পরিচ্ছেদঃ ৮৩. কিয়ামত দিবসে মু’মিনগণের সাজদা করা প্রসঙ্গে
২৮৪১. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: মহান আল্লাহ যখন বান্দাদেরকে একত্রিত করবেন একটি ভূমিতে, তখন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবেন: যারা যে জিনিসের ’ইবাদাত করতো, তারা যেন সে জিনিসের কাছে গমন করে। এরপর যারা যার ইবাদত করতো, সকলেই তাদের উপাস্যের সঙ্গে যাবে। লোকেরা তাদের নিজ নিজ অবস্থার উপর থেকে যাবে। অবশেষে তিনি এসে বলবেন: লোকদের কী হলো, সকলেই চলে গেলো, আর তোমরা এখানে থেকে গেলে যে? তারা বলবে, আমরা অপেক্ষা করছি আমাদের রবের। তখন তিনি বলবেন: তোমরা কি তাঁকে চিনতে পারবে? উত্তরে তারা বলবে: তিনি যখন আমাদের কাছে পরিচয় দেবেন, তখন আমরা তাকে চিনতে পারব। এরপর তাদের সামনে তিনি তাঁর ’সাক্ব’ (পায়ের নলা) উন্মুক্ত করবেন, তখন তারা সিজদায় পড়ে যাবে। এটিই হলো, আল্লাহর বাণীঃ “সেইদিন যেদিন ’সাক্ব’ (পায়ের নিম্নাংশ) উন্মোচিত করা হবে,এবং তাদেরকে আহ্বান করা হবে সাজদা করার জন্য; কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না।” (আল ক্বলম: ৪২) তবে অবশিষ্ট থেকে যাবে কেবল সকল মুনাফিক, কিন্তু তারা সিজদা করতে সক্ষম হবে না। এরপর লোকদেরকে জান্নাতের দিকে পথ প্রদর্শন করা হবে।”[1]
باب فِي سُجُودِ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْبَزَّازُ عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ إِسْحَقَ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ يَسَارٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا جَمَعَ اللَّهُ الْعِبَادَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ نَادَى مُنَادٍ لِيَلْحَقْ كُلُّ قَوْمٍ بِمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ فَيَلْحَقُ كُلُّ قَوْمٍ بِمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ وَيَبْقَى النَّاسُ عَلَى حَالِهِمْ فَيَأْتِيهِمْ فَيَقُولُ مَا بَالُ النَّاسِ ذَهَبُوا وَأَنْتُمْ هَا هُنَا فَيَقُولُونَ نَنْتَظِرُ إِلَهَنَا فَيَقُولُ هَلْ تَعْرِفُونَهُ فَيَقُولُونَ إِذَا تَعَرَّفَ إِلَيْنَا عَرَفْنَاهُ فَيَكْشِفُ لَهُمْ عَنْ سَاقِهِ فَيَقَعُونَ سُجُودًا فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى يَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ وَيُدْعَوْنَ إِلَى السُّجُودِ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ يَبْقَى كُلُّ مُنَافِقٍ فَلَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَسْجُدَ ثُمَّ يَقُودُهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ
তাখরীজ: বুখারী, আযান ৮০৬; মুসলিম, ঈমান ১৮২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৩৬০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪২৯, ৭৪৪৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২১২ তে।