পরিচ্ছেদঃ ১৭১. সালাতরত অবস্থায় হাঁচির উত্তর দেয়া
৯৩১। মু’আবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস-সুলামী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসার পর আমাকে ইসলামের কিছু বিষয় শেখানো হলো। আমাকে তখন এটাও শেখানো হয়েছিল যে, তুমি হাঁচি দিলে ’’আলহামদুল্লিাহ’’ বলবে। আর অন্য কাউকে হাঁচি দেয়ার পর ’আলহামদুল্লিাহ’ বলতে শুনলে তুমি বলবে, ’’ইয়ারহামুকাল্লাহ’’ (অর্থঃ আল্লাহ তোমার প্রতি রহম করুন)। তিনি বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সালাত আদায় করছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি হাঁচি দিল এবং ’’আলহামদুল্লিাহ’’ বললো। তখন আমি উচ্চস্বরে বললাম, ’’ইয়ারহামুকাল্লাহ’’। এতে উপস্থিত সকলেই আমার দিকে রাগত দৃষ্টিতে তাকালো। তাতে আমিও রাগান্বিত হলাম।
আমি তাদেরকে বললাম, তোমরা আমার দিকে এভাবে চোখ ঘুরিয়ে দেখছো কেন? বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা সুবহানাল্লাহ বললো। সালাত আদায় শেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (সালাতের মধ্যে) কে কথাবার্তা বলেছে? বলা হলো, এই গ্রাম্য লোকটি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডেকে নিয়ে বললেন, সালাতে কুরআন পাঠ ও আল্লাহর স্মরণ করা হয়। কাজেই সালাতরত অবস্থায় তোমার তা-ই করা উচিত। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাইতে অধিক নম্র ও বিনয়ী শিক্ষক আর কখনো দেখিনি।[1]
দুর্বল।
باب تَشْمِيتِ الْعَاطِسِ فِي الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُونُسَ النَّسَائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، عَنْ هِلَالِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ لَمَّا قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم عُلِّمْتُ أُمُورًا مِنْ أُمُورِ الإِسْلَامِ فَكَانَ فِيمَا عُلِّمْتُ أَنْ قَالَ لِي " إِذَا عَطَسْتَ فَاحْمَدِ اللهَ وَإِذَا عَطَسَ الْعَاطِسُ فَحَمِدَ اللهَ فَقُلْ يَرْحَمُكَ اللهُ " قَالَ فَبَيْنَمَا أَنَا قَائِمٌ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فِي الصَّلَاةِ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ فَحَمِدَ اللهَ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللهُ رَافِعًا بِهَا صَوْتِي فَرَمَانِي النَّاسُ بِأَبْصَارِهِمْ حَتَّى احْتَمَلَنِي ذَلِكَ
فَقُلْتُ مَا لَكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ بِأَعْيُنٍ شُزْرٍ قَالَ فَسَبَّحُوا فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلَاةَ قَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ " . قِيلَ هَذَا الأَعْرَابِيُّ فَدَعَانِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي " إِنَّمَا الصَّلَاةُ لِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَذِكْرِ اللهِ جَلَّ وَعَزَّ فَإِذَا كُنْتَ فِيهَا فَلْيَكُنْ ذَلِكَ شَأْنَكَ " . فَمَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَطُّ أَرْفَقَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم .
- ضعيف
Mu’awiyah b. al-Hakam al-Sulami said ; when I came to the Messenger of Allah (ﷺ) I learnt many things about islam. One of the things that I was taught was that it was that it was pointed out me. When you sneeze, praise Allah (I,e, say “praise be to Allah”); and when someone sneezes and praises Allah, say “ May Allah have mercy on you. Meanwhile I was standing along with the Messenger of Allah (may peace be upon him) during prayer, all of a sudden a man sneezed, and he praised Allah. So I said, “may Allah have mercy on you”, in a loud voice. The people gave me disapproving looks so much so that I took ill of it. So I said :
what do you mean by looking at me with furtive glances. Then they glorified Allah. When the prophet (ﷺ) finished his prayer, he asked; who was the speaker? The Prophet told him; this Bedouin. The Messenger of Allah (ﷺ) called me and said to me: Prayer is meant for the recitation of the Quran, and making mention of Allah. When you are in it (prayer), this should be your work therein. I never saw an instructor more lenient than the Messenger of Allah (ﷺ)