পরিচ্ছেদঃ ৯৭. বাড়িতে সালাত আদায় করার পর পূণরায় সে সালাত জামা’আতে আদায় করা প্রসঙ্গে
১৪০৪. ইয়াযীদ ইবনুল আসওয়াদ আস সাওয়াঈ হতে বর্ণিত, তিনি একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ফজরের সালাত আদায় করলেন। তিনি বলেন, এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাত আদায়ের সময় দু’ ব্যক্তি সালাত আদায় না করে (মসজিদের) এক প্রান্তে বসে রইলো। তিনি বলেন, ফলে তাদের দু’জনকে ডেকে আনা হলো। তখন তারা দু’জন ভীষণ ভয়ে কঁম্পমান অবস্থায় হাযির হলো। অতঃপর তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন: “আমাদের সাথে সালাত আদায় করতে কিসে তোমাদেরকে বাধা দিয়েছে?” তারা বললো, আমরা আমাদের ঘরে সালাত আদায় করে এসেছি। তিনি বললেন: “তোমরা এইরূপ করো না। বরং যখন তোমরা তোমাদের বাড়ীতে সালাত আদায় করবে তারপর ইমামের সাথে (জামা’আত) পাবে, তখন তোমরা (তার সাথে) পূনরায় সালাত আদায় করবে, তাহলে তা তোমাদের জন্য নফল হিসেবে গণ্য হবে।”
তিনি বলেন, তখন লোকেরা দাঁড়িয়ে গেলো এবং তাঁর হাত ধরে তা তাদের মুখমণ্ডলে মাসেহ করতে লাগলো।তিনি বলেন, তখন আমিও তাঁর হাত ধরে তা দিয়ে আমার মুখমণ্ডল মাসেহ করলাম। (তখন দেখলাম) তা ছিল বরফের চেয়েও শীতল, আর মিসকের সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধযুক্ত।[1]
بَاب إِعَادَةِ الصَّلَوَاتِ فِي الْجَمَاعَةِ بَعْدَ مَا صَلَّى فِي بَيْتِهِ
حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ الْأَسْوَدِ السُّوَائِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الصُّبْحِ قَالَ فَإِذَا رَجُلَانِ حِينَ صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدَانِ فِي نَاحِيَةٍ لَمْ يُصَلِّيَا قَالَ فَدَعَا بِهِمَا فَجِيءَ بِهِمَا تُرْعَدُ فَرَائِصُهُمَا قَالَ مَا مَنَعَكُمَا أَنْ تُصَلِّيَا قَالَا صَلَّيْنَا فِي رِحَالِنَا قَالَ فَلَا تَفْعَلَا إِذَا صَلَّيْتُمَا فِي رِحَالِكُمَا ثُمَّ أَدْرَكْتُمَا الْإِمَامَ فَصَلِّيَا فَإِنَّهَا لَكُمَا نَافِلَةٌ قَالَ فَقَامَ النَّاسُ يَأْخُذُونَ بِيَدِهِ يَمْسَحُونَ بِهَا وُجُوهَهُمْ قَالَ فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ فَمَسَحْتُ بِهَا وَجْهِي فَإِذَا هِيَ أَبْرَدُ مِنْ الثَّلْجِ وَأَطْيَبُ رِيحًا مِنْ الْمِسْكِ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ ও টীকা দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৫৬৪, ২৩৯৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৪৩৪, ৪৩৫ তে। ((আহমাদ ৪/১৬০; তিরমিযী ২১৯; নাসাঈ ৮৫৯; ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ ১২৭৯; দারুকুতনী ১/৪১৩; বাইহাকী ২/৩০১; তায়ালিসী ১/১৩৭ নং ৬৫৬; আবু দাউদ ৫৭৫, ৫৭৬; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আসার ১/৩৬৩; আব্দুর রাযযাক ২/৪২১ নং ৩৯৩৪; তাবারাণী ২২/২৩২-২৩৫; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৯/৯৮; হাকিম একে সহীহ বলেছেন ও যাহাবী তা সমর্থন করেছেন...।- মুহাক্বিক্বের মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৪৩৪ এর টীকা হতে। -অনুবাদক))