পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ওয়ালীমাহ্ (বৌভাত)
৩২২২-[১৩] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দা’ওয়াত পেয়ে (ওযরবিহীনভাবে) প্রত্যাখ্যান করে, সে আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্যাচরণ করল। আর যে ব্যক্তি বিনা দা’ওয়াতে আসলো সে যেন চোর সেজে ঢুকেছে এবং লুণ্ঠনকারীরূপে বের হয়ে গেছে। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ دُعِيَ فَلَمْ يُجِبْ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَمن دخل على غَيْرِ دَعْوَةٍ دَخَلَ سَارِقًا وَخَرَجَ مُغِيرًا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসের ব্যাখ্যা পূর্বের ৩২১৮ নং হাদীসের কিঞ্চিৎ অতিবাহিত হয়েছে। ওযর ছাড়া কারো দা‘ওয়াত প্রত্যাখ্যান করা উচিত নয়, যে দা‘ওয়াত প্রত্যাখ্যান করলো করল সে আল্লাহ ও তার রসূলের নাফরমানী করল। কারো খাবার অনুষ্ঠানে কেউ দা‘ওয়াত ছাড়া প্রবেশ সে যেন চোরের মতো সংগোপনে খাবার টেবিলে প্রবেশ করল। এজন্য সে চোরের ন্যায় গুনাহ্গার হবে। সে যদি খায় তাহলে খাবার খেয়ে সে জবরদখলকারী হিসেবে বের হয়। আল্লাহর নাবী ছিলেন উত্তম আদর্শের মূর্তপ্রতীক। তিনি তার উম্মাতকে মাকারিমুল আখলাকিল বাহিয়্যাহ্ বা মনোমুগ্ধকর উত্তম আদর্শ ও চারিত্রিক গুণাবলী শিক্ষা দিয়েছেন এবং তাদেরকে হীনতা নীচুতা ইত্যাদি অশোভন এবং অসৎ চারিত্রিক আচরণ ও গুণাবলী থেকে বারণ করেছেন। দা‘ওয়াত ছাড়া কারো বাড়ীতে প্রবেশ করা হীনতা, নীচুতা, লাঞ্ছনা ও অপমানজনক কর্ম। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা থেকে তার উম্মাতকে বারণ করেছেন। অনুরূপ কেউ দা‘ওয়াত দিলে তা গ্রহণ না করা আত্মঅহংকারীর কাজ এবং পরস্পর সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য পরিপন্থী কাজ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা থেকেও উম্মাতকে বারণ করেছেন। খুলকুল হাসানাহ্ বা উত্তম চরিত্র হলো উল্লেখিত দু’টি নিন্দনীয় চারিত্রিক গুণাবলী থেকে ভারসাম্যপূর্ণ মধ্যপন্থা অবলম্বন করা। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৭৩৭; মিরকাতুল মাফাতীহ)