৫৬৯২

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা

৫৬৯২-[২৮] হাসান বাসরী (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন, তিনি (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন সূর্য ও চাঁদকে দুটি পনীরের আকৃতি বানিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তখন হাসান (রহিমাহুল্লাহ) প্রশ্ন করলেন, তাদের অপরাধ কী? উত্তরে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে এ সম্পর্কে যা কিছু শুনেছি, তাই বর্ণনা করলাম (এর অধিক কিছু আমি জানি না)। এ কথা শুনার পর হাসান (রহিমাহুল্লাহ) নীরব হয়ে গেলেন। (বায়হাক্বী কিতাবুল বা’সি ওয়ান্ নুশূর)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب صفةالنار وَأَهْلهَا)

وَعَن الحسنِ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ ثَوْرَانِ مُكَوَّرَانِ فِي النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . فَقَالَ الْحَسَنُ: وَمَا ذَنْبُهُمَا؟ فَقَالَ: أُحَدِّثُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَكَتَ الْحَسَنُ. رَوَاهُ البيهقيُّ فِي «كتاب الْبَعْث والنشور»

صحیح ، رواہ البیھقی فی البعث و النشور (ذکرہ السیوطی فی اللآلی المصنوعۃ 1 / 82) ولہ شاھد عند الطحاوی فی مشکل الآثار (1 / 66 ۔ 67) و سندہ صحیح] ۔
(صَحِيح)

وعن الحسن قال: حدثنا ابو هريرة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «الشمس والقمر ثوران مكوران في النار يوم القيامة» . فقال الحسن: وما ذنبهما؟ فقال: احدثك عن رسول الله صلى الله عليه وسلم فسكت الحسن. رواه البيهقي في «كتاب البعث والنشور» صحیح ، رواہ البیھقی فی البعث و النشور (ذکرہ السیوطی فی اللآلی المصنوعۃ 1 / 82) ولہ شاھد عند الطحاوی فی مشکل الآثار (1 / 66 ۔ 67) و سندہ صحیح] ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: (ثَوْرَانِ مُكَوَّرَانِ فِي النَّارِ) ثَوْرَانِ অর্থ হলো চন্দ্র ও সূর্য প্রত্যেককেই নিক্ষেপ করা হবে তার আপন কক্ষপথ থেকে জাহান্নামের মধ্যে ভাঁজ করে আলোকহীন অবস্থায়। এটা করা হবে জাহান্নামীদের শাস্তি বাড়ানোর জন্য, কেননা ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (সা.) বলেন যে, সূর্য ও চন্দ্রের চেহারা আরশের নিচে আর তার পিটটা হলো দুনিয়ার দিকে, হাদীসটি দায়লামী (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর কিতাব মুসনাদুন ফিরদাওসে উল্লেখ করেছেন। অতএব স্পষ্ট হয়ে গেল যে, যদি সূর্য ও চন্দ্রের মুখটা দুনিয়ার দিকে করা হত তাহলে দুনিয়াবাসীরা তার তাপ সহ্য করতে পারত না। ইবনুল মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন যে, এই দুটোকে ভাঁজ করা হবে এবং একত্রিত করা হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।

(فَقَالَ الْحَسَنُ: وَمَا ذَنْبُهُمَا؟) অর্থাৎ হাসান (রহিমাহুল্লাহ) তাদের অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, উত্তরে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বললেন যে, রাসূল (সা.) থেকে আমি হাদীস বর্ণনা করেছি। এখানে কোন যুক্তি খাটানো যাবে না। অতএব তিনি চুপ হয়ে গেছেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাসান বাসরী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৮: সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামতের বিভিন্ন অবস্থা (كتاب أَحْوَال الْقِيَامَة وبدء الْخلق)