পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৫২২৮-[৭৪] ইবনু মাস্উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) এ আয়াতটি পাঠ করলেন : (فَمَنۡ یُّرِدِ اللّٰهُ اَنۡ یَّهۡدِیَهٗ یَشۡرَحۡ صَدۡرَهٗ لِلۡاِسۡلَامِ) “আল্লাহ তা’আলা যাকে হিদায়াত দান করার ইচ্ছা করেন, তার হৃদয়কে ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দেন”- (সূরাহ্ আল আ’আম ৬ : ১২৫)। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন : হিদায়াতের আলো যখন হৃদয়ে প্রবেশ করে তখন তা (ইসলামের বিধানসমূহ গ্রহণ করার জন্য) উন্মুক্ত হয়ে যায়। তখন জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! সে অবস্থা জানার কোন চিহ্ন বা নিদর্শন আছে কি যার দ্বারা তাকে চেনা যাবে? তিনি (সা.) বললেন : হ্যা, আছে। প্রতারণার ঘর (দুনিয়া) হতে দূরে সরে থাকা ও চিরস্থায়ী ঘর (আখিরাত)-এর প্রতি ঝুঁকে পড়া এবং মৃত্যু আসার পূর্বে মৃত্যর জন্য প্রস্তুত থাকা।
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: تَلَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (فَمَنْ يُرِدِ اللَّهُ أَنْ يَهْدِيَهُ يَشْرَحْ صَدْرَهُ لِلْإِسْلَامِ) فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ النُّورَ إِذَا دَخَلَ الصَّدْرَ انْفَسَحَ» . فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ لِتِلْكَ مِنْ عِلْمٍ يُعْرَفُ بِهِ؟ قَالَ: «نَعَمْ التَّجَافِي مِنْ دَارِ الْغُرُورِ وَالْإِنَابَةُ إِلَى دَارِ الْخُلُودِ وَالِاسْتِعْدَادُ لِلْمَوْتِ قبل نُزُوله»
اسنادہ ضعیف جذا ، رواہ البیھقی فی شعب الایمان (10552 ، نسخۃ محققۃ : 10068) * عدی بن الفضل : متروک ۔
(ضَعِيف)
ব্যখ্যা : (إِنَّ النُّورَ إِذَا دَخَلَ الصَّدْرَ انْفَسَحَ) যখন অন্তরে হিদায়াতের নূর প্রবেশ করে তখন তা প্রশস্ত এ উন্মুক্ত হয়ে যায়। এ বাক্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মুল্লা আলী ক্বারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তার অন্তর এমনভাবে প্রশস্ত হয়ে যায় যে, ইসলামের বিধানাবলী সে অতি সহজে গ্রহণ করে নেয় এবং এগুলো অনুশীলনে এক স্বর্গীয় স্বাদ অনুভব করে।
হিদায়াতের নূরে আলোকিত এবং উন্মুক্ত অন্তরের চিহ্ন হলো :
১. প্রতারণার ঘর থেকে দূরে থাকা। প্রতারণার ঘর হলো দুনিয়া। আল্লাহ বলেন : (فَلَا تَغُرَّنَّکُمُ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا) “অতঃপর দুনিয়ার জীবন তোমাদেরকে যেন ধোঁকায় না ফেলে....।” (সূরা লুকমান ৩১ : ৩৩)
২. চিরস্থায়ী ঘরের দিকে ঝুঁকে পড়া। অর্থাৎ পরিপূর্ণ এবং একান্তভাবে আখিরাতমুখী হওয়া।
৩. আর মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হওয়া, এর অর্থ হলো মৃত্যুর পূর্বেই তাওবা-ইস্তিগফার এবং “ইবাদতের প্রতিযোগিতায় সাধ্যমত সময় ব্যয় করা। মৃত্যুর পূর্ব হলো বার্ধক্য, অসুস্থতা ইত্যাদি যে সময় স্বাভাবিক ‘ইবাদাত-বন্দেগী করা সম্ভব হয় না। (মিরকাতুল মাফাতীহ; আল কাশিফ ১০ম খণ্ড, ৩৩০৮ পৃ.; আল লু'আহ্ ৮ম খণ্ড, ৪৫২ পৃ.)।