পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৩-[১৭] বারা’ ইবনু ’আযিব ও যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন খুম্ নামক স্থানে ঝিলের কাছে অবতরণ করলেন, তখন তিনি ’আলী (রাঃ)-এর হাত ধরে বললেন, এটা কি তোমরা জান না, আমি মুমিনদের কাছে তাদের আত্মা অপেক্ষা অধিক প্রিয়? লোকেরা বলল, হ্যাঁ। তিনি (সা.) আবার বললেন, তোমরা কি জান না, আমি প্রত্যেক মুমিনের কাছে তার প্রাণ অপেক্ষা অধিক প্রিয়? তারা বলল, হ্যাঁ। তখন তিনি (সা.) বললেন, হে আল্লাহ! আমি যার বন্ধু ’আলীও তার বন্ধু। (তারপর তিনি এ দু’আ করলেন,) হে আল্লাহ! যে লোক ’আলীকে ভালোবাসে তুমিও তাকে ভালোবাস। আর যে লোক তাকে শত্রু ভাবে, তুমিও তার সাথে শত্রুতা পোষণ কর। (বর্ণনাকারী বলেন,) এরপর যখন ’আলী (রাঃ)-এর সাথে ’উমার (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ হয়, তখন তিনি তাকে বললেন, ধন্যবাদ হে আবূ ত্বালিব-এর পুত্র! তুমি সকাল-সন্ধ্যা (অর্থাৎ সবসময়) প্রত্যেক ঈমানদার নারী-পুরুষদের বন্ধু হয়েছ। (আহমাদ)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب مَنَاقِب عَليّ بن أبي طَالب)
وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا نَزَلَ بِغَدِيرِ خُمٍّ أَخَذَ بِيَدِ عَلِيٍّ فَقَالَ: «أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنِّي أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ؟» قَالُوا: بَلَى قَالَ: «أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنِّي أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ؟» قَالُوا: بَلَى قَالَ: «اللَّهُمَّ مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ» . فَلَقِيَهُ عُمَرُ بَعْدَ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ: هَنِيئًا يَا ابْنَ أَبِي طَالِبٍ أَصْبَحْتَ وَأَمْسَيْتَ مَوْلَى كلَّ مُؤمن ومؤمنة. رَوَاهُ أَحْمد
اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (4 / 281 ح 18671 من حدیث البراء بن عازب رضی اللہ عنہ) * فیہ علی بن زید بن جدعان : ضعیف ، و رواہ احمد (4 / 368 ، 370 ، 372) من طرق عن زید بن ارقم رضی اللہ عنہ بہ دون قول عمر رضی اللہ عنہ و المرفوع صحیح ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: গাদীরে খুম্ হলো মক্কাহ্-মদীনার মধ্যবর্তী একটি জায়গায় নাম। যা জুহফাহ্ থেকে তিন মাইল দূরে অবস্থিত। এখানে একটি প্রসিদ্ধ পুকুর আছে যাকে বনের দিকে সম্পৃক্ত করা হয়।
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, আল্লাহ তুমি তাকে ভালোবাসো যে তাকে ভালোবাসে, আর তাকে ঘৃণা কর যে তাকে ঘৃণা করে, আর তাকে সাহায্য করো যে তাকে সাহায্য করে, আর তাকে অপমানিত কর যে তাকে অপমানিত করে, আর সে যেখানেই থাকুক যেন সে হাকের ওপর থাকতে পারে সে তাওফীকৃ তাকে দাও। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)