৪৭৮০

পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাম রাখা

৪৭৮০-[৩১] উক্ত রাবী [হুযায়ফাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কোন মুনাফিককে নেতা বলবে না। কেননা সে যখনই তোমাদের নেতা হয় বা তোমরা তাকে নেতা বলবে, তখন তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে অসন্তুষ্ট করলে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْهُ
عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَقُولُوا لِلْمُنَافِقِ سَيِّدٌ فَإِنَّهُ إِنْ يَكُ سَيِّدًا فَقَدْ أَسْخَطْتُمْ رَبَّكُمْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «لا تقولوا للمنافق سيد فانه ان يك سيدا فقد اسخطتم ربكم» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ হুযায়ফাহ্ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে মুনাফিককে سيد (সাইয়িদ) বলতে নিষেধ করা হয়েছে যে হাদীসটি হাদীস গ্রন্থ আবূ দাঊদে রয়েছে। এ হাদীসে মুনাফিককে سيد বলা যাবে না তাহলে বুঝা যায় مؤمن (মু’মিন)-কে সাইয়িদ বলা যাবে। আর এটা বিরোধী নয় যা বর্ণনা করেছে আহমাদ ও হাকিম ‘আবদুল্লাহ ইবনু শিখখীর হতে মারফু‘ হিসেবে। السيد দ্বারা আল্লাহ তা‘আলাকেই বুঝানো হয়েছে। যা মুসনাদ আহমাদে রয়েছে। আর যদি কেউ মুনাফিককে سيد বলে তাহলে সে যেন আল্লাহ তা‘আলাকে রাগান্বিত করল আর যে আল্লাহ তা‘আলাকে রাগান্বিত করল সে যেন বড় পাপ করল। আর এ হাদীসের ভাষ্য দ্বারা মুনাফিককে سيد বলা যাবে না। বললে আল্লাহ তা‘আলাকে রাগান্বিত করা হয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ) [সম্পাদক]

শিক্ষা ও মূলকথা : المولى ও السيد (আল মাওলা ও আস্ সাইয়িদ) উভয় শব্দটি আল্লাহ তা‘আলার জন্য প্রকৃত পক্ষ প্রযোজ্য, অন্যের জন্য রূপক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। না করাটাই অনেক ভালো ও সঠিক। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। পরিচিতির জন্য অনেকে ব্যবহার করে থাকে জায়িয মনে করে। والله أعلم (আল্লাহ অধিক ভালো জানেন।)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)