পরিচ্ছেদঃ ১৩. তালবিয়া সম্পর্কে
১৮৪৫. ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তালবিয়া পাঠের সময় বলতেন: “লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা; লা-শারীকা লাকা লাব্বাইকা, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলকা, লা শারীকা লাকা।”
(অর্থ: ’আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির; আপনার কোন শরীক নেই, আমি হাজির, সকল প্রশংসা ও সকল নিয়ামত আপনারই, সমস্ত বিশ্বের রাজত্ব আপনারই, আপনার কোন শরীক নেই।’) ইয়াহইয়া বলেন, নাফিঈ’ উল্লেখ করেছেন যে, ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ শব্দগুলি বাড়িয়ে পাঠ করতেন: ’লাব্বাইকা ওয়ার রাগবা-উ ইলাইকা ওয়াল আমলু, লাব্বাইকা, লাব্বাইকা।’ (অর্থ: ’আমি হাজির, সকল প্রকার আশা-আকাংখা আপনারই প্রতি, আমলও আপনার (সন্তুষ্টির) জন্যই, আমি হাজির, আমি হাজির।’)[1]
بَاب فِي التَّلْبِيَةِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا لَبَّى قَالَ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ قَالَ يَحْيَى وَذَكَرَ نَافِعٌ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يَزِيدُ هَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৫৪৯; মুসলিম, হাজ্জ ১১৮৪; এছাড়া, শাফিঈ, আল উম্মু ২/১৫৫; তার সূত্রে বাইহাকী, মা’রিফাহ নং ৯৫৭০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৬৯২; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭৯৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৭৫ তে।
তাহাবী, তার শারহু মা’আনিল আছার ২/১২৫ তে বলেন: সকল মুসলিমগণ একমত যে, এটি হাজ্জের মারফু’ তালবিয়া।
তবে একদল লোক বলেন: আল্লাহর যিকির এ বৃদ্ধি করায় কোনো দোষ নেই। … তারা বলেন, এভাবে (ইবনু উমার রা: এর মতো) তালবিয়ায় শব্দ বৃদ্ধি করাতেও কোনো দোষ নেই।
অপর দল তাদের বিরোধীতা করেন। তারা বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক লোকদেরকে শেখানো শব্দের উপর বৃদ্ধি করা সমীচীন নয়।… বরং তিনি সালাতের তাকবীর যেভাবে শিখিয়েছেন, সেভাবে এটা (তালবিয়া)ও শিখিয়েছেন। তাকবীর ব্যতীত অন্য কিছু করা যেমন সমীচীন নয়, তদ্রূপ তাঁর তালবিয়াতেও শিখানো পদ্ধতিতে বৃদ্ধি করা সমীচীন নয়। যেমন সা’দ রা: হতে বর্ণিত, হয়েছে, তিনি এক ব্যক্তি কে বলতে শুনলেন, ‘লাব্বাইকা যিল মা’আরিজ লাব্বাইক।’ তখন সা’দ রা: বললেন: আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জামানায় এরূপ তালবিয়া পড়তাম না।’
সুতরাং সা’দ রা: যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের শেখাননি, সেরূপ বৃদ্ধিকে মাকরূহ গণ্য করেছেন। ফলে আমরাও এমত গ্রহণ করেছি।”
আরও দেখুন, শাফিঈ, আল উম্মু ২/১৫৬; ফাতহুল বারী ৩/৪১০ ও বাইহাকী, আল মা’রিফাহ ৭/১৩৬।