পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩১৬-[১৩], ৪৩১৭-[১৪], ৪৩১৮-[১৫], ৪৩১৯-[১৬] ’উমার, আনাস, ইবনুয্ যুবায়র ও আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুনিয়াতে রেশমী পোশাক পরিধান করবে, সে পরকালে তা পরতে পারবে না (তথা বঞ্চিত হবে)। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
الْفَصْلُ الْأَوْلُ
وَعَنْ عُمَرَ وَأَنَسٍ وَابْنِ الزُّبَيْرِ وَأَبِي أُمَامَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ لَبِسَ الْحَرِيرَ فِي الدُّنْيَا لَمْ يَلْبَسْهُ فِي الْآخِرَة»
ব্যাখ্যাঃ এ হাদীসের আংশিক ব্যাখ্যা পূর্বের ৪৩১৬ নং হাদীসে অতিবাহিত হয়েছে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীসটি বর্ণনায় একাধিক সাহাবীর নাম এসেছে। এর কারণ সম্ভবত এই যে, এদের সকলেরই পৃথক পৃথক সনদে একই মতনে হাদীসটির বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু গ্রন্থকার সকলের একই বর্ণনা আলাদা আলাদা নামে উল্লেখ না করে সনদের শেষ নামটি উল্লেখ পূর্বক বর্ণনাটি সংকলন করেছেন।
রেশমী বস্ত্র শুধু পরিধানই যে নিষেধ তা নয়, বরং তার ব্যবহার অন্যান্য কাজেও নিষেধ অত্র হাদীস দ্বারা তাও স্পষ্ট। স্বণ-রৌপ্যের পাত্রে খানা পনা হারাম হওয়ার কারণ হলো এটা আল্লাহদ্রোহী অহংকারী রাজা বাদশাহদের কাজ যা আল্লাহ পছন্দ করেন না। এ সব পাত্রে কিয়ামতের দিন জান্নাতীদের খাওয়ানো হবে।
পুরুষের জন্য রেশমী পোশাক পরিধান করা বৈধ নয়। এটা জান্নাতীদের পোশাক। ‘দুনিয়াতে যে রেশমী পোশাক পরিধান করবে সে পরকালে তা পরতে পারবে না’, এর অর্থ হলো সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এ বিধান অবশ্য তার জন্য যিনি এটাকে হালাল জেনে পরিধান করবেন। পক্ষান্তরে কেউ যদি ঘটনাক্রমে পরিধান করেন অথবা হারাম জেনেই পরিধান করেছেন কিংবা রেশমী কাপড় পরিধান যে হারাম তা তিনি না জেনে পরিধান করেন তার জন্য এই ধমকি প্রযোজ্য নয়।
‘আল্লামা সুয়ূত্বী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ অধিকাংশ মুহাদ্দিসের ব্যাখ্যা হলো, যারা রেশমী পোশাক পরিধান করবে তারা السابقين الفائزين অর্থাৎ প্রথম সফলকামীদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। বরং জাহান্নামে দ হওয়ার পর সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে পরবর্তীতে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসনাদে আহমাদ ৬/৩২৪)
মুসনাদে আহমাদ প্রভৃতি গ্রন্থে এর পোষকতায় জুওয়াইরিয়াহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদীস রয়েছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুনিয়ায় রেশমী পোশাক পরিধান করবে আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক পরিধান করাবেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৮৩২)