৪৫৭৮

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ

৪৫৭৮-[৩] উক্ত রাবী (আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রোগে সংক্রামিত কিছু নেই। প্যাঁচার মধ্যে কুলক্ষণের কিছু নেই এবং সফর মাসেও অশুভ নেই। তখন এক বেদুঈন বলে উঠল : হে আল্লাহর রসূল! তাহলে উটের এ দশা কেন হয় যে উটের পাল ময়দানের হরিণের মতো বিচরণ করে, এমতাবস্থায় তাদের সাথে চর্ম রোগাক্রান্ত একটি উট এসে মিশে তাদেরকেও চর্মরোগী বানিয়ে দিলো। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আচ্ছা, তাহলে প্রথম উটটির চর্মরোগ কোথা হতে এসেছিল? (বুখারী)[1]

بَابُ الْفَأْلِ وَالطِّيَرَةِ

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا عَدْوَى وَلَا هَامَةَ وَلَا صفر» . فَقَالَ أَعْرَابِي: يَا رَسُول فَمَا بَالُ الْإِبِلِ تَكُونُ فِي الرَّمْلِ لَكَأَنَّهَا الظباء فيخالها الْبَعِير الأجرب فيجر بِهَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَمن أعدى الأول» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا عدوى ولا هامة ولا صفر» . فقال اعرابي: يا رسول فما بال الابل تكون في الرمل لكانها الظباء فيخالها البعير الاجرب فيجر بها؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «فمن اعدى الاول» . رواه البخاري

ব্যাখ্যাঃ (وَلَا صفر) সফর মাসকে কেন্দ্র করে তাদের বিশ্বাসকে নাকোচ করা হয়েছে। তাদের বিশ্বাস ছিল এই যে, এটি পেটের এমন এক রোগ যা সংক্রামিত করে। অথবা পেটের এক প্রকার সাপ যা মানুষকে সংক্রামিত করে। অথবা এটি দ্বারা সফর মাসকে বুঝাত, তবে তাদের বিশ্বাস ছিল সফর মাসে কুলক্ষণ আগমন করে। অথবা এটি ক্ষুধার কারণে পেটের মধ্যের একটি রোগ। অথবা এটি এমন পানির সমাবেশ যেখান থেকে পানি চাওয়া হয়।

(كَأَنَّهَا الظباء) অর্থাৎ অসুখ থেকে নিরাপদ, সবল এবং কর্মচঞ্চলতার দিক থেকে সে যেন হরিণের মতো। এটা বলার কারণ হলো যখন সে মাটিতে থাকে তখন মাঝে মাঝে সেখান থেকে কিছু অংশ সাথে নিয়ে উঠে। (الْبَعِير الأجرب) যে উটের শরীরে পাঁচড়া অথবা চুলকানি থাকে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯০৭)

فَمن أعدى الأول অর্থাৎ যদি তার পাঁচড়া রোগটি সংক্রামকের কারণে হয়ে থাকে তবে প্রথমটিকে কে সংক্রামিত করেছে? এর অর্থ হলো তবে কে তার সাথে পাঁচড়া রোগটি যুক্ত করে ছিল? প্রথম ও শেষ সকলকে মহান আল্লাহর দিকে তথা তাঁর ফায়সালার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তবে এ রোগটি কে নিয়ে আসলো? বাহ্যিকভাবে বলা যায় যে, প্রথমটিকে কিসে সংক্রামিত করল? যেন সে জবাবে বলে, আল্লাহ তা‘আলা। অর্থাৎ মহান আল্লাহই সংক্রামিত করেন অন্য কেউ সংক্রামিত করতে পারে না। তিনি সমস্যার কারণে সংক্রামকের উল্লেখ করেছেন। যেমন তার কথা, كَمَا تَدِينُ تُدَانُ যেমন কর্ম তেমন ফল অর্থাৎ- ঐ সমস্যা কে দিয়েছেন? (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৩: চিকিৎসা ও ঝাড়-ফুঁক (كتاب الطب والرقى)