৬০৩৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - উমার ফারূক (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬০৩৭-[৩] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: (স্বপ্নযোগে অথবা মিরাজের রাতে) আমি যখন জান্নাতে প্রবেশ করলাম, এমন মুহূর্তে হঠাৎ আবূ ত্বলহাহ্-এর স্ত্রী রুমায়সাহ-কে দেখতে পেলাম এবং কারো পায়ে হাঁটার শব্দ শুনতে পেলাম। তখন আমি প্রশ্ন করলাম, এ লোক কে? উত্তরে (ফেরেশতা) বললেন, ইনি বিলাল। এরপর আমি একটি প্রাসাদও অবলোকন করলাম, যার আঙ্গিনায় একজন কিশোরী বসা ছিল। আমি প্রশ্ন করলাম; এই দালানটি কার? তখন (সঙ্গী) মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) বললেন, এটা ’উমার ইবনুল খত্ত্বাব-এর। তখন আমার ইচ্ছা হয়েছিল যে, ভিতরে প্রবেশ করে প্রাসাদটি দেখি, কিন্তু হে ’উমার! ঐ সময় তোমার আত্মমর্যাদার কথা আমার মনে পড়ে গেল (তাই প্রবেশ করলাম না)। তখন ’উমার ফারূক (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আমি কি আপনার ওপর আত্মমর্যাদাবোধ করব? (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول ( بَاب مَنَاقِب عمر)

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: دخلتُ الجَنَّةَ فإِذا أَنا بالرُميضاء امْرَأَةِ أَبِي طَلْحَةَ وَسَمِعْتُ خَشَفَةً فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: هَذَا بِلَالٌ وَرَأَيْتُ قَصْرًا بِفِنَائِهِ جاريةٌ فَقلت: لمن هَذَا؟ فَقَالُوا: لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَأَرَدْتُ أَنْ أَدْخُلَهُ فَأَنْظُرَ إِليه فذكرتُ غيرتك فَقَالَ عمر: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعَلَيْكَ أغار؟ . مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3679) و مسلم (20 / 2394)، (6198) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن جابر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: دخلت الجنة فاذا انا بالرميضاء امراة ابي طلحة وسمعت خشفة فقلت: من هذا؟ فقال: هذا بلال ورايت قصرا بفناىه جارية فقلت: لمن هذا؟ فقالوا: لعمر بن الخطاب فاردت ان ادخله فانظر اليه فذكرت غيرتك فقال عمر: بابي انت وامي يا رسول الله اعليك اغار؟ . متفق عليه متفق علیہ ، رواہ البخاری (3679) و مسلم (20 / 2394)، (6198) ۔ (متفق عليه)

ব্যাখ্যা: (دخلتُ الجَنَّةَ) মি'রাজের রাত্রে অথবা উন্মোচনের জগতে অথবা স্বপ্নে । (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
(فإِذا أَنا بالرُميضاء امْرَأَةِ أَبِي طَلْحَةَ) হাদীসে উল্লেখিত মহিলা হলেন উম্মু সুলায়ম আর রুমায়সাহ্ হলো তার সিফাত তার নাম হলো সাহলা।
কেউ কেউ বলেন, রুমায়লা। কেউ কেউ বলেন তার বোনের নাম উম্মু হারাম। আবূ দাউদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, উম্মু সুলায়ম-এর দুধ বোনের নাম।
ইবনু তীন (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এখানে উদ্দেশ্য হলো আবূ তলহাহ-এর অন্য কোন স্ত্রী।

(سَمِعْتُ خَشَفَةً) আবূ উবায়দ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, (خَشَفَةً) হলো হালকা ও ক্ষীণ শব্দকে বলা হয়। কেউ কেউ বলেন, প্রকৃতপক্ষে সাপের চলার শব্দকে (خَشَفَةً) বলা হয়। অতএব এখানে হাদীসের অর্থ হলো পায়ে চলার যে অনুভূতি শ্রবণ করা যায়।
ইমাম যাররা (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, একটি আওয়াজ মিরক্বাতের ব্যাখ্যাকার বলেন, জুতার আঘাতের শব্দ প্রকৃতপক্ষে নড়াচড়া করা অর্থে ব্যবহৃত হয়।
(فذكرتُ غيرتك) ইবনু বাত্বল (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এখানে বিজ্ঞতা হলো প্রত্যেক ব্যক্তির ঐ গুণ যা তার চরিত্র হতে জানা যায় তা বলা যায়। উমার (রাঃ) কথাটি শুনে কাঁদতে লাগলেন। তিনি বললেন, এ কান্নার কারণ হতে পারে সেটা আনন্দে অথবা বিনয় বা আগ্রহ প্রকাশের জন্য ছিল। (ফাতহুল বারী হা. ৩৬৭৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)