৬১৯৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১৯৮-[৩] আবূ মূসা আল আশ’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও আমার ভাই ইয়ামান হতে (মদীনায়) আগমন করে বেশ কিছুদিন বাস করলাম। আমরা এটাই মনে করতাম যে, ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’উদ (রাঃ) নবী (সা.) -এর পরিবারেই একজন সদস্য। কেননা আমরা তাঁকে এবং তাঁর মাতাকে নবী (সা.) - এর গৃহে যাতায়াত করতে প্রায়ই দেখতাম। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: قَدِمْتُ أَنَا وَأَخِي مِنَ الْيَمَنِ فَمَكَثْنَا حِينًا مَا نَرَى إِلَّا أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَا نُرَى مِنْ دُخُولِهِ وَدُخُولِ أُمِّهِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3763) و مسلم (110 / 2460)، (6326) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن ابي موسى الاشعري قال: قدمت انا واخي من اليمن فمكثنا حينا ما نرى الا ان عبد الله بن مسعود رجل من اهل بيت النبي صلى الله عليه وسلم لما نرى من دخوله ودخول امه على النبي صلى الله عليه وسلم. متفق عليه متفق علیہ ، رواہ البخاری (3763) و مسلم (110 / 2460)، (6326) ۔ (متفق عليه)

ব্যাখ্যা: মিরক্বাতুল মাফাতীহ প্রণেতা ইবনু মাস'উদ (রাঃ) সম্পর্কে বলেন, তার কুনিয়াত ছিল আবূ ‘আবদুর রহমান। তিনি নবুওয়াতের প্রাথমিক যুগে ‘উমার (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণ করার কিছু আগেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তখনও রাসূলুল্লাহ (সা.) দারুল আরকামে প্রবেশ করেননি।
কেউ কেউ বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে তিনি হলেন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। রাসূলুল্লাহ (সা.) তার কাছে সফরে মিসওয়াক, জুতা ও উযূর পান রাখতেন। তিনি হাবশায় হিজরত করেছিলেন। তিনি বদরের যুদ্ধে এবং তার পরে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তার ব্যাপারে জান্নাতের সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, আমি আমার উম্মতের প্রতি সেই বিষয়ে সন্তুষ্ট যে বিষয়ে ইবনু মাসউদ (ابْنُ أُمِّ عَبْدٍ) সন্তুষ্ট। আর আমি আমার উম্মতের জন্য সেই বিষয়ে অসন্তুষ্ট যেই বিষয়ে ইবনু মা'সঊদ (ابْنُ أُمِّ عَبْدٍ) অসন্তুষ্ট।
ইবনু মাঊদ (রাঃ) ছিলেন, ক্ষীণকায় এবং খাটো। তিনি কুফায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং “উমার (রাঃ)-এর খিলাফতকালে ও ‘উসমান (রাঃ)-এর খিলাফতকালের প্রথম দিকে বায়তুল মালের দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তিনি মদীনায় থাকতেন এবং সেখানেই ৩২ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৬০ বছরের কিছু বেশি। তাকে বাক্বী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবূ বাকর, “উমার, উসমান ও ‘আলী (রাঃ)-সহ তাদের পরবর্তী অনেক সাহাবী এবং তাবি'ঈ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন, চার খলীফার পর সাহাবীদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বড় ফক্বীহ ছিলেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
তুহফাতুল আহওয়াযীতে বলা হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনু মাস্'উদ (রাঃ) ও তার মা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে বেশি বেশি যাতায়াত করাটা প্রমাণ করে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে তাদের অনেক ভালো একটা সম্পর্কে ছিল। যা তাদের জন্য মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের পরিচায়ক। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৯ম খণ্ড, ৩১১ পৃ., হা. ৩৮১৮)
শারহুন নাবাবী গ্রন্থে বলা হয়েছে, এ হাদীস থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, “ইলম অন্বেষণের জন্য সফর করা এবং এক স্থান থেকে আরেক স্থানে গমন করা মুস্তাহাব। (শারহুন নাবাবী ১৬ খণ্ড, ১৪ পৃ., হা, ২৪৬০)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)