৫৫২৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - শিঙ্গায় ফুৎকার

৫৫২৬-[৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: কিয়ামতের দিন সূর্য ও চন্দ্রকে পেঁচিয়ে নেয়া হবে। (বুখারী)

الفصل الاول (بَاب النفخ فِي الصُّور )

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ مُكَوَّرَانِ يَوْم الْقِيَامَة» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

رواہ البخاری (3200) ۔
(صَحِيح)

وعن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «الشمس والقمر مكوران يوم القيامة» . رواه البخاري رواہ البخاری (3200) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: (التَّكْوِير) অর্থ (اللَّفُّ) গুটানো, জড়ানো, মোড়ানো। এখান থেকেই (تَكْوِيرُ الْعِمَامَةِ) (পাগড়ি পেঁচানো)। আল্লাহ তা'আলা বলেন, (یُکَوِّرُ الَّیۡلَ عَلَی النَّهَارِ) “রাত দিনকে ঢেকে নেয়”- (সূরা আয যুমার ৩৯: ৫)।
এটা একত্রিত হওয়ার অর্থে ব্যবহৃর হয়। যেমন কুরআনে এসেছে, (وَ جُمِعَ الشَّمۡسُ وَ الۡقَمَرُ) “সূর্য আর চাঁদকে একত্রে জুড়ে দেয়া হবে”- (সূরাহ আল কিয়া-মাহ্ ৭৫:৯)।
‘আল্লামাহ্ তুরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: এখানে কয়েক অর্থের সম্ভাবনা রয়েছে- (এক) একত্রিত হওয়া বা মোড়ানো অর্থে। (দুই) উত্তোলন অর্থে। (তিন) যখন কোন কিছুকে নিক্ষেপ করে তখন তারা বলে, (طَعْنَةٌ مُكَوَّرَةٌ مِنْ كَوَّرِهِ) অর্থাৎ সূর্য ও চন্দ্রকে নিজ কক্ষপথ থেকে নিক্ষেপ করা হবে। এই অর্থ অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ। কেননা কোন কোন বর্ণনার শেষে (مُكَوَّرَانِ فِي النَّارِ) “জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে” রয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

ইবনু ওয়াহহাব কিতাবুল আহওয়ালে’ ‘আত্বা ইবনু ইয়াসার-এর সূত্রে আল্লাহর বাণী (وَ جُمِعَ الشَّمۡسُ وَ الۡقَمَرُ) “সূর্য আর চাঁদকে একত্রে জুড়ে দেয়া হবে”- (সূরাহ্ আল কিয়া-মাহ্ ৭৫: ৯); এর ব্যাখ্যায় বলেন, কিয়ামতের দিন চন্দ্র-সূর্যকে একত্রিত করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এ দুটোকে শাস্তি দেয়ার উদ্দেশে জাহান্নামে ফেলা হবে না। বরং দুনিয়াতে যারা এ দুটোর ইবাদত করেছে, তাদেরকে তিরস্কার করার জন্য। যাতে তারা বুঝতে পারে যে, চন্দ্র ও সূর্যের 'ইবাদত করা বাতিল ছিল। কেউ কেউ বলেন, এ দুটোকে জাহান্নাম থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সেথায় আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। (ফাতহুল বারী হা. ৩২০০)
সূর্য ও চন্দ্রকে জড়ানো হবে যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে এবং এ পৃথিবী ধ্বংস হবে। তখন আর আলোর কোন প্রয়োজন থাকবে না। আর দ্বিতীয় কারণ এই যে, এগুলোর ক্ষতি ও ধ্বংসের কারণে এর উপাসনাকারীরা লজ্জিত হবে। (মিশকাতুল মাসাবীহ - মুম্বাই ছাপা, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩৭৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৮: সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামতের বিভিন্ন অবস্থা (كتاب أَحْوَال الْقِيَامَة وبدء الْخلق)