পরিচ্ছেদঃ ৭৮. যে ব্যক্তি রুকূ’ ও সিজদা পূর্ণরূপে আদায় করে না, তার সম্পর্কে
১৩৬৫. রাফি’র দুই পূত্র রিফা’আ ও মালিক দু’ভাই যারা বদরযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছিলেন, তাদের উভয় থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, আমরা একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চারপাশে বসে ছিলাম- রাবী হাম্মামের সন্দেহ- অথবা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বসে ছিলেন এবং আমরা তাঁর চারপাশে বসে ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে কিবলামুখী হয়ে সালাত আদায় করতে আরম্ভ করে দিলো। এরপর যখন সে সালাত শেষ করলো, তখন সে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ও লোকদেরকে সালাম দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “তোমার উপরও (সালাম)। তুমি ফিরে গিয়ে (পুনরায়) সালাত আদায় করো। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি।” তখন লোকটি ফিরে গেলো এবং পুনরায় সালাত আদায় করতে লাগলো। আর আমরা তার সালাত পর্যবেক্ষণ করছিলাম, কিন্তু আমরা বুঝতে পারছিলাম না সে সালাতে কী ত্রুটি করেছিলো। এরপর যখন সে সালাত শেষ করলো, তখন সে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ও লোকদেরকে সালাম দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “তোমার উপরও (সালাম)। তুমি ফিরে গিয়ে (পুনরায়) সালাত আদায় করো। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি।”
হাম্মাম (বর্ণনাকারী) বলেন, আমি জানিনা, তিনি তাকে দু’বার নাকি তিনবার এর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
লোকটি বললো, আমি তো কম করিনি; ফলে আমি আমার সালাতে কী ত্রুটি করেছি তা নিজে থেকে বুঝতে পারছি না।তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “তোমাদের কারো সালাত ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ হবে না, যতক্ষণ না তোমরা পরিপূর্ণরূপে ওযু করবে, যেভাবে আল্লাহ তা করতে নির্দেশ দিয়েছেন- তথা সে তার মুখমণ্ডল ও দু’হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে আর তার মাথা মাসেহ করবে এবং গিঁঠ পর্যন্ত দু’পা ধৌত করবে; এরপর ’আল্লাহু আকবার’ বলে তাঁর ’হামদ’-প্রশংসা বর্ণনা করবে, অতঃপর আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা যেটুকু অনুমতি দিয়েছেন সে পরিমাণ কুরআন তিলাওয়াত করবে। অতঃপর তাকবীর দিয়ে রুকূ’ করবে আর সে এতে তার উভয় হাতের তালু উভয় হাঁটুতে স্থাপন করবে যতক্ষণ না তার শরীরের জোড়াসমূহ শিথিল হয়ে স্ব-স্ব স্থানে যথারীতি স্থির হয়ে যাবে। এরপর সে বলবে: ’সামি’আল্লাহু লিমান হামিদাহ’। এরপর সে সটান দাঁড়িয়ে যাবে যতক্ষণ না তার পিঠ সোজা হয়ে যায় ফলে তার হাড়সমূহ স্ব-স্ব স্থানে যথারীতি অবস্থান করে। এরপর সে তাকবীর বলে সিজদায় গমণ করবে এবং তার চেহারাকে -” (রাবী) হাম্মাম বলেন, সম্ভবত তিনি বলেছেন, “- তার কপালকে মাটিতে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে, যতক্ষণ না তার শরীরের জোড়াসমূহ শিথিল হয়ে স্ব-স্ব স্থানে যথারীতি স্থির হয়ে যাবে। সে তাকবীর দিয়ে তার অবস্থানস্থলে সোজা হয়ে বসে যাবে যতক্ষণ না তার পিঠ সোজা হয়ে যাবে।” এভাবে তিনি এ চার রাকা’আত সালাত আদায় পদ্ধতি শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করলেন। (শেষে বললেন:) “তোমাদের কারো সালাত পূর্ণ হবে না, যতক্ষণ না সে এরূপ করবে।”[1]
بَاب فِي الَّذِي لَا يُتِمُّ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَلَّادٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَمِّهِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ وَكَانَ رِفَاعَةُ وَمَالِكُ ابْنَيْ رَافِعٍ أَخَوَيْنِ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ جُلُوسٌ حَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ وَنَحْنُ حَوْلَهُ شَكَّ هَمَّامٌ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَصَلَّى فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْكَ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ فَرَجَعَ الرَّجُلُ فَصَلَّى وَجَعَلْنَا نَرْمُقُ صَلَاتَهُ لَا نَدْرِي مَا يَعِيبُ مِنْهَا فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْكَ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ قَالَ هَمَّامٌ فَلَا أَدْرِي أَمَرَهُ بِذَلِكَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا قَالَ الرَّجُلُ مَا أَلَوْتُ فَلَا أَدْرِي مَا عِبْتَ عَلَيَّ مِنْ صَلَاتِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهَا لَا تَتِمُّ صَلَاةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يُسْبِغَ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَيَغْسِلُ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ وَيَمْسَحُ بِرَأْسِهِ وَرِجْلَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثُمَّ يُكَبِّرُ اللَّهَ وَيَحْمَدُهُ ثُمَّ يَقْرَأُ مِنْ الْقُرْآنِ مَا أَذِنَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ فِيهِ ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَرْكَعُ فَيَضَعُ كَفَّيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ وَيَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَيَسْتَوِي قَائِمًا حَتَّى يُقِيمَ صُلْبَهُ فَيَأْخُذَ كُلُّ عَظْمٍ مَأْخَذَهُ ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَسْجُدُ فَيُمَكِّنُ وَجْهَهُ قَالَ هَمَّامٌ وَرُبَّمَا قَالَ جَبْهَتَهُ مِنْ الْأَرْضِ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَسْتَوِي قَاعِدًا عَلَى مَقْعَدِهِ وَيُقِيمُ صُلْبَهُ فَوَصَفَ الصَّلَاةَ هَكَذَا أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ حَتَّى فَرَغَ لَا تَتِمُّ صَلَاةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يَفْعَلَ ذَلِكَ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৬২৩; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭৮৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৪৮৪ এ।