৩৫৭৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৭৪-[২০] সা’ঈদ ইবনু সা’দ ইবনু ’উবাদাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন সা’দ ইবনু ’উবাদাহ্(রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এমন ব্যক্তিকে ধরে আনলেন, যে ছিল বিকলাঙ্গ ও ব্যাধিগ্রস্ত। তাকে এলাকার এক বাঁদীর সাথে যিনাগ্রস্ত অবস্থায় দেখা যায়। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এমন একটি খেজুরের বড় ছড়া নিয়ে আসো যার মধ্যে ছোট ছোট একশত শাখা রয়েছে এবং তা দ্বারা লোকটিকে একবার আঘাত কর। (শারহুস্ সুন্নাহ্; ইবনু মাজাহ্-তে অনুরূপ একটি বর্ণনা আছে)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ سَعِيدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ أَنَّ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجُلٍ كَانَ فِي الْحَيِّ مُخْدَجٍ سقيم فَوجدَ على أمة من إمَائِهِمْ بخبث بِهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُذُوا لَهُ عِثْكَالًا فِيهِ مِائَةُ شِمْرَاخٍ فَاضْرِبُوهُ ضَرْبَة» . رَوَاهُ فِي شَرْحِ السُّنَّةِ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ مَاجَه نَحوه

وعن سعيد بن سعد بن عبادة ان سعد بن عبادة اتى النبي صلى الله عليه وسلم برجل كان في الحي مخدج سقيم فوجد على امة من اماىهم بخبث بها فقال النبي صلى الله عليه وسلم: «خذوا له عثكالا فيه ماىة شمراخ فاضربوه ضربة» . رواه في شرح السنة وفي رواية ابن ماجه نحوه

ব্যাখ্যা: (سَقِيْمٍ) এমন অসুস্থ যা সুস্থ হওয়ার আশা করা যায় না।

ইবনু মালিক বলেনঃ এ হাদীসটি ‘আমলযোগ্য না কেননা তা সরাসরি কুরআনের বিরোধী, কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ وَلَا تَأْخُذْكُمْ بِهِمَا رَأْفَةٌ فِي دِينِ اللّٰهِ

অর্থাৎ- ‘‘আল্লাহর বিধান কার্যকরের কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়’’- (সূরা আন্ নূর ২৪ : ২)। আর হাদীসের ভাষ্যমতে প্রহার করা দয়ার উদ্রেক হওয়া তবে এটা ভুল ব্যাখ্যা, তাফসীরে হাদীস ও ফিক্হী দৃষ্টিভঙ্গিতে। তাফসীরের দৃষ্টিতে অর্থ হলো : দয়ার উদ্রেক না হয় তবে আনুগত্য ও হাদ্দ বাস্তবায়নে। অতঃপর তোমরা সে হাদ্দকে বাতিল করবে বা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে। এজন্য রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ لَوْ سَرَقَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ لَقَطَعْتُ يَدَهَا মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মেয়ে ফাত্বিমাও চুরি করে তাহলে আমি তার হাত অবশ্যই কেটে দিবো। অনুরূপ ভাবার্থ বায়যাভীও বলেছেন।

কাযী ‘ইয়ায বলেনঃ হাদীসে দলীল হিসেবে সাব্যস্ত হয় যে, শাসক শাস্তি প্রয়োগকৃত ব্যক্তির প্রতি খেয়াল রাখবে এবং তার জীবন সংরক্ষণ করবে। আর যদিও রোগী ব্যক্তির ওপর হাদ্দ প্রয়োগ করে হদ প্রয়োগ দেরী করবে না তবে যদি গর্ভবতী হয় তাহলে গর্ভপাত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। যা ‘আলী (রাঃ)-এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود)