পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল
১৮৪২-[৬] হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে চাইলাম। তিনি আমাকে কিছু দিলেন। আমি পুনরায় চাইলে তিনি আবার দিলেন। তারপর তিনি আমাকে বললেন, হে হাকীম! এ মাল সবুজ সতেজ ও মিষ্ট (অর্থাৎ দেখতে সুন্দর, হৃদয়কে তৃপ্তি দেয়)। তাই যে ব্যক্তি এ মাল হাত না পেতে ও লোভ-লালসা ছাড়া পায় তাতে বারাকাত দান করা হয়। আর যে ব্যক্তি তা হাত পেতে লোভ লালসা দিয়ে অর্জন করে তাতে বারাকাত দেয়া হয় না। তার অবস্থা ওই ব্যক্তির মতো, যে খাবার খায় কিন্তু পেট ভরে না। (মনে রাখবে) উপরের হাত অর্থাৎ দানকারীর হাত নীচের হাত (দান গ্রহণকারীর হাত) হতে অনেক উত্তম। হাকীম (রাঃ)বলেন, আমি (তখন) বললাম, হে আল্লাহর রসূল! ওই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যের বাণী দিয়ে পাঠিয়েছেন। আজ থেকে আমি মৃত্যু পর্যন্ত কারো মাল থেকে কিছু কামনা করব না। মৃত্যু পর্যন্ত কখনো কারো কাছে কিছু চাইব না। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَاب مَنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ وَمَنْ تَحِلُّ لَه
وَعَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ قَالَ: سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ قَالَ لِي: «يَا حَكِيمُ إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ. وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى» . قَالَ حَكِيمٌ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَرْزَأُ أَحَدًا بَعْدَكَ شَيْئًا حَتَّى أُفَارِقَ الدُّنْيَا
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে মাল-সম্পদকে অথবা দুনিয়াকে সবুজ এবং মিষ্টি কোন জিনিসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। সবুজ জিনিস মানুষের দৃষ্টি কুড়ায় অন্যদিকে মিষ্টিদ্রব্য মানুষের মন জুড়ায়। তাই মানুষ মাত্রই দুনিয়া এবং সম্পদের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই আকৃষ্ট হয়ে থাকে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন, অর্থাৎ ‘‘মাল-সম্পদ এবং সন্তান-সন্ততি মানুষের জন্য পার্থিব জীবনের সৌন্দর্যতা স্বরূপ’’- (সূরাহ্ আল কাহফ ১৮ : ৪৬)।
হাদীসে মাল-সম্পদকে সবুজ এবং মিষ্টি দ্রব্যের সঙ্গে তুলনা করার কারণ হলো, কোন জিনিসের উল্লেখিত দু’টো বৈশিষ্ট্য অস্থায়ী যা দীর্ঘদিন টিকে থাকে না। অনুরূপ মানুষের মাল, যদি শারী‘আতে বর্ণিত পন্থা মোতাবেক অর্জিত না হয় তা টিকে থাকে না। অতঃপর বলা হয়েছে, উপরের হাত নীচের হাত অপেক্ষা উত্তম। অর্থাৎ দানকারীর হাত দান গ্রহণকারী তথা সাওয়ালকারীর (যিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে বা চায়) হাত অপেক্ষা উত্তম। যা এই হাদীসের পরের (১৮৪৩-[৭]) নং হাদীসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে।