পরিচ্ছেদঃ ৭৪. সিজদায় যাওয়ার সময় মানুষের যে অঙ্গ সর্বপ্রথম মাটিতে স্থাপিত হবে
১৩৫৬. ওয়ায়িল ইবনু হুজর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছি, তিনি যখন সাজদায় যেতেন তখন মাটিতে হাত রাখার পূর্বেই হাঁটু রাখতেন।[1]
بَاب أَوَّلِ مَا يَقَعُ مِنْ الْإِنْسَانِ الْأَرْضَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَسْجُدَ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَجَدَ يَضَعُ رُكْبَتَيْهِ قَبْلَ يَدَيْهِ وَإِذَا نَهَضَ رَفَعَ يَدَيْهِ قَبْلَ رُكْبَتَيْهِ
اخبرنا يزيد بن هارون حدثنا شريك عن عاصم بن كليب عن ابيه عن واىل بن حجر قال رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا سجد يضع ركبتيه قبل يديه واذا نهض رفع يديه قبل ركبتيه
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। এবং এর পূর্বে আমরা যতস্থানে একে (বর্ণনাকারী শারীককে) যয়ীফ বলেছি, তা এ তাহক্বীক্ব দ্বারা মানসূখ (রহিত) বলে গণ্য হবে।
((এ হাদীসটি নিয়ে ব্যাপক ইখতিলাফ পরিলক্ষিত হয়। এর সনদকে তিরমিযী হাসান গরীব বলেছেন; ইবনু খুযাইমা, হাকিম সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তা বজায় রেখেছেন। তবে বুখারী, তিরমিযী, দারুকুতনী, ইবনু আবী দাউদ, বাইহাকী এ বর্ণনায় শারীকের একাকী হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন (ইবনু হাজার, তালখীসুল হাবীর ১/২৫৪ নং হা/৩৮০ /১৫) এবং দারুকুতনী শারীকের ব্যাপারে মূলনীতি উল্লেখ করে বলেছেন: শারীক কোনো বর্ণনায় একাকী হলে তা যয়ীফ। আর এর যয়ীফ হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন বাইহাকী (আফ্ফান হতে), আলবানী, আরনাউত্ব, মুস্তফা আ’যমী, মাহির ইয়াসীন আল ফাহল (তাহক্বীক্ব: ইবনু খুযাইমা, তা’লীকাতুল হিসান, আল ইহসান)। এছাড়াও, এটি দু’টি সহীহ হাদীসের বিপরীত বর্ণনা যা ১. ইবনু উমার হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল হিসেবে বর্ণিত হয়েছে: “তিনি সিজদা করার সময় হাঁটুর পূর্বে দু’হাত মাটিতে রাখতেন” (বুখারী, আযান বাব ১২, তা’লিক হিসেবে; দারুকুতনী ১/৩৪৪ নং ২ (নং ১৩০৩ আরনাউত্বের টীকাসহ মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ হতে),; তাহাবী ১/২৫৪; সহীহ বলেছেন ইবনু খুযাইমা ৬২৭; হাকিম ১/২২৬ ও যাহাবী তা বজায় রেখেছেন) ও
২. পরের হাদীসটি যা আবী হুরাইরা হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ বর্ণিত হয়েছে যে, “... তোমাদের যখন কেউ সাজদায় গমণ করে, তখন সে যেন উটের মতো হাঁটু গেড়ে না বসে, বরং সে যেন হাঁটু মাটিতে রাখার পূর্বে দু’হাত রাখে।” (আবু দাউদ ৮৪০, আহমাদ ২/৩৮১; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ৩/১৩৪; বাইহাকী ২/৯৯; তাহাবী ১/২৫৪ ও অন্যান্য)
যাহোক, এজন্য সালাফগণ এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক মতভেদ করেছেন। মালিক ও আউযাঈ, আহমদেরও একটি মত (আল মুগনী ১/৫১৪ তে বর্ণিত) এবং আহলে হাদীসের অধিকাংশের মতে হাঁটুর পূর্বে হাত রাখা মুস্তাহাব। বিপরীতে ‘হাতের পূর্বে হাঁটু রাখা’ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী ও খাত্তাবী উল্লেখ করেছেন যে, এটি অনেক উলামার মত। ইবনুল মুনযির এটি উমার, নাখঈ, মুসলিম ইবনু ইয়াসার, সুফিযান সাওরী, আহমদ, ইসহাক ও ‘আসহাবুর রাই’ (হানাফী)-দের থেকে উল্লেখ করেছেন।- আল ইহসান, তাহ: আরনাউত্ব হা/১৯১২ এর টীকা দ্র:) - অনুবাদক))
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৯১২; মাওয়ারিদুয যাম’আন ৪৮৭। আরও দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৫৪০ তে আমাদের টীকাটি।
((আবু দাউদ ৮৩৮; তিরমিযী ২৬৮; ইবনু মাজাহ ৮৮২; নাসাঈ ১/২০৬; দারুকুতনী ১/৩৪৫; তাবারাণী ২২/৯৭; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/২৫৫; বাইহাকী ২/৯৮; হাযিমী, আল ই’তিবার পৃ: ১৬১; ইবনু খুযাইমা নং ৬২৬, ৬২৯; হাকিম ১/২২৬।- আল ইহসান, তাহক্বীক্ব: আরনাউত্ব, ১৯১২ এর টীকা দ্র:- অনুবাদক))
((এ হাদীসটি নিয়ে ব্যাপক ইখতিলাফ পরিলক্ষিত হয়। এর সনদকে তিরমিযী হাসান গরীব বলেছেন; ইবনু খুযাইমা, হাকিম সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তা বজায় রেখেছেন। তবে বুখারী, তিরমিযী, দারুকুতনী, ইবনু আবী দাউদ, বাইহাকী এ বর্ণনায় শারীকের একাকী হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন (ইবনু হাজার, তালখীসুল হাবীর ১/২৫৪ নং হা/৩৮০ /১৫) এবং দারুকুতনী শারীকের ব্যাপারে মূলনীতি উল্লেখ করে বলেছেন: শারীক কোনো বর্ণনায় একাকী হলে তা যয়ীফ। আর এর যয়ীফ হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন বাইহাকী (আফ্ফান হতে), আলবানী, আরনাউত্ব, মুস্তফা আ’যমী, মাহির ইয়াসীন আল ফাহল (তাহক্বীক্ব: ইবনু খুযাইমা, তা’লীকাতুল হিসান, আল ইহসান)। এছাড়াও, এটি দু’টি সহীহ হাদীসের বিপরীত বর্ণনা যা ১. ইবনু উমার হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল হিসেবে বর্ণিত হয়েছে: “তিনি সিজদা করার সময় হাঁটুর পূর্বে দু’হাত মাটিতে রাখতেন” (বুখারী, আযান বাব ১২, তা’লিক হিসেবে; দারুকুতনী ১/৩৪৪ নং ২ (নং ১৩০৩ আরনাউত্বের টীকাসহ মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ হতে),; তাহাবী ১/২৫৪; সহীহ বলেছেন ইবনু খুযাইমা ৬২৭; হাকিম ১/২২৬ ও যাহাবী তা বজায় রেখেছেন) ও
২. পরের হাদীসটি যা আবী হুরাইরা হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ বর্ণিত হয়েছে যে, “... তোমাদের যখন কেউ সাজদায় গমণ করে, তখন সে যেন উটের মতো হাঁটু গেড়ে না বসে, বরং সে যেন হাঁটু মাটিতে রাখার পূর্বে দু’হাত রাখে।” (আবু দাউদ ৮৪০, আহমাদ ২/৩৮১; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ৩/১৩৪; বাইহাকী ২/৯৯; তাহাবী ১/২৫৪ ও অন্যান্য)
যাহোক, এজন্য সালাফগণ এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক মতভেদ করেছেন। মালিক ও আউযাঈ, আহমদেরও একটি মত (আল মুগনী ১/৫১৪ তে বর্ণিত) এবং আহলে হাদীসের অধিকাংশের মতে হাঁটুর পূর্বে হাত রাখা মুস্তাহাব। বিপরীতে ‘হাতের পূর্বে হাঁটু রাখা’ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী ও খাত্তাবী উল্লেখ করেছেন যে, এটি অনেক উলামার মত। ইবনুল মুনযির এটি উমার, নাখঈ, মুসলিম ইবনু ইয়াসার, সুফিযান সাওরী, আহমদ, ইসহাক ও ‘আসহাবুর রাই’ (হানাফী)-দের থেকে উল্লেখ করেছেন।- আল ইহসান, তাহ: আরনাউত্ব হা/১৯১২ এর টীকা দ্র:) - অনুবাদক))
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৯১২; মাওয়ারিদুয যাম’আন ৪৮৭। আরও দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৫৪০ তে আমাদের টীকাটি।
((আবু দাউদ ৮৩৮; তিরমিযী ২৬৮; ইবনু মাজাহ ৮৮২; নাসাঈ ১/২০৬; দারুকুতনী ১/৩৪৫; তাবারাণী ২২/৯৭; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/২৫৫; বাইহাকী ২/৯৮; হাযিমী, আল ই’তিবার পৃ: ১৬১; ইবনু খুযাইমা নং ৬২৬, ৬২৯; হাকিম ১/২২৬।- আল ইহসান, তাহক্বীক্ব: আরনাউত্ব, ১৯১২ এর টীকা দ্র:- অনুবাদক))
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)