৪৩১৪

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪৩১৪-[১১] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ টাখনুর নিচে ইযারের যে অংশ থাকবে তা জাহান্নামে। (অর্থাৎ- কিয়দংশের জন্য সারা শরীরই আগুনে প্রজ্জ্বলিত হবে।) (বুখারী)[1]

الْفَصْلُ الْأَوْلُ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الْإِزَارِ فِي النَّارِ» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ

وعن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ما اسفل من الكعبين من الازار في النار» . رواه البخاري

ব্যাখ্যাঃ হাদীসের মর্মকথা হলো গর্ব অহংকারবশত কাপড় টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে পরিধান করলেই শুধুমাত্র এ ধমকি প্রযোজ্য হবে। ‘আল্লামা খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ ধরনের পোশাক পরিধানকারীর দু’টি দিক রয়েছে। প্রথমতঃ যদি পায়ের টাখনুর নীচে কাপড় পরিধান করে তাহলে এ কাজের পরিণতি হিসেবে পরিধানকারী নিজেই জাহান্নামে যাবে। দ্বিতীয়তঃ তার এ কাজটি জাহান্নামীদের কাজে পরিগণিত হবে।

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ লুঙ্গি, জামা, পায়জামা ও পাগড়ী- এ জাতীয় পোশাক ঝুলিয়ে টাখনুর নীচে অহংকারবশতঃ পরিধান করা বৈধ নয়।

ইমাম শাফি‘ঈ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ অহংকারবশতঃ টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে কাপড় পরিধান করা হারাম। অপরদিকে নারীদের কাপড় ঝুলিয়ে রাখা সর্বসম্মতিক্রমে জায়িয। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়েছে যে, নারীদের কাপড়ের আচল ঝুলিয়ে পরিধান করা বিধেয়। পুরুষের জামা, কাপড় ও লুঙ্গিসহ যাবতীয় পোশাক ‘নিসফে সাক’’ পর্যন্ত পরিধান করা সুন্নাতসম্মত। তবে টাখনু পর্যন্ত কাপড় পরিধান করা জায়িয। মোটকথা বিনা প্রয়োজনে পোশাক টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে পরা মাকরূহ বা অপছন্দনীয়। আর অহঙ্কারবশতঃ পরা হারাম।

সুনান ইবনু মাজাহতে হাসান সনদে ইবনু ‘আব্বাস  থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাটো হাতা বিশিষ্ট এবং নাতিদীর্ঘ জামা পরিধান করতেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৭৮৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )