পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের আলামত
৫৪৫২-[১৬] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: দুনিয়া নিঃশেষ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমার বংশের এক ব্যক্তি সারা আরব ভূখণ্ডের মালিক না হবে। তার নাম হবে আমার নামে। (তিরমিযী ও আবু দাউদ)
আবু দাউদ-এর অপর এক বর্ণনায় আছে- তিনি (সা.) বলেছেন: যদি দুনিয়া শেষ হতে মাত্র একদিন বাকি থাকে, আল্লাহ তা’আলা ঐ দিনকে খুবই দীর্ঘায়িত করবেন এবং পরিশেষে সে দিনের মধ্যে আমার বংশের অথবা বলেছেন, আমার আহলে বায়তের এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করবেন। তার নাম হবে আমার নামে এবং তার পিতার নাম হবে আমার পিতার নামে। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ দ্বারা জমিনকে তেমনিভাবে পরিপূর্ণ করে দেবেন যেমনিভাবে তৎপূর্বে যুলম ও অত্যাচারে তা ভরপুর ছিল।
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب أَشْرَاط السَّاعَة)
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَذْهَبُ الدُّنْيَا حَتَّى يَمْلِكَ الْعَرَبَ رَجُلٌ مِنْ أهلِ بَيْتِي يُواطِىءُ اسمُه اسْمِي» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ: «لَوْ لَمْ يَبْقَ مِنَ الدُّنْيَا إِلَّا يَوْمٌ لَطَوَّلَ اللَّهُ ذَلِكَ الْيَوْمَ حَتَّى يَبْعَثَ اللَّهُ فِيهِ رَجُلًا مِنِّي - أَوْ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي - يُوَاطِئُ اسْمُهُ اسْمِيَ وَاسْمُ أَبِيهِ اسْمَ أَبِي يَمْلَأُ الْأَرْضَ قِسْطًا وَعَدْلًا كَمَا مُلِئَتْ ظُلْمًا وجورا»
اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (2230) و ابوداؤد (4282) ۔
(حسن)
ব্যাখ্যা: তিনি (ইমাম মাহদী), যার প্রকৃত নাম হবে মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ। এখানে শী'আদের দাবিকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখান করা হয়েছে। তাদের দাবি হলো: প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদী বর্তমান রয়েছেন এবং আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছেন এবং তিনি মুহাম্মাদ ইবনু হাসান আল আসকারী। (আস্তাগফিরুল্লাহ)
(حَتَّى يَمْلِكَ الْعَرَبَ) ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম ‘আরব ভূখণ্ডের শাসক হবেন। 'ফাতহুল ওয়াদূদ' নামক গ্রন্থে রয়েছে যে, এখানে আরবদের নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে এই কারণে যে, কেননা তারাই জাতি হিসেবে মূল ও সম্মানিত।
‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: এখানে অনারবদের কথা উল্লেখ না থাকলেও তারা এ বাক্যের অন্তর্ভুক্ত হবেন। কারণ যখন তিনি আরবের শাসনকর্তা হবেন তখন সকল মুসলিমের কালিমাহ্ একই হবে এবং তারা সকলেই একটি হাতের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ হবেন। ('আওনুল মা'বুদ ৭ম খণ্ড, ৩৪৬ পৃ., হা, ৪২৭৬)