৪৪৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো

৪৪৬৬-[৪৮] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন (আবূ সুফ্ইয়ান-এর স্ত্রী) হিন্দা বিনতু ’উতবাহ্ বললেনঃ হে আল্লাহর নবী! আপনি আমাকে বায়’আত করিয়ে নিন। তখন তিনি বললেনঃ আমি ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাকে বায়’আত করব না, যতক্ষণ না তুমি তোমার দু’ হাতের তালু পরিবর্তন করে নেবে। কেননা তোমার হাতের তালুদ্বয়কে যেন হিংস্র জন্তুর থাবার ন্যায় দেখাচ্ছে। (আবূ দাঊদ)

وَعَن عائشةَ أَنَّ هِنْدًا بِنْتَ عُتْبَةَ قَالَتْ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ بَايِعْنِي فَقَالَ: «لَا أُبَايِعُكِ حَتَّى تُغَيِّرِي كَفَّيْكِ فَكَأَنَّهُمَا كَفَّا سَبُعٍ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

وعن عاىشة ان هندا بنت عتبة قالت يا نبي الله بايعني فقال لا ابايعك حتى تغيري كفيك فكانهما كفا سبع رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (لَا أُبَايِعُكِ حَتّٰى تُغَيِّرِي كَفَّيْكِ) অর্থ- মেহেদী দ্বারা হাত রঞ্জন করে পরিবর্তন না করা পর্যন্ত আমি বায়‘আত করব না। হাদীসের এই অংশ থেকে বুঝা যায় মেয়েরা তাদের হাতে মেহেদী না লাগিয়ে হাতকে ছেলেদের মত সাদা রেখে দেয়া রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অপছন্দ ছিল।

(فَكَأَنَّهُمَا كَفَّا سَبُعٍ) অর্থাৎ এ দ্বয় হিংস্র প্রাণীর হাত। মেহেদী থেকে খালি হাতকে প্রাণীর হাতের সাথে উপমা দিয়ে অপছন্দের দিকটি তুলে ধরেছেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। অর্থাৎ অপছন্দনীয় বা মাকরূহ হওয়ার ক্ষেত্রে তা প্রাণীর হাতের সদৃশ। কেননা মেহেদী না লাগালে তা ছেলেদের হাতের মতো দেখাবে যা অপছন্দনীয়, যেমন প্রাণীর হাত অপছন্দনীয়। হাদীসের এ অংশ থেকে ছেলেদের জন্য হাতে মেহেদী ব্যবহার অপছন্দ বা মাকরূহ- এ কথাটিও প্রমাণ হয়ে যায়। কেননা ছেলেদের হাত মেয়েদের হাতের বিপরীত হবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, ৪১৬১; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )