পরিচ্ছেদঃ ১৫/১৭. ইহরামের প্রকারভেদ, আর তা হজ্জে ইফরাদ এবং তামাত্তু এবং ক্বিরান এবং হজ্জ ও উমরাহ্কে যুক্ত করা বৈধ এবং হজ্জ ক্বারেন আদায়কারী কখন তার ইহরাম থেকে হালাল হবে।
৭৬১. আত্বা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহকে এ কথা বলতে শুনেছি যে, তাঁর সঙ্গে তখন আরো কিছু লোক ছিল। আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ শুধু হাজ্জের নিয়তে ইহরাম বেঁধেছিলাম। এর সঙ্গে ’উমরাহর নিয়ত ছিল না। বর্ণনাকারী ’আত্বা (রহঃ) বলেন, জাবির (রাঃ) বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলহাজ্জ মাসের চার তারিখ সকাল বেলায় (মক্কায়) আগমন করলেন। এরপর আমরাও যখন আগমন করলাম, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। তিনি বললেনঃ তোমরা ইহরাম খুলে ফেল এবং স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হও।
(রাবী) ’আত্মা (রহ.) বর্ণনা করেন, জাবির (রাঃ) বলেছেন, (স্ত্রীদের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করা) তিনি তাদের উপর বাধ্যতামূলক করেননি বরং মুবাহ করে দিয়েছেন। এরপর তিনি অবগত হন যে, আমরা বলাবলি করছিঃ আমাদের ও আরাফার দিনের মাঝখানে মাত্র পাঁচদিন বাকি, তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা ইহরাম খুলে স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হই। তখন তো আমরা পৌছব আরাফায় আর আমাদের পুরুষাঙ্গ থেকে মযী ঝরতে থাকবে। আত্বা বলেন, জাবির (রাঃ) এ কথা বোঝানাের জন্য হাত দিয়ে ইঙ্গিত করেছিলেন কিংবা হাত নেড়েছিলেন।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে বললেনঃ তোমরা জান, আমি আমাদের মধ্যে আল্লাহকে অধিক ভয় করি, তোমাদের তুলনায় আমি অধিক সত্যবাদী ও নিষ্ঠাবান। আমার সঙ্গে যদি কুরবানীর পশু না থাকত, আমিও আমাদের মত ইহরাম খুলে ফেললাম। সুতরাং তোমরা ইহরাম খুলে ফেল। আমি যদি আমার কাজের পরিণাম আগে জানতাম যা পরে অবগত হয়েছি তবে আমি কুরবাণীর পশু সঙ্গে আনতাম না। অতএব আমরা ইহরাম খুলে ফেললাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ শুনলাম এবং তার আনুগত্য করলাম।
بيان وجوه الإحرام وأنه يجوز إِفراد الحج والتمتع والقران وجواز إِدخال الحج على العمرة، ومتى يحل القارن من نسكه
حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ عَطَاءٍ؛ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ، فِي أُنَاسٍ مَعَهُ، قَالَ: أَهْلَلْنَا، أَصْحَابَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَجِّ خَالِصًا لَيْسَ مَعَهُ عُمْرَةٌ قَالَ عَطَاءٌ، قَالَ جَابِرٌ: فَقَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صُبْحَ رَابِعَةٍ مَضَتْ مِنْ ذِي الْحَجَّةِ، فَلَمَّا قَدِمْنَا أَمَرَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَحِلَّ، وَقَالَ: أَحِلُّوا وَأَصِيبُوا مِنَ النِّسَاءَ قَالَ عَطَاءٌ، قَالَ جَابِرٌ وَلَمْ يَعْزِمْ عَلَيْهِمْ، وَلكِنْ أَحَلَّهُنَّ لَهُمْ؛ فَبَلَغَهُ أَنَّا نَقُولُ: لَمَّا لَمْ يَكُنْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلاَّ خَمْسٌ أَمَرَنَا أَنْ نَحِلَّ إِلَى نِسَائِنَا، فَنَأْتِي عَرَفَةَ تَقْطُر مَذَاكِيرُنَا الْمَذْيَ قَالَ، وَيَقُولَ جَابِرٌ، بِيَدِهِ هكَذَا، وَحَرَّكَهَا؛ فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: قَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي أَتْقَاكُمْ للهِ وَأَصْدَقُكُمْ وَأَبَرُّكُمْ، وَلَوْلاَ هَدْيِي لَحَلَلْتُ كَمَا تَحِلُّونَ، فَحِلُّوا فَلَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِى مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا أَهْدَيْتُ فَحَلَلْنَا وَسَمِعْنَا وَأَطَعْنَا