৫৭০৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির সূচনা ও নবী-রাসূলদের আলোচনা

৫৭০৩-[৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ইবরাহীম আলায়হিস সালাম স্বয়ং স্বীয় হাতে নিজের খৎনা করেছেন ’কদূম’ দ্বারা এবং তখন তার বয়স ছিল আশি বছর। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب بدءالخلق وَذِكْرِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اخْتَتَنَ إِبْرَاهِيمُ النَّبِيُّ وَهُوَ ابْنُ ثَمَانِينَ سَنَةً بِالْقَدُومِ» . مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3356) و مسلم (151 / 2370)، (6141) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اختتن ابراهيم النبي وهو ابن ثمانين سنة بالقدوم» . متفق عليه متفق علیہ ، رواہ البخاری (3356) و مسلم (151 / 2370)، (6141) ۔ (متفق عليه)

ব্যাখ্যা: বর্ণিত হাদীস থেকে খতনার গুরুত্ব এবং তা ইবরাহীম আলায়হিস সালাম থেকে শুরু হয়েছে মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায়। কেননা এর পূর্ব থেকে এই সুন্নাতের নির্দেশ থাকলে ইবরাহীম আলায়হিস সালাম ছোট বেলায়ই খতনা করতেন।
ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) তার মুয়াত্ত্বায় সা'ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব থেকে এ ব্যাপারে একটি আসার বর্ণনা করেছেন। আসারটিতে রয়েছে- (كَانَ إِبْرَاهِيمُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلَ انَّاسِ ضَيَّفَ الضَّيْفَ وَأَوَّلَ النَّاسِ اخْتَتَنَ) “ইবরাহীম আলায়হিস সালাম যিনি সর্বপ্রথম মেহমানের মেহমানদারী করেন এবং তিনি সর্বপ্রথম খতনা করেন।”
 (মুয়াত্তা মালিক- অধ্যায়: স্বভাবজাত সুন্নাতের বিবরণ, হা. ৩৪০৮) ইবরাহীম আলায়হিস সালাম -কে যখন এই খতনার নির্দেশ দেয়া হয় তখন তাঁর বয়স আশি বছর হয়েছে বলে হাদীসটিতে বর্ণিত হয়েছে। কোন কোন বর্ণনায় একশত বিশ বছরের কথা বলা হয়েছে। তবে আশি বছরের বর্ণনাই অধিক বিশুদ্ধ। (قَدُومِ) শব্দটি ‘দাল’ অক্ষরে তাশদীদ এবং তাশদীদ ছাড়া দু'ভাবে উচ্চারিত হয়। যার অর্থ: কুড়াল। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৮: সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামতের বিভিন্ন অবস্থা (كتاب أَحْوَال الْقِيَامَة وبدء الْخلق)