৬২০৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২০৯-[১৪] সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) ছাড়া ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী কোন লোকের জন্য আমি নবী (সা.) -কে বলতে শুনিনি “নিশ্চয় সে জান্নাতবাসী’। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: مَا سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِأَحَدٍ يَمْشِي عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ «إِنَّهُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ» إِلَّا لِعَبْدِ اللَّهِ بن سَلام. مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3812) و مسلم (147 / 2483)، (6380) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن سعد بن ابي وقاص قال: ما سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول لاحد يمشي على وجه الارض «انه من اهل الجنة» الا لعبد الله بن سلام. متفق عليه متفق علیہ ، رواہ البخاری (3812) و مسلم (147 / 2483)، (6380) ۔ (متفق عليه)

ব্যাখ্যা : এ হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এ হাদীসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর ঐ হাদীসের সাথে কোন বিরোধ নেই যেখানে বলা হয়েছে আবূ বাকর জান্নাতী, ‘উমার জান্নাতী তথা এদেরকে নিয়ে সব মিলিয়ে দশজন জান্নাতী। কেননা সা'দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) এর ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক জান্নাতী হওয়ার সুসংবাদ দিলেও অন্যদের ব্যাপারে তিনি তা নিষেধ করেননি।
এ প্রশ্নটি উত্থাপিত হয়েছে এই কারণে যে, যেহেতু সা'দ (রাঃ) বলেছেন, আমি এমন কারো ব্যাপারে নবী (সা.) -কে বলতে শুনিনি যে, সে জান্নাতী আর এখনো সে ভূপৃষ্ঠে বিচরণ করছে ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) ব্যতীত।
তিনি তার এ কথাটি এভাবে বর্ণনা করেছেন, তার বিভিন্ন কারণ হতে পারে। যেমন- যখন সা'দ (রাঃ) এই হাদীস বর্ণনা করেন তখন শুধুমাত্র তিনি ছাড়া জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সকল সাহাবী মৃত্যুবরণ করেছেন। তাই তিনি বিশেষভাবে ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম-এর কথা এভাবে বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন।
এছাড়াও আরবী ভাষার অন্যতম একটি নিয়ম হলো যে, যখন কোন ‘হ্যা-বাচক এবং ‘না’-বাচক কথা একসাথে আসে তখন ‘হ্যা’-বাচক কথাই প্রাধান্য পায়। অতএব এটিই গ্রহণযোগ্য কথা যে, তিনি শুধুমাত্র ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম-এর কথা এভাবে বর্ণনা করলেও অন্যদের ব্যাপারে জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেননি। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ৭ম খণ্ড, ১৪৮ পৃ., হা. ৩৮১২)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)