পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৫৪০১-[২৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: অদূর ভবিষ্যতে এমন ভয়াবহ ফিতনাহ দেখা দেবে, যা গোটা আরবভূমিকে গ্রাস করে ফেলবে। তাতে যারা নিহত হবে তারা জাহান্নামী। উক্ত হট্টগোলের সময় মুখের ভাষা হবে তলোয়ারের আঘাত অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকর। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَتَكُونُ فِتْنَةٌ تَسْتَنْظِفُ الْعَرَبَ قَتْلَاهَا فِي النَّارِ اللِّسَانُ فِيهَا أَشَدُّ مِنْ وَقْعِ السَّيْفِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْن مَاجَه
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2178 وقال : غریب) و ابن ماجہ (3967) [و ابوداؤد (4256)] * زیاد : مجھول الاحال و لیث بن ابی سلیم : ضعیف ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা : অচিরেই তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে, কেননা যে কাজের কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করা আবশ্যক হয়ে যায় সে কাজগুলোতে তারা সরাসরি লিপ্ত ছিল। যেমন আল্লাহ তা'আলার বাণী : “নিশ্চয় পুন্যবানগণ থাকবে নি'আমাতপূর্ণ জান্নাতে এবং পাপিষ্ঠরা থাকবে জাহান্নামে।” (সূরাহ্ ইনফিত্বা-র ৮২ : ১৩-১৪)
আল ক্বাযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন : হাদীসে উল্লেখিত ফিতনায় নিহতদের দ্বারা উদ্দেশ্য হলো নিশ্চয় তারা জাহান্নামের অধিবাসী, কেননা উক্ত যুদ্ধে তারা দীনকে সমুন্নত কিংবা অত্যাচারীদের প্রতিহত করা বা অত্যাচারিতদের সাহায্য করার উদ্দেশে করেনি বরং তারা সম্পদ ও নেতৃত্ব পাওয়ার লোভে সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল, বিধায় তারা জাহান্নামী। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, ২৯ পৃষ্ঠা, হা, ২১৭৮)