রস্তাব পাঠাল যে, আমরা দুর্গ থেকে নেমে এসে আমাদের সর্দার সা'দ ইবনু মুআয-এর ফায়সালা মেনে নিব। তখন সা'দ (রাঃ) সিদ্ধান্ত দিলেন, তাদের যোদ্ধাদেরকে হত্যা করা হবে এবং শিশু ও নারীদেরকে দাস-দাসী হিসেবে রাখা হবে। নবী (সা.) বললেন, হে সাদ! তুমি আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী হুকুম ফায়সালা করেছ। তবে যেসব মুনাফিক ইয়াহূদীদের ভাইস্বরূপ ছিল তারা সা'দ (রাঃ)-এর সমালোচনা করত। (মিশকাতুল মাসাবীহ - মুম্বাই ছাপা, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৭৬)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)