পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৬৭-[২] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার হাওযের প্রশস্ততা এক মাসের পথের সমপরিমাণ এবং তার চতুর্দিকও সমপরিমাণ আর তার পানি দুধ অপেক্ষাও অধিক সাদা এবং তার ঘ্রাণ মৃগনাভি অপেক্ষাও অধিক সুগন্ধিময়, আর তার পানপাত্রসমূহ আকাশের তারকার মতো। যে তা থেকে একবার পান করবে সে আর কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না। (বুখারী ও মুসলিম)
الفصل الاول (بَاب الْحَوْض والشفاعة )
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حَوْضِي مَسِيرَةُ شَهْرٍ وَزَوَايَاهُ سَوَاءٌ مَاؤُهُ أَبْيَضُ مِنَ اللَّبَنِ وَرِيحُهُ أَطْيَبُ مِنَ الْمِسْكِ وَكِيزَانُهُ كَنُجُومِ السَّمَاءِ مَنْ يَشْرَبُ مِنْهَا فَلَا يظمأ أبدا» . مُتَّفق عَلَيْهِ
متفق علیہ ، رواہ البخاری (6579) و مسلم (27 / 2292)، (5971) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: এখানে হাওযে কাওসারের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ বা তার পরিধির বিবরণ প্রদান করা হয়েছে, যা চতুর্ভুজ আকারে ধরলে প্রত্যেক পাড়ের দূরত্ব এক মাসের পথ। কেউ কেউ এর গভীরতাকেও সমপরিমাণ বলে মনে করেন। আরবীতে (سَوَاءٌ) শব্দ দ্বারা পরিমাপের সকল দিককেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
হাওযে কাওসারের পানি দুধের চেয়েও অধিক সাদা। ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, أَبْيَضُ শব্দটি ইসমে তাফযীলের সাধারণ অর্থে না এসে (اشد أَبْيَض) এর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যা ‘ইলমে নাহু-এর একটি ব্যতিক্রম নিয়ম। তার পানি মৃগণাভী অপেক্ষা বেশি সুঘ্রাণযুক্ত বা খুশবুদার হবে যা মানুষের হৃদয়কে প্রশান্ত করে দিবে। তার কিনারায় রক্ষিত পানপাত্ৰসমূহ হবে আকাশের তারকার ন্যায় অসংখ্য এবং উজ্জ্বল। যে ব্যক্তি এ নহরের পানি পান করতে পারবে সে আর কখনো হাশরের পিপাসায় পিপাসিত হবে না। মূলত এটি জান্নাতের একটি পানীয় যা হাশরের ময়দানে নবী (সা.) নিজ হাতে কুরআন সুন্নাহর সঠিক অনুসারীদের পান করাবেন। বিদ্আতীরাও এ পানি পান করতে হাওযে কাওসারের দিক এগিয়ে যাবে, নবী (সা.) তাদের পান করানোর জন্য উদ্যত হবেন, এমন সময় তাদের এবং পানির মাঝে পর্দা পড়ে যাবে। মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) নবী (সা.) -কে উক্ত পানি পান করাতে দিবেন না। পরের হাদীসে এর বিস্তারিত বিবরণ এসেছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ফাতহুল বারী ১১শ খণ্ড, ৫৩ পৃ., হা. ৬৫৭৯, শারহুন নাবাবী ১৫শ খণ্ড, হা. ২২৯২)