২৩৪৩

পরিচ্ছেদঃ বেগানা নারী তথা কোন সুদর্শন বালকের দিকে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া তাকানো হারাম

মহান আল্লাহ বলেছেন,

قُلْ لِلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوا مِنْ أبْصَارِهِمْ

অর্থাৎ, বিশ্বাসীদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে। (সূরা নূর ৩০)

তিনি আরো বলেছেন,

إنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ والْفُؤادَ كُلُّ أُولئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُوْلًا

অর্থাৎ, নিশ্চয় কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় ওদের প্রত্যেকের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হবে। (সূরা বনী ইসরাঈল ৩৬)

তিনি অন্যত্র বলেছেন,

يَعْلَمُ خَائِنةَ الأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُوْرُ

অর্থাৎ, চক্ষুর চোরা চাহনি ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্বন্ধে তিনি অবহিত। (সূরা মু’মিন ১৯)

তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,

إنَّ رَبَّكَ لَبِالْمِرْصَادِ

অর্থাৎ, নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক সময়ের প্রতীক্ষায় থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। (সূরা ফাজর ১৪)


(২৩৪৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা আদম সন্তানের জন্য ব্যভিচারের অংশ লিখে দিয়েছেন; যা সে অবশ্যই পাবে। সুতরাং চক্ষুদ্বয়ের ব্যভিচার (সকাম অবৈধ) দর্শন। কর্ণদ্বয়ের ব্যভিচার (অবৈধ যৌনকথা) শ্রবণ, জিভের ব্যভিচার (সকাম অবৈধ) কথন, হাতের ব্যভিচার (সকাম অবৈধ) ধারণ এবং পায়ের ব্যভিচার (সকাম অবৈধ পথে) গমন। আর হৃদয় কামনা ও বাসনা করে এবং জননেন্দ্রিয় তা সত্য বা মিথ্যায় পরিণত করে।

وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ كُتِبَ عَلَى ابْن آدَمَ نَصِيبُهُ مِنَ الزِّنَا مُدْرِكُ ذَلِكَ لاَ مَحَالَةَ : العَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ وَالأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الاسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الكَلاَمُ وَاليَدُ زِنَاهَا البَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الخُطَا وَالقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الفَرْجُ أَوْ يُكَذِّبُهُ متفق عَلَيْهِ هَذَا لفظ مسلمٍ ورواية البخاري مختصرَةٌ

وعن ابـي هريرة ان النبي ﷺ قال كتب على ابن ادم نصيبه من الزنا مدرك ذلك لا محالة : العينان زناهما النظر والاذنان زناهما الاستماع واللسان زناه الكلام واليد زناها البطش والرجل زناها الخطا والقلب يهوى ويتمنى ويصدق ذلك الفرج او يكذبه متفق عليه هذا لفظ مسلم ورواية البخاري مختصرة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী